আমাদের কথা

IIUC News আই আই ইউ সি ক্যাম্পাসের প্রথম ও সবচেয়ে বড় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। প্রতিদিন ৩ হাজারের ও বেশী ভিজিটর ভিজিট করছেন আই আই ইউ সিয়ানদের এ সাইট।

ব্রেকিং নিউজ

★যারা স্পেশাল পরীক্ষার জন্যে আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে নির্বাচিতদের পরীক্ষা আগামী 9 তারিখ বেলা 10 টায় হবে .★অটাম 2016 এর অরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম (ছাত্রী-ছাত্র) 20 এ অক্টোবর হবে।এবং আগামী 03 নভেম্বর তারিখ আবার ভর্তি পরীক্ষা হবে। ফরম নেওয়ার শেষ সময় 01.11.2016 তারিখ। }

বিশেষ বিজ্ঞপ্তি

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউ জি সি) এর নির্দেশনা মোতাবেক আই আই ইউ সি অথরিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একডেমিক কার্যক্রম সীতাকুন্ডের কুমিরায় আই আই ইউ সির নিজস্ব ক্যাম্পাসে শুরু করেছে। বাইরে আই আই ইউ সির আর কোন আউটার ক্যাম্পাস নাই। সরকারের এ সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে জানাচ্ছি কৃতজ্ঞতা ও মোবারকবাদ







নিজস্ব প্রতিবেদক- বিজয় চক্রবর্তীঃ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্রগ্রামের সেন্ট্রাল অডিটোরিয়ামে দেশ বরেণ্য লেখক সাহিত্যকদের নিয়ে নবীন লেখক  সম্মেলন ও সাহিত্য আড্ডার আয়োজন করে আই আই ইউ সি কালচারাল ক্লাব।
সকাল ৯:০০ টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.দেলোয়ার হোসেন স্যার।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি আল মুজাহিদী, সাহিত্য সম্পাদক যায়যায়দিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলো কবি আসাদ বিন হাফিজ, সভাপতি, সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্র।
আরো উপস্থিত ছিলো কবি মোশাররফ হোসেন খান, সম্পাদক,নতুন কিশোর কন্ঠ।
উপস্থিত ছিলো বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের সম্মানিত শিক্ষক মন্ডলী।
কবি সাহিত্যিকদের এই মিলন মেলায় বক্তব্য দিতে এসে প্রত্যেক অতিথিই বলেছেন কবি  সাহিত্যকদের কষ্টময় জীবনের কথা । কামনা করছেন কবিদের জন্য সরকারের আরো বেশী পৃষ্ঠপোষকতা ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি আল মুজাহিদী বলেন,
আমি লিখছি আর ভাবছি। আমি ভাবছি আর বলছি। ঘটছেটা কি? পৃথিবীজুড়ে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে এতো নির্যাতন কেন? তাদের অপরাধ? তারা মুসলিম বলে? আবার প্রশ্ন নিজেকে! কিছু করি। তাই হাতে কলম, লিখছি পরিত্রাণ চাই মুসলিমদের উপর নির্যাতন বন্ধ করুন, করতে হবে। লিখছি আর “জেগে উঠছি বারবার”।
হে নবীন, জেগে উঠার সময় এসেছে, নাও হাতে কলম, লিখো মানবতার গান।।
নতুন লেখকদের অনুপ্রেরণা আর উৎসাহ দেয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের প্রথম সেশন শেষ হয়।
দুপুরের খাবার এবং জুমায়ার নামাজের পরে সাহিত্য আড্ডায় মেতে উঠে নতুন লেখকরা, আড্ডা দিতে থাকে প্রধান অতিথিসহ বিশেষ অতিথিদের সাথে।।
প্রশ্ন আর উত্তরপর্বের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় সেশন শেষ হয়ে সর্বশেষ সেশনে শুরুহয় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যমনি ছিলো একাধারে লেখক,সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও কন্ঠশিল্পী আমিরুল মোমিনিন মানিক।

নিজের এ্যালবামের বেশকটি গান পরিবেশনা করে মাতিয়েছে অডিটোরিয়াম। ছয় ভাষার মিশ্রণে সম্মিলিত গান আর ব্যাতিক্রমধর্মী বিভিন্ন গান গেয়ে জম্পেস একটি মুহুর্ত পার করেছে এই জীবনমুখী গানের কন্ঠশিল্পী।

সর্বশেষ "মা যে দশ মাস দশ দিন" (মায়ের) গানের মধ্য দিয়ে সবার মনে মায়ের প্রতি আরেকটুখানি ভালোবাসা বৃদ্ধি করে অনুষ্ঠান শেষ করে।

অনুষ্ঠান শেষে নবীন লেখক প্রতিযোগীদের মাঝে ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। নবীন লেখক সম্মেলন ও সাহিত্য আড্ডা ২০১৬ এর অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রায় ১১০ জন নবীন লেখক তাদের লেখা জমা দেয়,সেখান থেকে ১০ জন লেখককে বিজয়ী ঘোষণা করে ক্রেস্ট এবং সার্টিফেকেট প্রদান করা হয়। বিজয়ীরা হলেন, হাফেজ মুহিববুল্লাহ, আব্দুর রহমান সাইফ, আব্দুল মজিদ, আব্দুল রহিম, মোঃসোহরাব হোসেন,এইচ এম মাহবুবুর রহমান, সৌরভ কুমার শীল, মোঃ সরওয়ার , সাইয়্যেদ আযম মওদুদী, জাহিদ হাসান হৃদয়।

