ইউরোপের অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশ - উচ্চ শিক্ষা
হাসান শেখ প্রতিনিধি,আইআইইউইউসি নিউজঃ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের গবেষণা বাজেটের অর্থায়নে একটি প্রজেক্টের কাজে
কয়েকদিনের জন্য মিউনিখ গিয়েছিলাম! ফিরলাম এইমাত্র. আজ ম্যারাথন বৈঠকাদি এবং
গবেষণা কার্যাদির নিরিক্ষিনের শেষদিনে ইইউর এই এজেন্সির প্রধানের সাথে
অনেক বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা হলো. তার এজেন্সির অধীনে বার্ষিক 90 মিলিয়ন ইউরোর
গবেষণা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হয়. অনেক বড়ো-সরো মাপের লোক. বিকালে মিটিং শেষে
এয়ারপোর্টে যাওয়ার পালা! সবাই আজ বাসায় ফিরবে. আমি আবার যখনি পারি, পাবলিক
ট্রান্সপোর্ট নিতে চেষ্ঠা করি! পাবলিক ট্রান্সপোর্ট পরিবেশ বান্ধব
ট্যাক্সির তুলনায়! আমাদের মিটিং ছিল মিউনিখের এয়ারবাস কোম্পানির গবেষণা
কেন্দ্রে! আমি এয়ারবাসের প্রধান ফটকের বাইরে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি.
মিউনিখ শহরে যাবো বাসে করে, তারপর ট্রেন ধরে সোজা এয়ারপোর্টে. গিয়ে দেখি,
এজেন্সি প্রধানও দাঁড়িয়ে আছেন বাসের জন্য! আরেক দফা লম্বা আলোচনার সুযোগ
হলো উনার সাথে. প্রায় একঘন্টা অনেক কথা বললাম, ইউরোপে চরম ডান পন্থীদের
উত্থান, ব্রেক্সিট, ইউরোপে দক্ষ জনশক্তির চরম সংকট, ইত্যাদি ইত্যাদি কোন
কিছুই বাদ যায়নি! সাথে ইসলাম এবং মুসলমান ইস্যু নিয়েও অনেক কথা হলো!
আজকে আমার আসলে আবারো বোধোদয় হলো, ইউরোপিয়ানদের কাছ থেকে আমাদের অনেক শিক্ষার আছে! আমরা দুই টাকার ব্যবসায়ী হলেই পাঁচটা ড্রাইভার রাখি! এই কিছুদিন আগে শুনলাম, প্রধানমন্ত্রীর সাথে কয়েক ডজন লোক নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন জাতিসংঘের বার্ষিক অধিবেশনে. সেখানে তাদের জন্য নাকি কয়েক ডজন গাড়ি ভাড়া করা হয়েছিল! হায়রে দেশ, রাজনীতিবিদরা দেশের কোষাগারের টাকাকে নিজের বাপের টাকা বলে মনে করেন. যাক যে, কাজের কোথায় আসি! গত বছর নভেম্বরে লস এঞ্জেলস যাবো, স্টকহোল্ম শহরে ট্রেনে উঠেছি অরলান্ডা যাবো বলে! উঠে দেখি, সুইডেনের তৎকালীন সরকারের আবাসন এবং আইটি মন্ত্রী আমাদের বন্ধু-বৎসল মেহমেত কাপলান বসে আছেন. উনিও লস এঞ্জেলস যাবেন একটা কনফারেন্সে! অনেক কথা, এর মাঝে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, মন্ত্রী হিসেবে আপনার নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা নেই যে! উনি হেসে বললেন, আমরা রাজনীতিবিদরা যদি সাধারণদের মতো চলতে না পারি, তাহলে বুঝতে হবে, এ দেশের রাজনীতি এবং সরকার ব্যবস্থ্যা নষ্ট হয়ে গেছে!
লাস্ট বাট নট লিস্ট, শেখার আছে অনেক কিছু! আমাদের চোখকান আরো খুলা উচিত! আরো শেখা এবং বুঝা উচিত!
লেখাটি লিখেছেনঃ Imadur Rahman
আজকে আমার আসলে আবারো বোধোদয় হলো, ইউরোপিয়ানদের কাছ থেকে আমাদের অনেক শিক্ষার আছে! আমরা দুই টাকার ব্যবসায়ী হলেই পাঁচটা ড্রাইভার রাখি! এই কিছুদিন আগে শুনলাম, প্রধানমন্ত্রীর সাথে কয়েক ডজন লোক নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন জাতিসংঘের বার্ষিক অধিবেশনে. সেখানে তাদের জন্য নাকি কয়েক ডজন গাড়ি ভাড়া করা হয়েছিল! হায়রে দেশ, রাজনীতিবিদরা দেশের কোষাগারের টাকাকে নিজের বাপের টাকা বলে মনে করেন. যাক যে, কাজের কোথায় আসি! গত বছর নভেম্বরে লস এঞ্জেলস যাবো, স্টকহোল্ম শহরে ট্রেনে উঠেছি অরলান্ডা যাবো বলে! উঠে দেখি, সুইডেনের তৎকালীন সরকারের আবাসন এবং আইটি মন্ত্রী আমাদের বন্ধু-বৎসল মেহমেত কাপলান বসে আছেন. উনিও লস এঞ্জেলস যাবেন একটা কনফারেন্সে! অনেক কথা, এর মাঝে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, মন্ত্রী হিসেবে আপনার নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা নেই যে! উনি হেসে বললেন, আমরা রাজনীতিবিদরা যদি সাধারণদের মতো চলতে না পারি, তাহলে বুঝতে হবে, এ দেশের রাজনীতি এবং সরকার ব্যবস্থ্যা নষ্ট হয়ে গেছে!
লাস্ট বাট নট লিস্ট, শেখার আছে অনেক কিছু! আমাদের চোখকান আরো খুলা উচিত! আরো শেখা এবং বুঝা উচিত!
লেখাটি লিখেছেনঃ Imadur Rahman
0 comments:
Thank you