সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর, আই আই ইউ সি
অনন্ত আকাশ, এডিটর, আই আই ইউ সি নিউজ ।। প্রফেসর ড. এ.কে.এম আজহারুল ইসলাম স্যার,মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম। শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬৮ সালের জানুয়ারি মাসে।
১৯৭২ সালে ড. আজহারুল ইসলাম লন্ডন ইউনিভার্সিটির ইম্পেরিয়াল কলেজ অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি থেকে পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর, চেয়ারম্যান এবং অনুষদের ডীন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রফেসর ড. এ.কে.এম. আজহারুল ইসলাম ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রথম পূর্ণ মেয়াদে এবং চ্যান্সেলরের নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত দ্বিতীয় মেয়াদের ২০০৮ সালের ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম–এর ভাইস–চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১২সালে তিনি ৩য় বারের ভিসির দায়িত্ত গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, তিনি ১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ভিসি প্যানেলে নির্বাচিত হন। প্রফেসর ইসলাম গত প্রায় ৪৬ বৎসর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষকতা, গবেষণা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা উন্নয়নের কাজে নিয়োজিত আছেন। নিজস্ব বিষয়ে শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ ছাড়াও বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ধর্ম ও সমসাময়িক বিষয়ে প্রায় ৭৫টি প্রবন্ধ দেশী ও বিদেশী সাময়িকী ও পত্র পত্রিকায় এবং ১৩টি গ্রন্থ দেশ ও বিদেশে প্রকাশিত হয়েছে। প্রফেসর আজহারুল ইসলাম ‘অতিবাহিতা’ বা superconductivity উপর গবেষণার জন্য ২০০১ সালে ডিসেম্বর মাসে “আন্তর্জাতিক ISESCO science award –২০০১ লাভ করেন। বিদেশে গিয়ে তিনি সম্মাননাসহ পাঁচ হাজার ডলার পুরস্কারও গ্রহণ করে এসেছেন। তিনিই বাংলাদেশীদের মধ্যে প্রথম বিজ্ঞানী যিনি প্রথম এই পুরস্কার লাভ করেন। ৫৭টি। বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতি বছর ৫টি বিষয়ে ১ জন বিজ্ঞানীকে এই পুরস্কার দিয়ে।থাকে।
এছাড়া প্রফেসর আজহারুল ইসলাম তাঁর গবেষণামূলক মৌলিক কাজ–এর জন্য ল বিজ্ঞানে “বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন পুরস্কার ১৯৯৭’’ এবং প্রেসিডেন্ট কর্তৃক ‘‘বাংলাদেশে একাডেমী অব সায়েন্সেস–এর গোল্ড মেডেল’’ লাভ করেন। ইতোপূর্বে ১৯৬৭–৬৮ সালে সার্বিকভাবে বিবেচিত পাকিস্তানের তৎকালীন পাকিস্তান প্রেসিডেন্টের সর্বোচ্চ পুরস্কার, গোল্ড মেডেলসহ অন্যান্য পুরস্কার লাভ করেন। তিনি লণ্ডনের ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্স–এর ফেলো, ইতালিস্থ অউক–এর এসোসিয়েট ও পরবর্তীতে সিনিয়র ফেলো হিসেবে ১২ বছর কাজ করেছেন। এ ছাড়াও তিনি বাংলাদেশে একাডেমী অব সায়েন্সেস–এর নির্বাচিত ফেলো এবং বাংলা একাডেমির জীবন–সদস্য।
ড. এ.কে.এম আজহারুল ইসলাম |
0 comments:
Thank you