পিএইচডি লাভ করেছেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের সেন্টার ফর ইউনিভার্সিটি রিকুয়ারমেন্ট কোর্স (CENURC) এর শিক্ষকা মিসের রাশীদাহ। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া-এর ১০৮তম একাডেমিক কাউন্সিল ও ২৩২তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তক্রমে রাশীদাহকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘ফিকহ শাস্ত্রে মহিলা সাহাবীগণের অবদান : একটি পর্যালোচনা’ (CONTRIBUTION OF THE FEMALE SHAHABI IN THE ISLAMIC JURISPRUDENCE A STUDY)
.
রাশিদাহ দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধীনে প্রফেসর ড.  শহীদ মুহাম্মদ রেজওয়ান-এর তত্ত্বাবধানে তার গবেষণাকর্ম সুসম্পন্ন করেন। তার গবেষণাকর্মের থিসিস মূল্যায়ন কমিটির প্রধান ছিলেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তর প্রদেশ, ভারত-এর ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মো. ইসমাইল এবং পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শামসুল আলম।
.
ড. রাশিদাহ ইতঃপূর্বে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রফেসর ড. ওয়ালি উল্লাহর তত্ত্বাবধানে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। ড. রাশিদাহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া-এর দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষায় ১ম শ্রেণীতে ১ম স্থান অকিার করেন এবং থিওলজী এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তিনি গোপালগঞ্জ মহিলা মডেল মাদরাসা থেকে ১৯৯৮ ইং সনে দাখিল পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ অর্জন এবং সম্মিলিত মেধা তালিকায় ৭ম স্থান ও মেয়েদের মধ্যে ১ম স্থান অধিকার করেন এবং ২০০০ ইং সনে গোপালগঞ্জ এসকে আলিয়া মাদরাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ড. রাশীদাহ বর্তমানে আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামে (IIUC) সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। রাশীদাহ নিয়মিত লেখালেখি ও গবেষণা করছেন। ইতোমধ্যেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণামূলক জার্নালে তার ৭টিরও বেশি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ভবিষ্যতে তিনি বাংলাদেশ নারী শিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধ উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী। তিনি গোপালগঞ্জ আলিয়া মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল হামিদের কন্যা ও বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নানের সহধর্মিনী। তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জননী। তিনি সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী।

পর্দা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। কুরআন মজীদের কয়েকটি সূরায় পর্দা-সংক্রান্ত বিধান দেওয়া হয়েছে। পর্দার বিষয়ে আল্লাহ তাআলা সকল শ্রেণীর ঈমানদার নারী-পুরুষকে সম্বোধন করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আদেশ করেছেন তিনি যেন তাঁর স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে এবং মুমিনদের নারীদেরকে চাদর দ্বারা নিজেদেরকে আবৃত রাখার আদেশ দেন।
.
কিছু আয়াতে উম্মুল মুমিনীনদেরকেও সম্বোধন করেছেন, কোনো কোনো আয়াতে সাহাবায়ে কেরামকেও সম্বোধন করা হয়েছে। মোটকথা, কুরআন মজীদ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মুসলিম নারী ও পুরুষের জন্য পর্দার বিধান দান করেছে। এটি শরীয়তের একটি ফরয বিধান। এ বিধানের প্রতি সমর্পিত থাকা ঈমানের দাবি।
.
সে ঈমানের দাবী পালন করতে গিয়েই আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে মেয়েদের জন্য ড্রেস কোড। নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুন। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেস কোড এটি। নির্দিষ্ট কোন ইউনিফর্ম নয়।ক্রস চিহ্ন ব্যতীত প্রথম যে কোন ৩ টি যে যার রুচিমত পরতে পারবে।
.
যেহেতু এটি একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ।কোন মডেলিং একাডেমী নয়।তাই শালীন পোষাক পরার কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি কি জোরাজুরি হল? তথাকথিত প্রগতিশীল মানুষ এবং মিডিয়া আই আই ইউ সির ড্রেস কোড নিয়ে সমালোচনা করে। রাস্তাঘাটে ইভটিজিং কারী জানোয়ারদের হাতে ছাত্রী খুন হচ্ছে । কন্যাকে বাচাতে গিয়ে মা খুন হচ্ছে। এসব নিয়ে মাথাব্যাথা নেই তাদের। মাথাব্যাথা শুধু স্কার্ফ আর বোরকা নিয়ে।

