আই আই ইউ সি'তে সফল ভাবে সম্পন্ন হলো নবীন লেখক সম্মেলন ও সাহিত্য আড্ডা ২০১৬
নিজস্ব প্রতিবেদক- বিজয় চক্রবর্তীঃ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্রগ্রামের সেন্ট্রাল অডিটোরিয়ামে দেশ
বরেণ্য লেখক সাহিত্যকদের নিয়ে নবীন লেখক সম্মেলন ও সাহিত্য আড্ডার আয়োজন করে আই আই ইউ সি
কালচারাল ক্লাব।
সকাল ৯:০০ টায়
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।উক্ত অনুষ্ঠানে
সভাপতিত্ব করেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.দেলোয়ার হোসেন স্যার।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি আল মুজাহিদী, সাহিত্য সম্পাদক যায়যায়দিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলো কবি আসাদ বিন হাফিজ, সভাপতি, সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্র।
আরো উপস্থিত ছিলো কবি মোশাররফ হোসেন খান, সম্পাদক,নতুন কিশোর কন্ঠ।
উপস্থিত ছিলো বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের সম্মানিত শিক্ষক মন্ডলী।
কবি সাহিত্যিকদের এই মিলন মেলায় বক্তব্য দিতে এসে প্রত্যেক অতিথিই বলেছেন কবি
সাহিত্যকদের কষ্টময় জীবনের কথা । কামনা
করছেন কবিদের জন্য সরকারের আরো বেশী পৃষ্ঠপোষকতা ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি আল মুজাহিদী বলেন,
আমি লিখছি আর ভাবছি। আমি
ভাবছি আর বলছি। ঘটছেটা কি? পৃথিবীজুড়ে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে এতো নির্যাতন
কেন? তাদের অপরাধ? তারা মুসলিম বলে? আবার প্রশ্ন নিজেকে! কিছু করি। তাই
হাতে কলম, লিখছি পরিত্রাণ চাই মুসলিমদের উপর নির্যাতন বন্ধ করুন, করতে হবে।
লিখছি আর “জেগে উঠছি বারবার”।
হে নবীন, জেগে উঠার সময় এসেছে, নাও হাতে কলম, লিখো মানবতার গান।।
নতুন লেখকদের অনুপ্রেরণা আর উৎসাহ দেয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের প্রথম সেশন শেষ হয়।
দুপুরের খাবার এবং জুমায়ার নামাজের পরে সাহিত্য আড্ডায় মেতে উঠে নতুন লেখকরা, আড্ডা দিতে থাকে প্রধান অতিথিসহ বিশেষ অতিথিদের সাথে।।
প্রশ্ন আর উত্তরপর্বের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় সেশন শেষ হয়ে সর্বশেষ সেশনে শুরুহয় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যমনি ছিলো একাধারে লেখক,সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও কন্ঠশিল্পী আমিরুল মোমিনিন মানিক।
নিজের এ্যালবামের বেশকটি গান পরিবেশনা করে মাতিয়েছে অডিটোরিয়াম। ছয় ভাষার
মিশ্রণে সম্মিলিত গান আর ব্যাতিক্রমধর্মী বিভিন্ন গান গেয়ে জম্পেস একটি
মুহুর্ত পার করেছে এই জীবনমুখী গানের কন্ঠশিল্পী।
সর্বশেষ "মা যে দশ মাস দশ দিন" (মায়ের) গানের মধ্য দিয়ে সবার মনে মায়ের প্রতি আরেকটুখানি ভালোবাসা বৃদ্ধি করে অনুষ্ঠান শেষ করে।
অনুষ্ঠান শেষে নবীন লেখক প্রতিযোগীদের মাঝে ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়।
নবীন লেখক সম্মেলন ও সাহিত্য আড্ডা ২০১৬ এর অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর
প্রায় ১১০ জন নবীন লেখক তাদের লেখা জমা দেয়,সেখান থেকে ১০ জন লেখককে
বিজয়ী ঘোষণা করে ক্রেস্ট এবং সার্টিফেকেট প্রদান করা হয়। বিজয়ীরা হলেন,
হাফেজ মুহিববুল্লাহ, আব্দুর রহমান সাইফ, আব্দুল মজিদ, আব্দুল রহিম,
মোঃসোহরাব হোসেন,এইচ এম মাহবুবুর রহমান, সৌরভ কুমার শীল, মোঃ সরওয়ার ,
সাইয়্যেদ আযম মওদুদী, জাহিদ হাসান হৃদয়।
পি এইচ ডি অর্জন করলেন CENURCর ড. রাশীদাহ
পিএইচডি লাভ করেছেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের সেন্টার ফর ইউনিভার্সিটি রিকুয়ারমেন্ট কোর্স (CENURC) এর শিক্ষকা মিসের রাশীদাহ। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া-এর ১০৮তম একাডেমিক কাউন্সিল ও ২৩২তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তক্রমে রাশীদাহকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘ফিকহ শাস্ত্রে মহিলা সাহাবীগণের অবদান : একটি পর্যালোচনা’ (CONTRIBUTION OF THE FEMALE SHAHABI IN THE ISLAMIC JURISPRUDENCE A STUDY)
.
