"আইআইইউসি'তে লুঙ্গী পরিধানের মাধ্যমে বন্ধু দিবস উদযাপন"
"আইআইইউসি'তে লুঙ্গী পরিধানের মাধ্যমে বন্ধু দিবস উদযাপন"
,
আগষ্টের প্রথম রোববার "বন্ধু দিবস" এই দিবস আয়োজন করতে আইআইইউসি ক্যাম্পাসের হল এ অবস্থানরত ছাত্ররা হাতে নিয়েছে এক ব্যতিক্রমী উদ্দ্যোগ ৷ ছাত্তরা তার নাম দিয়েছেন "চা পার্টি উইথ লুঙ্গী"
,
আবাহমান গ্রাম বাংলার পুরুষদের নিত্য ব্যবহার্য পোশাক লুঙ্গীর সাথে অন্য কোন পোশাকেরই তুলনা চলে না ৷ বাঙ্গালী পুরুষদের এই পছন্দের পোশাক পড়ে দুপুরের খাবারের পরে ছাত্ররা মিলিত হয় সাউথ ক্যাম্পাসের ক্যান্টিন পাহাড়ীকার সামনে ৷
,
এদিকে সাহিত্যমনা ছাত্ররা আয়োজন করে বিভিন্ন ধরনের গান, কৌতুক, মুখাভীনয় সহ রম্য বক্তৃতার ৷ নানান ধরনের বিনোদন প্রোগ্রামের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সামনে এগিয়ে যায় ৷ সেই সাথে সবাই মিলে চা পানে মগ্ন হয় ৷
,
বন্ধুত্ব অমর ৷ বন্ধুত্ব চিরযৌবনা ৷ পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী বন্ধনের নাম বন্ধুত্ব ৷ আর আবাসিক হল এ অবস্থানকারী ছাত্রদের বন্ধুদের সংখ্যা থাকে অগনিত ৷ তাই সর্বক্ষন হাঁসি খুশিতে মেতে থাকে ছাত্ররা ৷
,
এদিকে ছাত্ররা বলেন, " লুঙ্গী একটি আরামদায়ক পোশাক ৷ লুঙ্গীর পরিধান করায় হীনমন্যতার কিছু নাই বরং আভিজাত্য আছে ৷"
তাই উপস্থিত ছাত্ররা লুঙ্গী পরিধান করার পূর্ন স্বাধীনতা কামনা করেন ৷
,
রিপোর্টার :: তৈমুর লং
অলিম্পিকের মশাল বহন করবেন প্রফেসর ইউনুস
অলিম্পিকের এবারের আসর বসতে যাচ্ছে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোয়। শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্রাজিলের রিওতে হতে যাওয়া অলিম্পিক গেমসের মশাল বহন করবেন। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট টমাস বাখ মনোনীত করেছেন তাঁকে। রিও অলিম্পিকের প্রেরণা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য অধ্যাপক ইউনূসের অংশগ্রহণ চায় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি।
.
ব্রাজিলে অলিম্পিক মশালযাত্রা শুরু হয় ৩ মে রাজধানী ব্রাসিলিয়া থেকে। সারা দেশ ঘোরার পর এ যাত্রা শেষ হবে আগামী শুক্রবার মারাকানা স্টেডিয়ামে অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। অধ্যাপক ইউনূস বৃহস্পতিবার রিওতে অলিম্পিক মশাল যাত্রার শেষ পর্বে মশাল বহন করবেন। এদিন তিনি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভায় ভাষণ দেবেন। প্রফেসর ইউনূস অ্যাথলেটিকস, সামাজিক ব্যবসা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনে পৃথিবীর নতুন কল্পচিত্র নিয়ে বক্তব্য রাখবেন।
স্থায়ী ক্যাম্পাসে আইআইইউসি’র সকল কার্যক্রম স্থানান্তর
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রজ্ঞাপনের এবং শিক্ষামন্ত্রনালয় কর্তৃক আউটার ক্যাম্পাস অবৈধ ঘোষনার আলোকে আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম আইআইইউসি’র সকল শিক্ষা কার্যক্রম কুমিরাস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে পরিপূর্ণভাবে স্থানান্তর করা হয়েছে।
.
বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১১টি বিভাগের মধ্যে ৭ (সাত)টি বিভাগ আগে থেকেই পরিপূর্ণভাবে স্থায়ী ক্যাম্পাসে পরিচালিত হয়ে আসছে। বহাদ্দারহাটস্থ ফিমেল একাডেমিক কমপ্লেক্সের সকল ছাত্রী এবং চকবাজারস্থ ভবনসমূহে পরিচালিত ৪টি বিভাগ ও মাষ্টার্সের ছাত্র-ছাত্রীকে বিভাগীয় রুটিন অনুযায়ী আগামী ৫ তারিখ (মাষ্টার্স) ও ৬ তারিখ (অনার্স) থেকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে ক্লাসে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
.