হাসান শেখ প্রতিনিধি,আইআইইউইউসি নিউজঃ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের গবেষণা বাজেটের অর্থায়নে একটি প্রজেক্টের কাজে কয়েকদিনের জন্য মিউনিখ গিয়েছিলাম! ফিরলাম এইমাত্র. আজ ম্যারাথন বৈঠকাদি এবং গবেষণা কার্যাদির নিরিক্ষিনের শেষদিনে ইইউর এই এজেন্সির প্রধানের সাথে অনেক বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা হলো. তার এজেন্সির অধীনে বার্ষিক 90 মিলিয়ন ইউরোর গবেষণা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হয়. অনেক বড়ো-সরো মাপের লোক. বিকালে মিটিং শেষে এয়ারপোর্টে যাওয়ার পালা! সবাই আজ বাসায় ফিরবে. আমি আবার যখনি পারি, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নিতে চেষ্ঠা করি! পাবলিক ট্রান্সপোর্ট পরিবেশ বান্ধব ট্যাক্সির তুলনায়! আমাদের মিটিং ছিল মিউনিখের এয়ারবাস কোম্পানির গবেষণা কেন্দ্রে! আমি এয়ারবাসের প্রধান ফটকের বাইরে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি. মিউনিখ শহরে যাবো বাসে করে, তারপর ট্রেন ধরে সোজা এয়ারপোর্টে. গিয়ে দেখি, এজেন্সি প্রধানও দাঁড়িয়ে আছেন বাসের জন্য! আরেক দফা লম্বা আলোচনার সুযোগ হলো উনার সাথে. প্রায় একঘন্টা অনেক কথা বললাম, ইউরোপে চরম ডান পন্থীদের উত্থান, ব্রেক্সিট, ইউরোপে দক্ষ জনশক্তির চরম সংকট, ইত্যাদি ইত্যাদি কোন কিছুই বাদ যায়নি! সাথে ইসলাম এবং মুসলমান ইস্যু নিয়েও অনেক কথা হলো!

আজকে আমার আসলে আবারো বোধোদয় হলো, ইউরোপিয়ানদের কাছ থেকে আমাদের অনেক শিক্ষার আছে! আমরা দুই টাকার ব্যবসায়ী হলেই পাঁচটা ড্রাইভার রাখি! এই কিছুদিন আগে শুনলাম, প্রধানমন্ত্রীর সাথে কয়েক ডজন লোক নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন জাতিসংঘের বার্ষিক অধিবেশনে. সেখানে তাদের জন্য নাকি কয়েক ডজন গাড়ি ভাড়া করা হয়েছিল! হায়রে দেশ, রাজনীতিবিদরা দেশের কোষাগারের টাকাকে নিজের বাপের টাকা বলে মনে করেন. যাক যে, কাজের কোথায় আসি! গত বছর নভেম্বরে লস এঞ্জেলস যাবো, স্টকহোল্ম শহরে ট্রেনে উঠেছি অরলান্ডা যাবো বলে! উঠে দেখি, সুইডেনের তৎকালীন সরকারের আবাসন এবং আইটি মন্ত্রী আমাদের বন্ধু-বৎসল মেহমেত কাপলান বসে আছেন. উনিও লস এঞ্জেলস যাবেন একটা কনফারেন্সে! অনেক কথা, এর মাঝে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, মন্ত্রী হিসেবে আপনার নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা নেই যে! উনি হেসে বললেন, আমরা রাজনীতিবিদরা যদি সাধারণদের মতো চলতে না পারি, তাহলে বুঝতে হবে, এ দেশের রাজনীতি এবং সরকার ব্যবস্থ্যা নষ্ট হয়ে গেছে!
লাস্ট বাট নট লিস্ট, শেখার আছে অনেক কিছু! আমাদের চোখকান আরো খুলা উচিত! আরো শেখা এবং বুঝা উচিত!


লেখাটি লিখেছেনঃ Imadur Rahman

তৌফিক মল্লিক, প্রতিনিধি,আইআইইউইউসি নিউজঃ কেউ আসে ক্যারিয়ার গড়তে আবার কেউ বা চলে যায় ক্যারিয়ার গড়তে। ঠিক তেমনি ক্যারিয়ার গড়তে ইবি ডিপার্টমেন্ট থেকে চলে গেলেন মোঃইউসুফ স্যার।

১৩ মাস আগে চবি থেকে মাস্টার্স পরিক্ষা দিয়েই ইবিতে জয়েন্ট করেন এই তরুণ শিক্ষক।
ইবি ফ্যামিলিতে যুক্ত হতে না হতেই স্যার সুপরিচিত এবং প্রিয় হয়ে উঠে সকল ছাত্র-ছাত্রী,শিক্ষক- শিক্ষিকার নিকট।

ইতিমধ্যে স্যারের মাস্টার্স  পরিক্ষার রেজাল্ট পাবলিশ্ড হলে জানা যায় স্যার চবির অর্থনীতি বিভাগের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশী রেজাল্টধারী হিসেবে খাতায় নাম লেখায়। স্যারের অন্তর্ভুক্তি যেমন সবাইকে আনন্দ দিয়েছে যাবার মুহুর্তে তেমনি বেদনা দিয়েছে।

বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলোজি তে স্যার আগামীকাল থেকে স্যার ক্লাস নিবে।  স্যারের বিদায় কে স্মরণীয় করে রাখতে ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে গতকাল দুপুর ২:০০ টায় সেন্ট্রাল অডিটোরিয়ামে  আয়োজন করা হয় এক বিদায় অনুষ্ঠানের।

স্যারের ব্যাপারে অনুভুতি ব্যাক্ত করতে গিয়ে ফিমেল সেকসনের কোর্ডিনেটর "শামিমা ননাসরিন ইমু "ম্যাম  বলেন আমরা এমন এক  ছোট ভাইকে হারিয়েছি যার সাথে আমরা সবসময় দুষ্টমি করে থাকতাম এবং সসব শেয়ার করতাম আজ থেকে এসব মিস করবো।

