চল যাই কুমিরাতে
আজ রাত পোহালেই বালক বালিকারা তাহাদিগের প্রাণের ক্যাম্পাস কুমিরায় পৌঁছিবে। যাহার জন্য তাহাদিগের কোন উচ্ছাসের কোন কমতি নেই। এ যেন এক মহামিলনের মিছিল মঞ্চস্থ হইবার অপেক্ষা। জঙ্গিবাদ আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখিয়া দাঁড়াইবার জন্য সকলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলাইয়া প্রতিবাদের নিমিত্তে সকলে অধির আগ্রহে ক্ষণ গুনিতেছে।
.
ইহার চাইতে বড় কথা ইউজিসির আইন মান্য করিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম মূল ক্যাম্পাসে লইয়া যাইবারও এই এক মহা উদ্যোগ। এই দিনেই হয়ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসিবে ভাইবোন সকলে মিলিয়া একই ক্যাম্পাসে বিদ্যার্জন করিবে। অবশ্যই সকলে ভাইবোন হইয়া থাকিবে নতুবা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়িবার সমূহ সম্ভাবনা রহিয়াছে।
.
ইত্যবসরে বালিকাদিগের আগমন হেতু বালককুল
যারপরনাই ব্যতিব্যস্ত হইয়া উঠিয়াছে। একটু সাজগোজ না করিলে কি হয় নাকি। কাজী সাহেব
যথার্থই বলিয়া গিয়াছেন নারী বড়ই প্রেরণাদায়ী।
.
বালিকাকূল যে একেবারে নিশ্চুপ হইয়া আছে তাহা কিন্তু নয়। তাহারাও নতুন উদ্যোমে শপিং করিবার নিমিত্তে শপিং কমপ্লেক্স আর পার্লার গুলোতে হানা দিয়া বেড়াইতেছে। অনেকে আবার
ভাবিতেছে কুমিরায় এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে নিজেদের অবগাহন করিতে কৃত্রিম রূপচর্চা না
করিয়া বরং প্রাকৃতিক আটা, ময়দা, সুজি এবং
বেসনে নিজেদের রাঙাইয়া তুলিবে। এক্ষেত্রে
অনেকেই তীর কোম্পানির পণ্য খোঁজাখুঁজি শুরু
করিয়াছে, যাহার ফলস্বরূপ বাজারে খাবারের জন্য
প্রয়োজনীয় আটা, ময়দা, সুজির যথেষ্ট সংকট তৈরি হইয়াছে। এমন পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে নগরীর বিভিন্ন কোম্পানির পদস্থ কর্তাদের ঘনঘন
আলোচনা চলিতেছে বলিয়া জানা গিয়াছে।
.
শেষ কথা হইলো সকলে একত্রে আসিয়া কোন
বিশৃঙ্খলা না করিয়া বরং শৃঙ্খলাবদ্ধ হইয়া ভায়ে
ভায়ে এবং বোনে বোনে কাঁধে কাঁধ, হাতে হাত
ধরিয়া মানববর্ম তৈরি করিয়া সকল সন্ত্রাস রুখিয়া
একটি অপূর্ব মোহনীয় বিশ্ব গড়িয়া তুলিতে শপথ
করিবেন। অতঃপর কুমিরা ক্যাম্পাসে একখানা সুন্দর সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সকলে বিদ্যার্জনের
মাধ্যমে বিশ্বে নিজ নিজ কর্মগুণে নিজ দেশের
সম্মান তুলিয়া ধরিতে পারেন এই কামনাই রহিল।
0 comments:
Thank you