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ।
ইতিমধ্যে চকবাজারের আউটার ক্যাম্পাস গুলোতে কতৃপক্ষ নোটিশ লাগিয়ে দিয়েছে এবং সবকিছু গুটিয়ে কুমিরায় নিজস্ব ক্যাম্পাসে নিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য ইউজিসি আউটার ক্যাম্পাস সরানোর জন্য ৬ সপ্তাহ সময় দিলেও মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় আই আই ইউ সি নিজেদের ক্যাম্পাসে পরিপূর্ণ ভাবে কার্যক্রম শুরু করল।
"দেশের সবচেয়ে বড় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় : সবচেয়ে বড় মানববন্ধন"
গুলশান হামলার প্রতিবাদে আই আই ইউ সির বিশাল মানববন্ধন
প্রধান প্রতিবেদক,আই আই ইউ সি নিউজ,সীতাকুন্ড, চট্টগ্রামঃ ধর্ম মানুষকে পবিত্র করে। মানুষের নৈতিকতা ও চেতনাকে জাগ্রত করে। ধর্ম মানুষকে অপশক্তির কাছে মাথা নত না করে মাথা উঁচু করে বাঁচতে শেখায়। পবিত্র ও শান্তির ধর্ম ইসলামের নামে যতবারই সন্ত্রাসবাদ আঘাত এনেছে মানবসম্প্রদায়ের উপর ততবারই তার প্রতিবাদ আর উচিত জবাব দিয়েছে এদেশের সচেতন জনগন। এবারও এর ব্যাতিক্রম নয় আই আই ইউ সি।
.
আজ সোমবার সকাল ১১ টায় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর কুমিরায় নিজস্ব ক্যাম্পাসে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মকর্তা- কর্মচারীর অংশগ্রহণে গুলশান ও শোলাকিয়ার মর্মান্তিক জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন, শোকর্যালি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল।
.
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ দেলাওয়ার হোসেন। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ একটি ব্যাধি। সমাজকে এ ব্যধিমুক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা প্রয়োজন এবং একই সাথে আক্রান্ত তরুণ প্রজন্মের মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয় ও ধর্মভীরু কিন্তু উগ্র নয়।
.
আইআইইউসি’র ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফরিদ আহমদ সোবহানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আইআইইউসি’র কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবু বকর রফীক, শরিয়াহ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. গিয়াসউদ্দীন হাফিজ, ফিমেল একাডেমিক কমপ্লেক্সের চিফ-ইনচার্জ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. শাফিউদ্দিন মাদানী, স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের পরিচালক আ. জ. ম. ওবায়েদুল্লাহ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারী প্রক্টর জাহেদ হোসাইন ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান হাদীস ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. নাজমুল হক নদভী, আইআইইউসি‘র রেজিস্ট্রার স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম, সেন্টার ফর ইউনিভার্সিটি রিকয়ার্মেন্ট কোর্সেস এর পরিচালক প্রফেসর ড. এ. কে. এম শাহেদ, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান সিরাজুল ইসলাম, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রধান ইফতেখার উদ্দিন, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, কু’রানিক সায়েন্স বিভাগের প্রধান ড. মোস্তফা কামিল, ইটিই বিভাগের প্রধান আবদুল গফুর, ইইই বিভাগের প্রধান আতাহার উদ্দিন, আইন বিভাগের প্রধান সাইদুল ইসলাম এবং ফার্মেসী বিভাগের প্রধান মাসুদুর রহমান।
.
এর আগে সকাল ১১টায় ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে থেকে শুরু হয় বিশাল র্যালীর। র্যালীর সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামান্য ভিসি স্যার,প্রো ভিসি,ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। র্যালীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ছোট কুমিরা থেকে বার আউলিয়া পর্যন্ত মানববন্ধনে রূপ নেয়। এ সময় মানব বন্ধন থেকে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। আই আই ইউ সি ক্যাম্পাসে জঙ্গিবাদের ঠাঁই নেই।
.
মানববন্ধন শেষে সমাপনী বক্তব্যে জানানো হয় আগামী ৫ আগস্ট মাস্টার্সের সকল ক্লাস এবং ৬ আগস্ট অনার্সের সকল ক্লাস কুমিরায় নিজস্ব ক্যাম্পাসে শুরু হবে।
0 comments:
Thank you