ছাত্রদের পক্ষ থেকে  অনুভুতি ব্যাক্ত করতে গিয়ে ছাত্ররা বলেন আমরা স্যারকে পেয়েছি একাধারে ভালো ছাত্র হিসেবে ভালো বন্ধু হিসেবে ভালো বড় ভাই হিসেবে ভালো শিক্ষক হিসেবে।

সর্বশেষ ইউসুফ স্যার নিজের কথা বলতে এসে আবেগ আপ্লুত হয়ে যায়, নিরব হয়ে যায় পুরো হল রুম। স্যার বলেন ভার্সিটির বড় ভাই ও বোন দের এখানে নিজের কলিগ হিসেবে পেয়ে মনে হয়েছে আমি চবিতেই এসেছি।।

সর্বপরি সবাই স্যারের উজ্জল ভবিষ্যৎ এবং ভালো একটি ক্যারিয়ার গঠন যেনো করতে পারে সেই দোয়া করে রিফ্রেশমেন্ট মেন্টের মাধ্যমে  অনুষ্ঠান শেষ করে।

অনন্ত আকাশ, এডিটর, আই আই ইউ সি নিউজঃ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে আয়োজিত ২ দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্স ICISET 16 শেষ হল আছ। কনফারেন্সে দেশী বিদেশী প্রায় ১৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও রিসার্চারগণ উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন সেশনে প্রবন্ধ উপস্থাপনের ফাঁকে তাঁরা প্রশংসা করেন ভার্সিটির মনোরম সৌন্দর্য্যের।
.
কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী আইআইইউসি ক্যাম্পাস সম্পর্কে বলেন, আমি এই প্রথমবার আইআইইউসি ক্যাম্পাসে এসে মুগ্ধ হয়েছি। শহরের কোলাহল থেকে দূরে প্রকৃতির নির্জনতায় গড়ে ওঠা এমন সুপরিকল্পিত ক্যাম্পাস, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর খুব কমই আছে। এই মনোরম পরিবেশে গড়ে ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়টি আগামীতে শিক্ষা ও নতুন জ্ঞানের আধার হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
.
আজ কনফারেন্সের ২য় দিন ২য় প্লেনারি সেশনে মানারাত ইন্টারনেশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক ভিসি ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান তাঁর বক্তব্যের শেষে বলেন আই আই ইউ সি ক্যাম্পাস তাঁর দেখা দেশের সবচেয়ে বড় প্রাইভেট ভার্সিটি ক্যাম্পাস। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশে আর যে সব ভার্সিটি প্রাকৃতিক ভাবে দৃষ্টিনন্দন, তার মধ্যে আই আই ইউ সি একটি। তিনি ভার্সিটি অথরিটিকে আউটার ক্যাম্পাসগুলোকে মূল ক্যাম্পাসে নিয়ে আসায় ধন্যবাদ দেন এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করতে অনুরোধ করেন।
.
একই দিন বিকেলে ৩য় প্লেনারি সেশনে কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগনির ইলেকট্রিকাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর সহকারী প্রধান ড. আনিস হক তাঁর বক্তব্য শেষে আই আই ইউ সির সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরী, ছাত্রাবাস, মসজিদ সহ অন্যান্য অবকাঠামোর প্রশংসা করেন।

অনন্ত আকাশ, এডিটর, আই ইউ সি নিউজঃ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ক্যাম্পাসে সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি কতৃক আয়োজিত ২দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের ১ম দিনে মোট ৩৫ টি রিসার্স পেপার উপস্থাপিত হয়েছে। মোট ৭ টি ট্যাকনিকেল সেশনে প্রতিটিতে ৫ টি করে মোট ৩৫ টি রিসার্স পেপার উপস্থাপন করেন দেশ বিদেশ থেকে আগত গবেষকবৃন্দ।  এছাড়া একটি প্লেনারি সেশন ও ২ জন কী নোট স্পীকারের প্রেজেন্টেশন নিয়ে আরো ৩ টি সেশন হয়।
.
দিনশেষে সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭.৩০ টা পর্যন্ত সেন্ট্রাল অডিটোরিয়ামে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের কনফারেন্স শেষ হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি সামাজিক মাধ্যমে লাইভ প্রচার করে iuc news. 
.
এছাড়া IEEE কতৃক আজ প্রজেক্ট প্রদর্শনী ও প্রোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়।আই আই ইউ সি ছাড়াও বুয়েট, চুয়েটের সহ বাইরের বিভিন্ন ভার্সিটি থেকে প্রতিযোগীরা এতে অংশ নেয়। আগামীকাল ফলাফল ঘোষনা করা হবে। 
.
উল্লেখ্য রেজিস্ট্রেশন ছাড়াও যে কেউ চাইলে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন।

তৈমুর লং,সিনিয়র রিপোর্টারঃ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে শুরু হলো দুইদিন ব্যপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্স ICISET ( international conference on innovations in science, Engineering and Technology )। 