রাশিদাহ দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধীনে প্রফেসর ড. শহীদ মুহাম্মদ রেজওয়ান-এর তত্ত্বাবধানে তার গবেষণাকর্ম সুসম্পন্ন করেন। তার গবেষণাকর্মের থিসিস মূল্যায়ন কমিটির প্রধান ছিলেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তর প্রদেশ, ভারত-এর ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মো. ইসমাইল এবং পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শামসুল আলম।
.
ড. রাশিদাহ ইতঃপূর্বে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রফেসর ড. ওয়ালি উল্লাহর তত্ত্বাবধানে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। ড. রাশিদাহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া-এর দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষায় ১ম শ্রেণীতে ১ম স্থান অকিার করেন এবং থিওলজী এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তিনি গোপালগঞ্জ মহিলা মডেল মাদরাসা থেকে ১৯৯৮ ইং সনে দাখিল পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ অর্জন এবং সম্মিলিত মেধা তালিকায় ৭ম স্থান ও মেয়েদের মধ্যে ১ম স্থান অধিকার করেন এবং ২০০০ ইং সনে গোপালগঞ্জ এসকে আলিয়া মাদরাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ড. রাশীদাহ বর্তমানে আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামে (IIUC) সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। রাশীদাহ নিয়মিত লেখালেখি ও গবেষণা করছেন। ইতোমধ্যেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণামূলক জার্নালে তার ৭টিরও বেশি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ভবিষ্যতে তিনি বাংলাদেশ নারী শিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধ উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী। তিনি গোপালগঞ্জ আলিয়া মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল হামিদের কন্যা ও বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নানের সহধর্মিনী। তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জননী। তিনি সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী।
শালীনতাঃ আই আই ইউ সির ড্রেস কোড
পর্দা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। কুরআন মজীদের কয়েকটি সূরায় পর্দা-সংক্রান্ত বিধান দেওয়া হয়েছে। পর্দার বিষয়ে আল্লাহ তাআলা সকল শ্রেণীর ঈমানদার নারী-পুরুষকে সম্বোধন করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আদেশ করেছেন তিনি যেন তাঁর স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে এবং মুমিনদের নারীদেরকে চাদর দ্বারা নিজেদেরকে আবৃত রাখার আদেশ দেন।
.
কিছু আয়াতে উম্মুল মুমিনীনদেরকেও সম্বোধন করেছেন, কোনো কোনো আয়াতে সাহাবায়ে কেরামকেও সম্বোধন করা হয়েছে। মোটকথা, কুরআন মজীদ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মুসলিম নারী ও পুরুষের জন্য পর্দার বিধান দান করেছে। এটি শরীয়তের একটি ফরয বিধান। এ বিধানের প্রতি সমর্পিত থাকা ঈমানের দাবি।
.
সে ঈমানের দাবী পালন করতে গিয়েই আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে মেয়েদের জন্য ড্রেস কোড। নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুন। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেস কোড এটি। নির্দিষ্ট কোন ইউনিফর্ম নয়।ক্রস চিহ্ন ব্যতীত প্রথম যে কোন ৩ টি যে যার রুচিমত পরতে পারবে।
.
