About IIUC
“আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম”একটি নাম, একটি প্রতিষ্ঠান যা নিজ মহিমায় মহিমান্বিত। দেশে ও দেশের বাহিরে এই প্রতিষ্ঠান আজ তার নিজ বৈশিষ্টে সুপরিচিত। আই আই ইউ সি- গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারী উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ধারনা দেওয়ার সম্পুর্ন কৃতিত্ব এবং সফলতা হচ্ছে –“IUCT- ISLAMIC UNIVERSIY CHITTAGONG TRUST” এর যাদের দুরদর্শি চিন্তা, পরিকল্পনা, এবং সুচিন্তিত ধারনা ও অভিপ্রায়ের ফসল এই বিশ্ববিদ্যালয়। “IUCT” আর্ন্তজাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ‘এর প্রতিষ্ঠাকালীন সংগঠন এবং বর্তমান প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ।
আই ইউ সি টি
এই সংস্থা একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক এবং আইনসিদ্ধ স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার‘এর সংবিধানের “The Societies Act XXI of 1860” ধারার অধিনে আই ইউ সি ট্রাষ্ট অন্তর্ভুক্ত । সংস্থাটি অনেক আগেই অনুধাবন করতে পেরেছিল যে, দেশে এমন একটি স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন যেখানে উচ্চশিক্ষা প্রদান করা হবে ইসলামী মূল্যবোধের আলোকে। যে বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের দাওয়াত ও মুসলিম উম্মাহ্’র নৈতিক উন্নতি সাধন করে কাজ করে যাবে এবং মুসলিম উম্মাহ্’র হারানো অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখতে পারবে। দেশের সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে ইসলামী মূল্যবোধের উপর উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সুবিধার অনুপস্থিতি ট্রাস্টের সদস্যরা প্রত্যক্ষ করেছিলেন, এই বিষয়টি ভীষন ভাবে ভাবিয়ে তুলে ছিলেন।
১৯৯০ সাল। গভীর ভাবে চিন্তা করতে লাগলেন সবাই। কি করা যেতে পারে! অবশেষে, সংস্থাটি একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে সক্ষম হলেন। তাঁরা একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা চিন্তা-ভাবনা করতে লাগলেন।
শধু নিজেদের মধ্যেই তাঁরা আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখেন নি। করে। তাই সম্পুর্ন ইসলামিক দর্শনের উপর ভিত্তি করে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ধারনা নিয়ে IUCT ১৯৯০ সালের শুরুর দিকে দেশ বিদেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, ইসলামী চিন্তাবীদ, দার্শনীক, গবেষক,শিক্ষাবীদ,জ্ঞানী-গুনী ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনার পর আলোচনা চালিয়ে যেতে লাগলেন।
এটাই ছিল মহান আল্লাহর রহমত এবং ইসালামী ভাতৃত্বের উজ্জল নিদর্শন যে, যখন সবাই এই মহত নেক পরিকল্পনার কথা জানতে পারলো, সবাই যার যার সাধ্যমত ধারনা, অভিজ্ঞতা, মেধা শ্রম ও আর্থিক সহযোগীতা প্রদানের মাধ্যমে এই পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে সচেষ্ট হলেন। তাদের সবার শ্রম ছিল নিঃস্বার্থ যার দরুন খুব দ্রুতই ফলাফল আসতে শুরু করলো।
১৯৯২ সাল । এই পরিকল্পনার প্রথম নিদর্শন/ নোঙর তাঁরা প্রতিষ্ঠা করলেন যার নাম “আই ইউ সি ট্রাষ্ট”। এরই মাধ্যমে সূচনা হলো এক নতুন অধ্যায়ের। নতুন এক সপ্নের এই ট্রাষ্টের সর্বাত্বক প্রচেষ্টায়, মহান আল্লাহতালার অশেষ মেহেরবানীতে “ইসলামী ইউনিভার্সিটি চিটাগং” অবশেষে সরকারের অনুমোদন পায় ফেব্রুয়ারীর ১১ তারিখে। সময় তখন ১৯৯৫ সাল। একই বছর বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠা হয়।
0 comments:
Thank you