আজ শুক্রবার সকাল ১০ টায় সেন্ট্রাল অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ২দিন ব্যাপী এ কনফারেন্স। অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক এর ভাইস চ্যান্সেলর ও বুয়েটের সাবেক ভিসি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা  প্রফেসর ডঃ জামিলুর রেজী চৌধুরী। আই আই ইউ সি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডঃ এ কে এম আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ডঃ কামরুজ্জামান সেমান ( ইউনির্ভার্সিটি অব সেইন্স ইসলাম,
মালয়েশিয়া ), প্রফেসর ডঃ কায়কোবাদ ( বিভাগীয় প্রধান, সিএসই
ডিপার্টমেন্ট , বুয়েট ),  ভিডিও কনফারেন্সের  অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ডঃ শাইখ আনওয়ারুল ফাত্তাহ( ইইউ ডিপার্টমেন্ট, বুয়েট এবং Chair of IEEE Bangladesh ), প্রফেসর মুনিরুল ইসলাম, ডীন, সায়েন্স ফ্যাকাল্টি সহ অন্যান্য রা। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আই আই ইউ সি প্রো ভিসি ড. দেলোয়ার হোসেন।
,
IIUC এবং ইউনিভার্সিটি অব সেইন ইসলাম
মালয়েশিয় এবং IEEE কর্তৃক আয়োজিত এ
কনফারেন্সে সর্বমোট ৭৮ টি পেপার গ্রহন করা হয় ৷ দুই দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠান শেষ হবে
আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যায় ৷

ইবনে বতুতা, স্টাফ রিপোর্টার,আই ইউ সি নিউজঃ রাত পোহালেই আগামীকাল সকালে দেশের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন ও স্বনামধন্য শিক্ষা নিকেতন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ক্যাম্পাসে শুরু হচ্ছে ২ দিন ব্যাপী ১০ম আন্তর্জাতিক কনফারেন্স  ICISET 2016। 
.
কনফারেন্স উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাজ সাজ রব, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি"
আগামিকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া "ইনোভেশন, সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলোজি " শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্সকে ঘিরে উৎসবমূখর পরিবেশ বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে করা হয়েছে ব্যাপক আলোকসজ্জা, যা রাতের
ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে
দিয়েছে।এছাড়াও উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন
সেশনের ভেন্যুসমূহে শেষ মূহূর্তের সাজসজ্জার
প্রস্তুতি চলছে।
.
আয়োজকদের সাথে কথা বলে জানা যায়,
কনফারেন্সের সকল প্রকার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন
হয়েছে। রাত পোহালেই দেশ-বিদেশের অসংখ্য অতিথি,গবেষক ও প্রফেসরদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত আইআইইউসি।
.
এই প্রোগ্রামকে সফল করতে নিরলসভাবে কাজ
করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের
কর্মকর্তা,কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও
ভলান্টিয়াররা।
.
উল্লেখ্য দেশের ও দেশের বাইরের প্রায় ১৮ টি দেশের ৭৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক প্রফেসর গণ উপস্থিত থাকবেন আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া এ কনফারেন্সে।

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের
(আইআইইউসি) আয়োজনে ১০ম ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স আগামী ২৮ অক্টোবর শুরু হচ্ছে। এতে অংশগ্রহণ করছেন ৭০টি বিশ্ববিদ্যালয় ও ১৮টি দেশের গবেষক।
শুক্রবার সকাল ৯টায় অনুষ্ঠেয় ‘ইনোভেশন্স ইন
সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি’
শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এ কনফারেন্সের উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, এশিয়া প্যাসিফিক
ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.
জামিলুর রেজা চোধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব
করবেন আইআইইউসি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে এম আজহারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন আইআইইউসি’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আ ন ম শামুসল ইসলাম, ইউনিভার্সিটি সেইন্স মালয়েশিয়ার
ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বিল্ট এনভাইরনমেন্ট
অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. কামারুজ্জামান সিমন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রফেসর ড. এম
কায়কোবাদ, কাশেম নূর ফাউন্ডেশনের
চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ চৌধুরী এবং আই
ট্রিপল ই বাংলাদেশ সেকশনের সভাপতি
প্রফেসর ড. শেখ আনোয়ারুল ফাত্তাহ।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখবেন আইআইইউসি’র ভারপ্রাপ্ত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং কমিটি কনভেনার প্রফেসর ড. দেলাওয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মনিরুল ইসলাম ও কমিটির সদস্য সচিব তানভীর আহসান।
.
উল্লেখ্য, ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সটিতে দেশের প্রায় সবকটি সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৮টি দেশের প্রসিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষক- প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করবেন। কনফারেন্সে প্রাপ্ত ২৭৯টি প্রবন্ধের মধ্যে ৭৮টি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। এ ছাড়া ৬টি মূল প্রবন্ধ এবং ৪টি আমন্ত্রিত প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। কনফারেন্সটির কো-স্পন্সর আই ট্রিপল ই টেকনিক্যাল সেকশন।
.

