আই আই ইউ সিকে নিয়ে সাঙ্গু ও চট্টগ্রাম মঞ্চ পত্রিকার মিথ্যা রিপোর্ট
প্রধান প্রতিবেদক,আই আই ইউ নিউজ,চট্টগ্রাম। ঃ ২টাকার স্থানীয় পত্রিকা কিংবা পরিচয় বিহীন অনলাইন পত্রিকার রিপোর্টেই যদি IIUC নিষিদ্ধ হয়ে যেত তবে তা বহুকাল আগেই হত। সুযোগ পেলেই IIUC’র বিরুদ্ধে অনেক ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও ব্লগে বহুকাল আগে থেকেই একটি সংঘবদ্ধ গোষ্ঠি ফলাও করে প্ররোচিত প্রতিবেদন ছাঁপিয়ে জনমতকে বিভ্রান্ত করছে অথচ আদৌ কেও IIUC’র একটা চুল ছিঁড়তে পারল না, কতটা কাপুরুষতা!
.
দেশের অন্যান্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে মতো আই আই ইউ সিতেও ক্যাম্পাস বৈধতা নিয়ে সমস্যা থাকতেই পারে। হ্যাঁ, সম্প্রতি সিটি ক্যাম্পাস,ফিমেল ক্যাম্পাস নিয়ে ইউজিসির নোটিশ নিয়ে প্রশ্ন করা যেতেই পারে। চট্টগ্রামের স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত ইউজিসির অই নোটিশ শুধু মাত্র আই আই ইউ সিকে টার্গেট করে কেন??? চট্টগ্রামে অবৈধ শাখা ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে এমন একাধিক ইউনিভারসিটি আছে। শুধু আই আই ইউ সির কথা কেন ফলাও করে প্রচার???? ভেজাল টা তাহলে কোথায়, ভেবে দেখার জন্য আপনাদের উপরই ছেড়ে দিলাম।
.
যাই হোক,পরের দিনই আই আই ইউ সি অথরিটি ইউজিসির নোটিশের বিপরীতে তাদের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে নোটিশ আকারে চট্টগ্রামের বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যেটা নিয়ে আমরা সবাই অবগত। সিটি ক্যাম্পাসে ভর্তি বন্ধ করে তা ধীরে ধীরে গুটিয়ে নেয়ার কথাও বলা হয় অই নোটিশে। অথচ উভয় পক্ষের বক্তব্য তুলে না ধরে দিচট্টগ্রাম মঞ্চ নামের একটি স্থানীয় পত্রিকা তাদের পত্রিকার সস্তা খ্যাতির জন্য নিউজ করে আই আই ইউ সির ডিগ্রী ইউ জিসির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। অথচ জনসার্থে প্রচারিত ইউজির অই বক্তব্যে বলা হয়েছে আই আই ইউ সির কুমিরা ক্যাম্পাস ছাড়া অন্য কোন ক্যাম্পাস এ ভর্তি হতে নিষেধ করা হয়েছে, বলা হয় নি ডিগ্রী গ্রহণ যোগ্য নয়। অথচ তিল কে তাল করার মত একটি মহল এ সুযোগ নিয়ে আই আউ ইউ সির রেপুটেশন খারাপ করে নিজেদের সার্থ হাসিলের ব্যার্থ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সাঙ্গু নামের স্থানীয় অন্য একটা পত্রিকার রিপোর্ট এ দেখলাম তারা বলেছে আই আই ইউ সিতে নাকি রাজনীতি করা হয় এবং এখানে প্রকাশ্যে নাকি শিবির এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়। অথচ ভর্তির পর থেকে কোন রাজনীতিমূলক কোন মিছিল স্লোগানই দেখলাম না,আর এরা এসব কি বলে!!! অথচ অনেক ভার্সিটিতেই প্রকাশ্যে রাজনীতিক ব্যানার লাগিয়ে মিটিং মিছিল করা হয়,তখন আপনাদের চুলকানী আসে না,চুলকানী সব আই আই ইউ সির ব্যাপারে। অথচ আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে সাঙ্গু পত্রিকা পরের দিন শুক্রবার চট্টগ্রামের অন্য আরেকটি প্রাইভেট ভার্সিটিকে চট্টগ্রামের উচ্চ শিক্ষার বাতিঘর বলে নিউজ করে। সুতরাং এ সাঙ্গু প্রত্রিকার উদ্দ্যেশ্য কি ভাল নাকি খারাপ, আপনাদের বিবেকের কাছে বিবেচনার জন্য ছেড়ে দিলাম।
.
যুগান্তর প্রত্রিকার তৎকালীন সময়ে রিপোর্ট ছাঁপিয়েছিল যে IIUC কুমিরা ক্যাম্পাসের সাথে হাটহাজারি মাদ্রাসার পাহাড়পথে গোপন সুরঙ্গ রয়েছে, এখানে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নেয় জঙ্গিরা! কই এমন রিপোর্টে IIUC কি বন্ধ হয়ে গেছে? এরকম অসংখ্য মিথ্যা প্ররোচিত রিপোর্টের সত্যতা যাচাই আজো সম্ভব হয়নি কখনো হবেও না।” এইতো বছর খানেক আগে গণজাগরণ মঞ্চ যখন খুব লাফাচ্ছিল তারা IIUC কে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল। কি কি হল??????? অথচ আই আই ইউসির ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি যোগীতা বেড়েই চলেছে। বলে রাখা ভাল এই IIUC নিজেওIIUM/Malaysia এর সিস্টার কনসার্ন সেইসাথে OIC’র মতো বহুজাতিক অসংখ্য আন্তর্জাতিক সংস্থা শুরু থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে আসছে।
.
