আই আই ইউ সি নিয়ে মিডিয়ার মিথ্যাচারের উপযুক্ত জবাব
১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত 'আই আই ইউ সি' দেশের অন্যতম প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি যা প্রায় ৫৭ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত। এখানে বর্তমানে প্রায় ১৮ হাজার ছাত্র- ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। আইআইইউসি'তে পূর্নকালীন শিক্ষকদের সংখ্যা ৪৫০+। মনে রাখতে হবে সকল পাবলিক এবং প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির মধ্যে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার স্কলারশীপসহ বিদেশী ছাত্র অধ্যয়ন করে একমাত্র 'আই আই ইউ সিতে'।
সারাদেশে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির মধ্যে গ্র্যাজুয়েশন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইআইইউসি দ্বিতীয়।
নয়নাভিরাম এই ক্যাম্পাসে যারা একবার এসেছেন তারাই মুগ্ধ হয়েছেন, তাদের কাছে মনে হতে বাধ্য এ যেন দেশের ভিতর এক টুকরো বিদেশ।
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়া পর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র চারটি সমাবর্তন হয়েছে, অথচ ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আইআইইউসি'তে অলরেডি তিনটি সমাবর্তন হয়েছে। ২০০২ সালে আইআইইউসি কুমিরা ক্যাম্পাস উদ্ভোধন করতে (কুমিরা, সীতাকুন্ড) পল্লীগ্রামে মহামান্য রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে নিয়ে আসা হয়েছিলো। তৃতীয় সমাবর্তনে ক্যাম্পাসে আসেন তৎকালীন মহামান্য রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজ উদ্দিন আহমেদ।
.
দেশের সকল ইউনিভার্সিটির মধ্যে আইআইইউসি'র সিএসই(CSE) ডিপার্টমেন্ট সর্বপ্রথম BAETE (Bangladesh Accreditation for Engineering and Technical Education) এক্রিডিটেশান লাভ করে। আধুনিক ও ইসলামিক শিক্ষার সমন্বয় সাধন করে 'আই আই ইউ সি' সর্বপ্রথম দেশে
ইসলামিক স্কলার তৈরীর উদ্দেশ্যে চালু করে শরীয়াহ ফ্যাকাল্টি। শরীয়াহ অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ডিপার্টমেন্ট গুলো হলো কোরআনিক সায়েন্স এ্যন্ড ইসলামিক স্টাডিজ, দাওয়াহ এ্যন্ড ইসলামিক স্টাডিজ এবং সায়েন্স অব হাদিস এ্যন্ড ইসলামিক স্টাডিজ।
.
ছাত্র-ছাত্রীদের পৃথক ক্যাম্পাসে (প্রায় ৩০ কি. মি. ব্যবধানে।) শিক্ষাদান করে 'আই আই ইউ সি' দেশে এক অনন্য নজির স্থাপন করে যা ইসলাম বিরোধী পক্ষদের চুলকানির কারণ বলে বার বার প্রমানিত হয়েছে।
.
আইআইইউসি'র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ছিলেন বিশ্ববরণ্য ব্যক্তিবর্গ যাদেরকে একনজর দেখতেও অনেকে জীবনভর ইচ্ছা পোষণ করেন। এরমধ্যে অন্যতম একজন হচ্ছেন সৌদি আরবের পার্লামেন্টের সাবেক স্পিকার। চট্টগ্রাম ভিজিট করতে আসা ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ে অতিক্রমকারী বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং কূটনীতিকরা যখন তখন সৌন্দর্য উপভোগের জন্য ঢুকে পড়েন ক্যাম্পাসে। ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আর ওআইসি'র কর্মকর্তারা উড়ে আসেন হেলিকপ্টারে করে। প্রতিদিন মন্ত্রমুগ্ধের মত তাকিয়ে থাকেন ক্যাম্পাসের পাশ দিয়ে ছুটে চলা ট্রেনের হাজার হাজার যাত্রী।
.
নান্দনিক সৌন্দর্যের দেশের সবচেয়ে বড় এই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির একপাশে সাগর আর অন্য পাশে সবুজ পাহাড়ের মিতালী। পাহাড় আর সাগরের কোল ঘেঁষে প্রতিষ্ঠিত চঞ্চলা হরিণী 'আই আই ইউ সি' আজ নানামুখি ষড়যন্ত্রের শিকার। বহিঃবিশ্বের কোটি কোটি টাকার আর্থিক অনুদান আজ আটকে আছে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যা দিয়ে আমরা আরো বেশি বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারতাম। চড়তে পারতাম নিজস্ব শাটল ট্রেনে।
.
একসময়ের দেশ কাঁপানো আইআইইউসি'কে আজ জন্মপরিচয়হীন কুলাঙ্গাররা পর্যন্ত আঙ্গুল দেখাতে পরোয়া করছে না। হরেক রকম শকুনের ছোবল থেকে আইআইইউসি'কে রক্ষা করার জন্য আজ প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদেরকে বুঝতে হবে আমাদের প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ করতে আসা নরকের কীটরা ১৮হাজার আইআইইউসিয়ানের পদধূলির তীব্র মরুঝড়ের ধূলিকণায় খড়কুটোর মত উড়ে যাবে, ইনশা'আল্লাহ।
0 comments:
Thank you