জার্মানির ইউনিভার্সিটি ফর সাসটেইনেবল
ডেভেলপমেন্ট এবারসভাল্ড এ অধ্যায়ণরত
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ছাত্র মনিরুজ্জামান রবিন সাম্প্রতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক কর্মকাণ্ডে অসামান্য অবদানের জন্য সম্মাননা পুরষ্কার পেয়েছেন।
.
জার্মান একাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিস(DAAD) ও
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই পুরষ্কার প্রদান
করা হয়। পুরষ্কার হিসাবে তিনি পেয়েছেন এককালীন এক হাজার ইউরো(৮৫০০০ টাকা) ও সনদপত্র।
.
বিশ্ববিদ্যালয় ও DAAD পক্ষ থেকে এক আয়োজনের মাধ্যমে পুরষ্কারটি তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ডঃ ভারসন, প্রফেসর স্পাথেলফ ও হেড অফ ইন্টারন্যাশনাল অফিস ইভন্নে ব্লত্নির।
মনিরুজ্জামান রবিন বর্তমানে গ্লোবাল
চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট বিষয় নিয়ে মাস্টার্সে
অধ্যায়ণরত। তিনি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ব্যবসা প্রশাসনের শিক্ষার্থী ছিলেন।

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ.কে.এম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, আইন পেশা শুধু দেশে নয় সারা বিশ্বে একটা মর্যাদাপূর্ণ পেশা। বিশ্বমানের আইন শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠানের সুবাদে আইন শিক্ষা গতিশীল ও বহুমাত্রিক পেশাগত দিগন্ত উন্মোচন করেছে। আইন শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে যারা বিচারক হবেন তারা বিচারকার্যে নৈতিক হবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শনিবার সকালে লর্ডস ইন মিলনায়তনে আইআইইউসি‘র আইন বিভাগ আয়োজিত বসন্তকালীন সেমিস্টার-২০১৬-এর ১৭ তম ব্যাচের নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইআইইউসি‘র ভাইস চ্যান্সেলর এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
আইন অনুষদের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর মোরশেদ মাহমুদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, আইআইইউসি‘র ফাইনান্স কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর আহসান উল্লাহ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আইন বিভাগের প্রধান সাইদুল ইসলাম, এডভোকেট ড. শফিকুল ইসলাম, প্রফেসর বদিউর রহমান। স্বাগতঃ বক্তব্য রাখেন আইন মাস্টার্স প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর আকতারুল আলম চৌধুরী ও আঞ্জুমান আরা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে মাহমুদ উল্লাহ, মাহমুদা আকতার রীমা ও রায়হান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইন বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইআইইউসি’র ভিসি প্রফেসর ড. এ.কে.এম আজহারুল ইসলাম বলেন, আইনজীবীদের চাকরীর অসীম সুবিধা রয়েছে। তার বিভিন্ন আন্তর্জতিক সংস্থায়ও কাজ করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, একজন আইনজ্ঞকে অবশ্যই যোগাযোগ ও উপস্থাপন দক্ষতা অর্জন করতে হয়, কারণ তাকে সাক্ষী জেরা করে আদালতে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। পেশাগত সাফল্যের জন্য এই দক্ষতা সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইআইইউসি’র ফাইনান্স কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর আহসান উল্লাহ বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আগে আইন মানা জরুরী। যে আইন দিয়ে সমাজে শান্তি আসবে, সুখ আসবে সেই প্রতিষ্ঠিত করার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
বৈশিষ্ট্যগত কারণে আইআইইউসি একটি ব্যতিক্রমধর্মী বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রীধারীরা সততা ও ন্যায়পরায়ণতার মডেল হবে।
তিনি আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যায় থেকে ৭০০ ছাত্র ডিগ্রী নিয়ে আইনজীবী হয়েছে। একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মণের জন্য যোগ্য নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে আইআইইউসি গড়ে তোলা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে আইআইইউসি‘র আইন অনুষদের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর মোরশেদ মাহমুদ খান বলেন, আইনের শিক্ষা মানবকল্যাণে নিবেদিত হওয়া উচিত। পারিশ্রমিক না নিয়ে একজন গরীবকে ন্যায়বিচার নিয়ে দিতে পারলে সমাজ অনেক সুন্দর হবে।