যেহেতু এটি একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ।কোন মডেলিং একাডেমী নয়।তাই শালীন পোষাক পরার কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি কি জোরাজুরি হল? তথাকথিত প্রগতিশীল মানুষ এবং মিডিয়া আই আই ইউ সির ড্রেস কোড নিয়ে সমালোচনা করে। রাস্তাঘাটে ইভটিজিং কারী জানোয়ারদের হাতে ছাত্রী খুন হচ্ছে । কন্যাকে বাচাতে গিয়ে মা খুন হচ্ছে। এসব নিয়ে মাথাব্যাথা নেই তাদের। মাথাব্যাথা শুধু স্কার্ফ আর বোরকা নিয়ে।
ইউরোপের অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশ - উচ্চ শিক্ষা
হাসান শেখ প্রতিনিধি,আইআইইউইউসি নিউজঃ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের গবেষণা বাজেটের অর্থায়নে একটি প্রজেক্টের কাজে
কয়েকদিনের জন্য মিউনিখ গিয়েছিলাম! ফিরলাম এইমাত্র. আজ ম্যারাথন বৈঠকাদি এবং
গবেষণা কার্যাদির নিরিক্ষিনের শেষদিনে ইইউর এই এজেন্সির প্রধানের সাথে
অনেক বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা হলো. তার এজেন্সির অধীনে বার্ষিক 90 মিলিয়ন ইউরোর
গবেষণা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হয়. অনেক বড়ো-সরো মাপের লোক. বিকালে মিটিং শেষে
এয়ারপোর্টে যাওয়ার পালা! সবাই আজ বাসায় ফিরবে. আমি আবার যখনি পারি, পাবলিক
ট্রান্সপোর্ট নিতে চেষ্ঠা করি! পাবলিক ট্রান্সপোর্ট পরিবেশ বান্ধব
ট্যাক্সির তুলনায়! আমাদের মিটিং ছিল মিউনিখের এয়ারবাস কোম্পানির গবেষণা
কেন্দ্রে! আমি এয়ারবাসের প্রধান ফটকের বাইরে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি.
মিউনিখ শহরে যাবো বাসে করে, তারপর ট্রেন ধরে সোজা এয়ারপোর্টে. গিয়ে দেখি,
এজেন্সি প্রধানও দাঁড়িয়ে আছেন বাসের জন্য! আরেক দফা লম্বা আলোচনার সুযোগ
হলো উনার সাথে. প্রায় একঘন্টা অনেক কথা বললাম, ইউরোপে চরম ডান পন্থীদের
উত্থান, ব্রেক্সিট, ইউরোপে দক্ষ জনশক্তির চরম সংকট, ইত্যাদি ইত্যাদি কোন
কিছুই বাদ যায়নি! সাথে ইসলাম এবং মুসলমান ইস্যু নিয়েও অনেক কথা হলো!
আজকে আমার আসলে আবারো বোধোদয় হলো, ইউরোপিয়ানদের কাছ থেকে আমাদের অনেক
শিক্ষার আছে! আমরা দুই টাকার ব্যবসায়ী হলেই পাঁচটা ড্রাইভার রাখি! এই
কিছুদিন আগে শুনলাম, প্রধানমন্ত্রীর সাথে কয়েক ডজন লোক নিউ ইয়র্কে
গিয়েছিলেন জাতিসংঘের বার্ষিক অধিবেশনে. সেখানে তাদের জন্য নাকি কয়েক ডজন
গাড়ি ভাড়া করা হয়েছিল! হায়রে দেশ, রাজনীতিবিদরা দেশের কোষাগারের টাকাকে
নিজের বাপের টাকা বলে মনে করেন. যাক যে, কাজের কোথায় আসি! গত বছর নভেম্বরে
লস এঞ্জেলস যাবো, স্টকহোল্ম শহরে ট্রেনে উঠেছি অরলান্ডা যাবো বলে! উঠে
দেখি, সুইডেনের তৎকালীন সরকারের আবাসন এবং আইটি মন্ত্রী আমাদের বন্ধু-বৎসল
মেহমেত কাপলান বসে আছেন. উনিও লস এঞ্জেলস যাবেন একটা কনফারেন্সে! অনেক কথা,
এর মাঝে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, মন্ত্রী হিসেবে আপনার নিরাপত্তার কোন
ব্যবস্থা নেই যে! উনি হেসে বললেন, আমরা রাজনীতিবিদরা যদি সাধারণদের মতো
চলতে না পারি, তাহলে বুঝতে হবে, এ দেশের রাজনীতি এবং সরকার ব্যবস্থ্যা নষ্ট
হয়ে গেছে!
লাস্ট বাট নট লিস্ট, শেখার আছে অনেক কিছু! আমাদের চোখকান আরো খুলা উচিত! আরো শেখা এবং বুঝা উচিত!
লেখাটি লিখেছেনঃ Imadur Rahman
0 comments:
Thank you