উদ্যোগহীন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
অনন্ত আকাশ,এডিটর,আই আই ইউ সি নিউজঃ
বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় একেবারেই উদ্যোগ নেয়নি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে
সোমবার (২৭ জুলাই) সচিবালয়ে এক বৈঠকের পর এ হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষামন্ত্রী।
বর্তমানে অনুমোদিত ৮৩টি বেসরকারি এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৩৭টি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে ফিরতে বেঁধে দেওয়া চতুর্থ দফার সময় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে। গত বছরের ২৬ জানুয়ারি সচিবালয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন অনিয়ম, মামলা সংক্রান্ত জটিলতা এবং অনিষ্পন্ন বিষয় পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী বলেছিলেন, স্থায়ী ক্যাম্পাসে না গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ওইসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন মন্ত্রী।
বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসের তথ্য তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বেসরকারি ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব ক্যাম্পাসে গিয়েছে। ৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক এবং ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাসে অবকাঠামো তৈরি করছে। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্ল্যান পাস করেছে। তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জমি কিনেছে। নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার ব্যাপারে যারা একেবারেই উদ্যোগ নিচ্ছে না, নিশ্চয়ই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো- বলেন মন্ত্রী। ব্যবস্থা নিতে গেলেও মামলার কারণে তা আর এগোয় না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় মামলা করে আদালতের অনুমতি নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মামলায় রায় পেলেই এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১৯৭৩ সালের ইউজিসি কাঠামো নিয়ে ২০১৫ সালে এসে কাজ করা যায় না মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইউজিসিকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। ইউজিসিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল গঠনের প্রক্রিয়াও শেষের দিকে বলে জানান মন্ত্রী।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ৬৩ শতাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে বলে বৈঠকে জানান ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল
মান্নান। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক স্বল্পতা, পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষের অভাব রয়েছে জানিয়ে এগুলোর পড়াশোনার মান কীভাবে আরও বাড়ানো যায় তা নিয়ে আগামী ১৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে ইউজিসি বৈঠক করবে। ওই বৈঠকে নিজস্ব ক্যাম্পাসে না যাওয়াসহ অন্যান্য বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব অরুণা বিশ্বাস ছাড়াও মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি’র কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।....... খবরঃ বাংলা নিউজ২৪
উল্লেখ্য,স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়া প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় আছে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার অদূরে সীতাকুন্ডের কুমিরায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ৪০একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ও দৃষ্টিনন্দন আই আই ইউ সি ক্যাম্পাস। এছাড়া এ ক্যাম্পাসের উন্নয়নের কাজ চলমান আছে এবং ভবিষ্যতে ১৫০ একর মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হবে। ৫টি আবাসিক হল,৪টি একাডেমিক বিল্ডিং,১টি প্রাশাসনিক ভবন,১টি মসজিদ ভবন, ১টি লাইব্রেরী ভবন, ১টি অডিটোরিয়াম ও শিক্ষক আবাসিক এলাকা সহ খেলার মাঠ, বাস্কেট গ্রাউন্ড,ক্যাফেটেরিয়া,ম্যাডিকেল সেন্টার ইত্যাদি স্থাপনা নিয়ে সুসজ্জিত বর্তমান ক্যাম্পাস। ইতিমধ্যে আরো একটি নতুন ভবন ও ২টি হলের কাজ শেষ হওয়ার পথে।
0 comments:
Thank you