আবদুল্লাহ কাউসার,প্রতিনিধি,আই ইউ সি নিউজঃ চলতি সপ্তাহে হয়ে গেল অাইঅাইইউসিতে তিন দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন ও ডেভেলাপমেন্ট প্রোগ্রাম অনুষ্ঠান।উক্ত প্রোগ্রামে ছিল বিভিন্ন প্রতিযোগিতা। এসব প্রতিযোগিতায় যারা ভাগ্যবান কারা ছিলেন? চলুন একটু জেনে নিই।
.
শিক্ষকদের মধ্যে কুইজ প্রতিযোগীতায় প্রথম
স্থান অধিকার করেন অাজম ইমরান (ইটিই),
দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন অা. ফ. ম.
নুরুজ্জামান (দাওয়াহ) ও তৃতীয় স্থান অধিকার
করেন যোবায়ের অাহমদ (ইবি)।
.
শিক্ষিকাদের মধ্যে কুইজে প্রথম স্থান অধিকার
করেন সহকারী প্রফেসর সায়মা হক (বিবিএ),দ্বিতীয় ড. রাশেদা হক নাওমী (সেনার্ক) ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন ফাহমীদা তাসনীম (এলঅাইডি)।
.
স্টাফদের মধ্যে কুইজে প্রথম স্থান অধিকার
করেন মাহফুজুর রহমান,দ্বিতীয় স্থান অধিকার
করেন মোঃ বেলাল ও তৃতীয় স্থান অধিকার
করেন নজরুল ইসলাম।
.
এক্সটেম্পর স্পিচে শিক্ষকদের মধ্যে প্রথম স্থান
অধিকার করেন মুমিনুর রহমান (অ্যাসিস্ট্যান্ট
প্রফেসর,ফার্মাসী), দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন
যোবায়ের অাহমেদ (লেকচারার,ইবি) ও তৃতীয়
স্থান অধিকার করেন মোস্তফা মুনির (অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর,বিবিএ)।
.
শিক্ষিকাদের মধ্যে এক্সটেম্পর স্পিচে প্রথম স্থান অধিকার করেন জাকিয়া বিনতে অালম (হাদীস),দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন তাহমিনা
মরিয়ম (ইএলএল) ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন ফায়জুন্নেসা তারু (আইন)।
.
স্টাফদের মধ্যে এক্সেটেম্পর স্পিচে প্রথম স্থান
অধিকার করেন মাহফুজুল ইসলাম,দ্বিতীয় স্থান
অধিকার করেন ইজাবুল খালেদ ও তৃতীয় স্থান
অধিকার করেন অামান উল্লাহ।
আইআইইউসি’র ওরিয়েণ্টেশন অনুষ্ঠানেআন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ.কে.এম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা নৈতিকতার বিপর্যয় ঘটাচ্ছে। নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষাই রাষ্ট্রের বিপর্যয় ডেকে আনছে। শরীর-মন-আত্মার সমন্বিত বিকাশই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য, আর এই শিক্ষার মাধ্যমেই আদর্শ মানুষ হওয়া যায়। একজন আদর্শ মানুষ পরিবার, সমাজ এবং জাতির কল্যাণে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে। তিনি বলেন, মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে সম্পর্কের নৈতিক বন্ধনগুলো নষ্ট হচ্ছে।


আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুমিরাস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে আইআইইউসি‘র স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স ডিভিশন (স্ট্যাড) আয়োজিত শরৎকালীন সেমিস্টার-২০১৬-এর নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইআইইউসি‘র ভাইস চ্যান্সেলর এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

আইআইইউসি‘র ভারপ্রাপ্ত প্রোভিসি প্রফেসর ড. মোঃ দেলাওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, আইআইইউসি‘র ফাইনান্স কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর আহসান উল্লাহ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, শরী‘য়াহ অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. নাজমুল হক নাদভী, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. আবদুল হামিদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মনিরুল ইসলাম, ইকনোমিক্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম এবং সেন্টার ফর ইউনিভার্সিটি রিকোয়ারমেন্ট কোর্সেস এর পরিচালক প্রফেসর ড. এ কে এম শাহেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের (স্ট্যাড) পরিচালক আ. জ. ম. ওবায়েদল্লাহ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্ট্যাড এর অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ ও চৌধুরী গোলাম মাওলা।


আইআইইউসি’র ওরিয়েণ্টেশন ও ডেভলাপমেন্ট প্রোগ্রামে ড. এ.কে.এম আজহারুল ইসলাম
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ.কে.এম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, সামাজিক অবক্ষয় ও নৈতিক বিপর্যয় রোধে আত্ম উন্নয়নে ওরিয়েন্টশনের বিকল্প নেই। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বজনীন ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রাম সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ এবং পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তি রচনা ও মজবুত করে।


গত সোমবার সকালে কুমিরাস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে আইআইইউসি আয়োজিত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিনদিন ব্যাপী ওরিয়েন্টেশন ও ডেভলাপমেন্ট প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইআইইউসি‘র ভাইস চ্যান্সেলর এ অভিমত ব্যক্ত করেন। আইআইইউসি‘র ভারপ্রাপ্ত প্রোভিসি প্রফেসর ড. মোঃ দেলাওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, আইআইইউসি’র প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সদস্য অধ্যক্ষ
মুহাম্মদ তাহের এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. আবুল হাশেম। মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শরী‘য়াহ অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. নাজমুল হক নাদভী, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. আবদুল হামিদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মনিরুল ইসলাম এবং আইআইইউসি‘র রেজিস্ট্রার স্কোয়াড্রন লীডার (অবঃ) মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের পরিচালক আ. জ. ম. ওবায়েদুল্লাহ।
(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

অনন্ত আকাশ, আই ইউ সি নিউজঃ  আজ সাড়ে নয়টায় শহর থেকে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ক্যাম্পাসগামী ছাত্রদের বাসে খুলশী চট্টগ্রাম মহিলা কলেজ এলাকায় কিছু দূর্বিত্ত হামলা চালিয়েছে। বাসে থাকা আমাদের প্রতিনিধির ভাষ্যমতে জানা গেছে ওমেন কলেজ মোড়ে আসলে কয়েকজন বহিরাগত উঠতে চাইলে তাদের উঠতে দেয়া হয়নি। ফলশ্রুতিতে বাস সামান্য এগিয়ে যেতেই পিছন থেকে ঢিল ছুঁড়তে থাকে। পরবর্তীতে ছাত্ররা তাদের কয়েকজনকে ধরে বাসে তুলে আনলে মিনিট খানেকের মধ্যে প্রায় ৩০জন জড়ো হয়ে রাস্তা ব্লক করে আটককৃতদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঐসময় তারা গাড়িতে ভাংচুর এবং ছাত্রদের কয়েকজনকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। এতে মারাত্মক আহত একজন যে আইআইইউসিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এসেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে পরিকল্পিত হামলা। কয়েকজনকে উঠতে না দেওয়া,হামলাকারীদের দুইজনকে আটক করার মুহূর্তেই ত্রিশের অধিক জড়ো হওয়া মোটেও স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে না।
(বিস্তারিত আসছে)

