"দেশের সবচেয়ে বড় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় : সবচেয়ে বড় মানববন্ধন"
International Islamic University Chittagong (IIUC) দেশের সবচেয়ে বৃহৎ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। নামের সাথে মিল রেখেই আজ পহেলা আগষ্ট ক্যাম্পাসে আয়োজিত হলো দেশের সবচেয়ে বড় "জঙ্গীবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ" বিরোধী সমাবেশ এবং ৰ্যালী।
.
র্যালীতে উপস্থিত ছিলেন IIUC' ভারপ্রাপ্ত ভিসি এবং বর্তমান প্রোভিসি প্রফেসর ড. দেলোয়ার হোসেন সহ প্রশাসন এবং শিক্ষকদের সর্বস্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
.
গত কিছু দিন পূর্বে রাজধানীর হলি আর্টিজন বেকারী এবং শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে সারাদেশ জুড়ে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে সেই হাওয়া এসে লেগেছে আইআইইউসির পালে। উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ এবং ছাত্র-ছাত্রী আজ সমস্বরে ঘোষণা করেছেন জঙ্গীবাদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নাই , সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম নাই।
.
এক পরিসংখ্যানে জানা গিয়েছে আজকের ৰ্যালীতে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল প্রায় ছয় হাজার জন( ৬০০০ জন)। এই বিপুল সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী পরিবহনের জন্য ছিল ১০০ বাস, আরো ছিল সকলের জন্য দুপুরের খাবারের আয়োজন।
.
এ যেন এক তুঘলকি কারবার। এই বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীর সমাবেশে ঘটেনি কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা। তীব্র রোদ উপেক্ষা করে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েতে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। উল্লেখ্য প্রখর রোদের তীব্রতায় কয়েকজন ছাত্রী জ্ঞান হারিয়েছেন যাদেরকে সাথে সাথেই অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
.
ৰ্যালী শেষে আলোচনায় বক্তারা বলেন, "IIUC কখনো জঙ্গীবাদকে প্রশ্রয় দিবেনা, জঙ্গীরা মানবতার শত্রু, ইসলামের শত্রু এবং দেশের জন্য হুমকি। দেশ থেকে অবিলম্বে জঙ্গীবাদ নির্মুল করে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে।"
.
সাম্প্রতিক স্থানীয় পত্রিকায় বিভিন্ন অসত্য তথ্য প্রচারের বিষয়ে বিজনেস ফ্যাকাল্টির ডীন প্রফেসর ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী বলেন, "বর্তমানে IIUC এর বয়স ২০ বছর। এই ২০ বছরে IIUC এর ঈর্ষণীয় সাফল্যে কিছু মহল সহ্য করতে না পেরে অপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।"
.
সমাবেশ থেকে আরো ঘোষণা দেয়া হয়, "আজ থেকে IIUC এর সকল কার্যক্রম কুমিরাতে চালু হলো।" উল্লেখ্য আগামী ৬ তারিখ থেকে অনার্সের নিয়মিত ক্লাস হওয়ার কথা রয়েছে যা শীঘ্রই নোটিশ আকারে জানানো হবে।
.
ৰ্যালী শেষে ছাত্র-ছাত্রীরা হাইওয়ে থেকে ক্যাম্পাসে ফিরে আসে এবং দুপুরের খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
0 comments:
Thank you