সেসময়ের কোন এক বিকেলে তৎকালীন ক্যাম্পাস চীফ ড. সোবহানী স্যার বিকেলে সেন্ট্রাল মসজিদে আসরের নামাজ শেষে ক্যাম্পাসে লুঙ্গি কিংবা হাফপ্যান্ট পড়ে আবাসিক ছাত্রদের চলাফেরা এবং ধুমপান প্রতিরোধে এক পর্যায়ে বলেছিলেন -“সরকার যদি IIUC’র বৈদেশিক তহবিল বন্ধও করে তবে জমাকৃত অর্থে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে বিনা খরচে খায়িয়ে-পড়িয়ে এবং শিক্ষক-কর্মচারিদের ঠিকমত বেতন দিয়ে IIUC ছিঁয়াশি/৮৬ বছর তার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।” IIUC বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মত “ফকির” না যে টাকার লোভে ভর্তি কার্যক্রম অবৈধ পন্থায় বাড়াবে এবং ট্রাস্টি বোর্ডে পদবী নিয়ে অযথা দ্বন্দ্ব করবে। তবে হ্যাঁ সরকার কর্তৃক ঘোষিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক যেকোন আইন বা আদেশ মানতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মত IIUCও বাধ্য। তাই চকবাজারে শুরু হওয়া আই আই ইউ সির বিভিন্ন বিভাগ কুমিরায় আস্তে আস্তে শিফট হচ্ছে এবং এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। সরকার অনুকূলে থাকলে এতদিনে IIUC’র পূর্বঘোষিত চট্টগ্রাম থেকে কুমিরা পর্যন্ত নিজস্ব রেলব্যবস্থা বাস্তবায়ন হয়ে যেত। এই আশায় IIUC নিত্য চাহিদার বাহিরে অতিরিক্ত চল্লিশের মত বাস ভাড়ায় চুক্তিবদ্ধ করে রাখে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বপ্রথম বারোটি যে টাটা বাস কেনা হয় তা IIUC থেকেই স্বল্পমূল্যে একসাথে কেনা হয় কারণ তৎকালীন সময়ে IIUC’র এত বাসের প্রয়োজন ছিল না। যাই হোক বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বহিঃবিশ্বের কারো মাথাব্যাথা নেই এমনকি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের খুনোখুনিতেও বহিঃবিশ্বে বিন্দুমাত্র ফলাও হয়না আর IIUC’র একটা ছাত্র- বাসের আয়না ভাঙলে কিংবা কোন ত্রুটি পেলেঈ বিভিন্ন মিডিয়ার চুলকানী শুরু হয়, তারা কতটা কনসার্ন এটা বুঝতে হবে।
.
এইতো বছরখানেক আগে চীনের রাষ্ট্রদূত কয়েক গাড়ি রাষ্ট্রীয় প্রটোকল নিয়ে ঘুরতে আসলেন IIUC ক্যাম্পাসে। তার দেশের অসংখ্য চীনা ছাত্র-ছাত্রী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করে যাচ্ছেন সগৌরবে। এসেই তিনি চীনা ভাষার উপর চীন সরকারের শুভেচ্ছাস্বরূপ কোর্স চালু করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এবং সেই কোর্সে শিক্ষকবৃন্দ থাকবেন স্বয়ং চাইনিজ ভাষাবিদগণ। এভাবে ভারতী নেপালী শৃলংঙ্কান সোমালীসহ বহু দেশের শিক্ষার্থীদের তদারকি করতে নিজনিজ দেশের রাষ্ট্রদূতরা সর্বক্ষণিক আশা-যাওয়া করেন IIUC তে। এক শুভাকাঙ্খী যথার্তই বলেছেন, “বাংলাদেশের অন্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশী মেহমানের ভ্রমণ খুব নগন্য অথচ ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে গমনরত যেকোন বিদেশী কুটনিতীক মন চাইলেই এক কাপ চা খেতে IIUC তে ঢুকে পড়েন।” এটি শুধু একটি ক্যাম্পাসই নয়, রীতিমত একটি পর্যটন স্পট। বসন্তের এ সময়ে প্রতিদিনই অসংখ্য দর্শনার্থী ভীড় করছে এখানে। প্রমাণ দেখতে চাইলে আসতে পারেন কুমিরায়। সরকার খুব ভালভাবেই IIUC এর ব্যাপারে অবগত। মজার ব্যাপার বহিঃবিশ্বের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে যেকোন সরকার IIUC কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। যাক আপন ভাল পাগলেও বুঝে, আমি কখনোই কাউকে IIUC তে ভর্তি হতে পরামর্শ দেব না। শুধু এইটুকুই বলব IIUC কে নিয়ে কথা বলার আগে একটু খোঁজ-খবর নিয়ে কথা বলবেন। মিডিয়ার লোক হিংসাত্মক রিপোর্ট দেখে আর দশটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে IIUC কে গুলিয়ে ফেলে নিজের অজ্ঞতার পরিচয় দিবেন না বলে আশাবাদী।।
0 comments:
Thank you