খালেদ আফনান, নিজস্ব সংবাদদাতা,আই আই ইউ সি নিউজঃ
অনেক বছর আগের কথা।আমার এক বন্ধু নিউইয়র্ক শহরে নতুন ট্যাক্সি চালানো পেশায় নেমেছে। এক আমেরিকান যাত্রী উঠেছে তাঁর গাড়িতে। বিশ মিনিট দূরত্বে যার গন্তব্য। আমার বন্ধুটি সোজা রাস্তা এড়িয়ে দূরের রাস্তা দিয়ে ঘুরে যাত্রীকে তাঁর গন্তব্যে নামিয়ে দেন মিটারে বেশি ভাড়া উঠবে, সে আশায়। মধ্যবয়সী যাত্রী স্মিত হেসে ভাড়া মিটিয়ে নেমে যাবার আগে বললেন, ” ইয়ং ম্যান, তুমি যে বিশ মিনিটের রাস্তা হাইওয়ে ধরে ত্রিশ মিনিট ড্রাইভ করে আমাকে এখানে নিয়ে এসেছো, তা আমি বেশ বুঝতে পেরেছি।”যাত্রীর মুখের কোনে ঝুলে থাকা এক চিল্‌তে হাসি বিদ্রুপের কিংবা তাচ্ছিল্যের ছিল কিনা কে জানে ! তবে আমার বন্ধুটি ভীষণভাবে লজ্জিত হয়েছিলো সেদিন। এরপর আর কখনোই সে বাড়তি কিছু অর্থ উপার্জনের জন্যে এমন অসৎ পন্থা অবলম্বন করেনি।
এক কাজিনের কথা বলি। অল্প বয়স, সবে স্কুল শেষ করে কলেজে ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিনকার চেনা পথ দিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া এক বালিকাকে তাঁর ভাল লেগে যায়। বালিকার পিছু পিছু স্কুল পর্যন্ত সেও হেঁটে যায় প্রায়ই। প্রেম নিবেদন করার সাহস হয়নি তখনো, বিধায় কখনো কখনো স্কুলগেটে দাঁড়িয়ে থাকে মেয়েটিকে একনজর দেখবে বলে। মেয়েটিকে রোজ সকালে স্কুলে পৌঁছে দেন তাঁর বাবা। সম্ভবত সব বাবারাই অজানা আশংকায় চারিদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখেন কন্যাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে। তিনি বিষয়টি লক্ষ্য করেন।
একদিন আমার কাজিনকে ডেকে কাছে টেনে নেন পরম মমতায়। বলেন, ” বাবা, আমার কন্যাটি প্রতিদিন এ পথে স্কুলে আসে, দেখে রেখো তোমার এই ছোটবোনটিকে।” সেইদিন আমার কাজিন “পৃথিবী দু’ভাগ হও, প্রেম চাই না, মাফ চাই” টাইপের লজ্জা পেয়ে আর কোনদিন ওপথ মাড়ায়নি। নিজের পড়াশুনায় মনোযোগী হয়েছে।
এবার নিজের কথা বলি। শপিং মলের পার্কিং লটে গাড়িতে বসে আছি। প্রচণ্ড তৃষ্ণার্ত। পানি পান করে খালি বোতলটি হেঁয়ালি করেই বাইরে ফেলে দেই। কিছুক্ষন পরেই একজন ভিনদেশী বৃদ্ধ জানালার কাঁচে টোকা দিয়ে কিছু বলতে চাইলেন। কাঁচ নামালে খুব বিনয়ের সাথে বললেন, “এক্সকিউজ মি ম্যাম, সম্ভবত এটি তোমার হাত থেকে অসাবধানতাবশত পড়ে গিয়েছে।” সামনে বাড়িয়ে দিলেন ফেলে দেয়া সেই বোতলটি। আমি ওহ্‌, সরি, থ্যাংকস টাইপের কিছু শব্দ উচ্চারণ করি বিড়বিড় করে। সেদিন আমি এক সমুদ্র সমান লজ্জায় ডুবে গিয়েছিলাম যেন।
এরপর আজ এতগুলো বছরের প্রবাস জীবনে আর এমন ভুল হয়নি ভুলেও। সেই থেকে আজ অবধি হাতে থাকা চিপস্ এর খালি প্যাকেট কিংবা কোকের ক্যান বাড়িতে নিয়ে এসে ময়লার ঝুড়িতে ফেলি। জীবন আমাদের কতভাবে কত কি-ই না শিখিয়ে দিয়ে যায়। প্রতিদিন আমরা শিখছি। প্রতিদিন আমরা বদলাচ্ছি একটু একটু করে। তবে, কিছু শিক্ষা আমাদের বোধকে কি গভীরভাবেই না নাড়া দিয়ে যায়, তাই না ?

Copyright © Fri3nClay IIUC News