হাতি যখন গর্তে পড়ে, পিঁপড়াও তখন মাথায় উঠে ভেলকি মারে.....!
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের প্রাইভেট ভার্সিটি গুলোর অন্যতম কর্ণধার 'আই আই ইউ সি' কে নিয়ে ইউজিসি আর মিডিয়ার করা কিছু রিপোর্ট পড়ে তেমনি কিছু সন্দেহের আছ করতে পারছি। সরকারের উচ্চ মহল থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাম ধারার লোকজনের মাঝেই এই ভার্সিটি নিয়ে খুব এলার্জি কাজ করছে দেখছি।
.
প্রথমত; এটি এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয়, যেটি ইসলামী মূল্যবোধ ও সঠিক আকীদায় আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের সাথে ইসলামী ভাবধারার যুগপৎ শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর নজীর স্থাপন করে দেখিয়েছে বাংলাদেশে।
.
দ্বিতীয়ত; যখন শুনি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের ছাত্রছাত্রী রা ও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করছে অত্যন্ত সুনামের সাথে তখন নিন্দুকদের এলার্জি আরও বেড়েই চলে প্রতিনিয়ত।
.
তৃতীয়ত; যখন দেখি, শুধু শিক্ষক ও শিক্ষিকা মণ্ডলীই নয়, এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বিভিন্ন অনুষদের ছাত্রছাত্রীরা বিদেশের বিভিন্ন স্কলারশিপ নিয়ে পিএইচডি ও মাস্টার্স এর জন্য উন্নত দেশগুলোতে অধ্যায়নরত আছে, তখন নিন্দুকের গা জ্বালা করে আরও বেশিই।
.
চতুর্থ; দেশের প্রায় সব সরকারী এবং বেসরকারি ব্যাংক গুলোতেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা কর্মরত আছেন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে। দেশের
ব্যাংকিং খাতের অন্যতম প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক ও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আছেন। তাছাড়া অনেক দেশী বিদেশী কোম্পানিতেও এই
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী রা কর্মরত আছে।
.
পঞ্চম; সারাদেশে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোর মধ্যে গ্র্যাজুয়েশন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যখন 'আই আই ইউ সি' দ্বিতীয় হয় মিথ্যাচারীদের গায়ে শিহরণ দিয়ে উঠে তখনও।
.
ষষ্ঠ; বিশ্বব্যাংকের গবেষণা র্যাংকিং এ যখন 'আই আই ইউ সি' নাম উঠে আসে তখন নিন্দুক কীটদের চোখের ছানা অনেক বড় হয়ে উঠে, আর মাথায় কীটবুদ্ধি খেলতে শুরু করে কিভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ধারা ব্যাহত করা যায়।
.
সপ্তম; ইসলামী ভাবধারায় পরিচালিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টির সাথে যখন বিশ্বের সব বাঘা বঘা ইউনিভার্সিটির MOU স্বাক্ষরিত হয়, তখন বাম ধারার লোকদের মাথা ব্যাথার কারন হয়ে যায়, কেন এই উন্নয়ন রথ আই আই ইউ সি'র।
.
অষ্টম; উচ্চতর লেভেলে এসেও যে কো এডুকেশনের বিপরীত শ্রোতে অনন্য ও আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতির নজীর স্থাপন করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলাম বিরোধীদের মাথা ব্যাথা তখন আরও বেড়ে গিয়েছে বহুগুনেই।
.
নবম; দেশের গন্ডি পেরিয়ে যখন আন্তর্জাতিক ভাবেও এই বিশ্ববিদ্যালয় নিজের অবস্থান জানান দিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববাসীকে, ঠিক তখনই কুচক্রকারীদের অপপ্রচারে জর্জরিত হতে হচ্ছে কেন! তা যে কোন বিবেকবান ও সচেতন মানুষমাত্রই বুঝেন।
.
দশম; নিজস্ব নান্দনিক ও সুবিশাল অনুমোদিত ক্যাম্পাসে যাদের জয়যাত্রা চলছে, ঠিক তখনিই মুরগীর খোপের মত কোন খামারে, বা রাস্তার ড্রেনের উপরে গড়ে উঠা বিশ্ববিদ্যালয় নামক খামার গুলো অনুমোদিত হয় সরকারি পৃষ্টপোষক মিডিয়া দ্বারা...
.
তাই আজ খোলা প্রশ্ন রেখে দিলাম জাতির বিবেকের কাছে, জাতির মেরুদন্ড গড়ে তুলার এই নৈস্বর্গিক কারখানাকে কোন অর্থে আপনি অবৈধ বলবেন!!!?
.
গল্পের শেষে বলতে চাই, সব পিঁপড়াগুলো আজ সুযোগ পেয়ে হাতির মাথার উপর উঠে ভেলকি মারছে, অথচ যারা এতদিন পদতলে পিষ্ট হওয়ার আশংকায় মগ্ন ছিলেন খুব বেশি। মিডিয়ার কল্যানে হোক বা সরকারি মদদে হোক, শত অপপ্রচার স্বত্তেও, ইনশা'আল্লাহ 'আই আই ইউ সি' এই মিথ্যাচারের জবাব দিবে খুব অল্প সময়েই, শিক্ষা ও গবেষনার উন্নয়ন দিয়ে। সবাই আল্লাহর উপর ভরসা রেখে নিজের বিশ্বাসের উপর অনড় থাকুন। কেউ সফলতা ঠেকাতে পারবে না এই বিশ্ববিদ্যালয়ের।
.
ফী আমানিল্লাহ...
0 comments:
Thank you