সাঙ্গু পত্রিকার রিপোর্ট ও কিছু কথা
"পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আদালত মানুষের বিবেক" এই প্রবাদবাক্য টি চলতে ফিরতে কিংবা বাস/ গাড়ির বডিতে দেখি। যার মর্মার্থ বুঝতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার দরকার হয় না। সাধারন লোকেও বুঝবে। কিন্তু আমারা IIUCIAN ভাই-বোনদের অনেকেই বুঝতে চান না। যাহোক,আবারো বলছি একবার বিবেবকে প্রশ্ন করুন ; পত্রিকায় প্রদত্ত IIUC কে নিয়ে UGC বিজ্ঞপ্তির কথা। যেটির স্বারক ইস্যু করা হয় ২০১৪ সালে কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে প্রকাশিত করল ২০১৬ সালে! এতোদিন প্রকাশ না হওয়ার কারন কি? ( ছবিতে দেখুন বিজ্ঞপ্তিটা)
UGC ওয়েবসাইটে প্রদত্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় নামের পাশে একটা থেকে শুরু করে চারটা পর্যন্ত * (স্টার) ইন্ডেকেটর আছে। তার মধ্যে চট্রগ্রামের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় যথাক্রমে বিজিসি এবং আইআইইউসি। সবগুলো স্টার পাওয়া ভার্সিটির কথা বাদ দিলাম। যদি শুধুই চট্রগ্রামের কথাই বলি, তাহলে বিজ্ঞপ্তি তে বিজিসির ব্যাপারে কোন কথা থাকল না কেন? একটা মাত্র স্টার পাওয়া IIUCর কথা বললেন
কিন্তু দুইটা স্টার পাওয়া বিজিসির কথা জনসাধারণ কে জানালেন না সেটাও আশ্চর্যজনক বৈ কি! বলা হচ্ছে ২০১০ সালের আইনের আওতায় অবৈধ ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে IIUC। প্রশ্ন হচ্ছে UGC এতদিন কোথায় ছিল?
নিয়মঅনুযায়ী UGC প্রত্রিকায় কোন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার আগে বিশ্ববিদ্যালয় কে নোটিশ দেয়। কিন্তু এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগে IIUC কেন কোন নোটিশ দেওয়া হল না??? মোদ্দা কথা হচ্ছে , এসবের পিছনে কোন নটের গুরু দাবা খেলছে সুকৌশলে। বিবেবকে আবারো প্রশ্ন করুন তো,
যে পত্রিকায় বৃহস্পতিবার আইআইইউসির সনদ নিয়ে লাল রং হেডলাইন দিয়ে রিপোর্ট করে আবার সেই একই পত্রিকায় পরের দিন শুক্রবার সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষার বাতিঘর বলে বিশেষ প্রতিবেদন করে!!! এটা কোন ধরনের সংবাদনীতি কিংবা সাংবাদিকতা আমার বোঝে আসেনা। যদিও অনেকেই জানেন আমি ঠিকঠাক সাংবাদিকতা করি জাতীয় পত্রিকা এবং জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টালে। সাংবাদিকতার দুটি কোর্স করেছি। তারপরেও সাঙ্গু পত্রিকার নীতি আমার বোধগম্য নয়।বএই সাঙ্গু পত্রিকায় ভুয়া তথ্যভিত্তিক রিপোর্ট করার কারনে চট্রগ্রামের বড় কোম্পানি কেডিএস -KDS কর্তৃক মামলায় সম্পাদককে গ্রেপ্তার এবং সাজা ঘোষনা দেয় মাত্র কিছুদিন আগে। এই সাঙ্গু পত্রিকার গোস্টি বিরাট ঢোল বাজিয়ে #প্রিয়_চট্রগ্রাম নামে আরো ট্যাবলয়েড পত্রিকার প্রকাশনা শুরু করে গত পহেলা ( ০১-০২-২০১৬) ফেব্রুয়ারি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা সবাই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের রাজনীতিবিদ। একটি পত্রিকা যদি নিরপেক্ষ হয় তাহলে সকল রাজনৈতিক দলের ব্যাক্তির উপস্থিত নিশ্চিত করত। শুধু তাই নয়, প্রিয়_চট্রগ্রাম প্রত্রিকাটি প্রথম সংখ্যা থেকে এই (১ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত বহুবার সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। কাজেই এটা আর প্রশ্ন রাখেনা কে বা কারা IIUC ·র অর্জন কে ধূলিসাৎ করে পায়দা লুটতে চাই। তবে এটা বলাই বাহুল্য ষড়যন্ত্রকারীদের এসব অপচেষ্টা কখনো সফল হবে না
ইনশাআল্লাহ।
রায়হান ওয়াজেদ চৌধুরী
অস্টম সেমিস্টার
আইন বিভাগ, আইআইইউসি।
0 comments:
Thank you