আমাদের কথা

IIUC News আই আই ইউ সি ক্যাম্পাসের প্রথম ও সবচেয়ে বড় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। প্রতিদিন ৩ হাজারের ও বেশী ভিজিটর ভিজিট করছেন আই আই ইউ সিয়ানদের এ সাইট।

ব্রেকিং নিউজ

★যারা স্পেশাল পরীক্ষার জন্যে আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে নির্বাচিতদের পরীক্ষা আগামী 9 তারিখ বেলা 10 টায় হবে .★অটাম 2016 এর অরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম (ছাত্রী-ছাত্র) 20 এ অক্টোবর হবে।এবং আগামী 03 নভেম্বর তারিখ আবার ভর্তি পরীক্ষা হবে। ফরম নেওয়ার শেষ সময় 01.11.2016 তারিখ। }

বিশেষ বিজ্ঞপ্তি

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউ জি সি) এর নির্দেশনা মোতাবেক আই আই ইউ সি অথরিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একডেমিক কার্যক্রম সীতাকুন্ডের কুমিরায় আই আই ইউ সির নিজস্ব ক্যাম্পাসে শুরু করেছে। বাইরে আই আই ইউ সির আর কোন আউটার ক্যাম্পাস নাই। সরকারের এ সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে জানাচ্ছি কৃতজ্ঞতা ও মোবারকবাদ

আই আই ইউ সির বকুল তলায় আবু বক্কর হলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

অার্ন্তজাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর অন্যতম আবাসিক হল ১নং আবু বকর রা: হলের উদ্দ্যোগে গতকাল অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো পরিচ্ছন্নতা অভিযান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মান্যবর প্রোভিসি  প্রফেসর ড. দেলওয়ার হুসেন স্যার। অত্র হলের সম্মানিত ওয়ার্ডেন আ.ফ.ম. নুরুজ্জামান স্যারের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত পরিচ্ছন্ন অভিযানে উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য হলের সম্মানিত ওয়ার্ডেন বৃন্দ।
.
বুধবার সকালে হলের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে দক্ষিন ক্যাম্পাসে অনুষ্টিত হয় এ আয়োজন। দিন শেষে সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের বকুল তলায় (যেটা অনেকের কাছে হতাশার চত্তর নামেও পরিচিত) খোলা আকাশের নিচে বসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সংবর্ধনা সভার আসর। এতে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করেন শিক্ষার্থী রা। অনুষ্ঠান উপভোগ করেন প্রোভিসি স্যার সহ অন্যান্য শিক্ষক ও এলাকার জনসাধারন।
.
খোলা আকাশের নিচে এমন একটি ব্যতিক্রম আয়োজনের জন্য আবু বক্কর হলের শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করেন অনেকেই। শিক্ষার্থী এভাবে ব্যাতিক্রম আয়োজনের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিনোদন চর্চার মাধ্যমে সমাজকে করবে সুন্দর,এটাই প্রত্যাশা সকলের।


0 comments:

Thank you

বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনায়ারদের চাহিদা,ইটিই র ফেয়ারওয়েলে IIUC প্রো ভিসি

" বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনায়ারদের চাহিদা, যা অন্য বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা পূরণ করা সম্ভব নয় - ইটিইর ফেয়ারওয়েলে প্রফেসর দেলোয়ার" বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ইটিই ডিপার্টমেন্টের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডঃ দেলোয়ার হোসেন। তিনি একই সাথে গ্র্যাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বাসেডর হিসেবে ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
,
টেলিকম ক্লাবের উদ্যোগে দিনব্যাপী এই আয়োজনটি ছিলো স্প্রিং ২০১২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের জন্য, যা গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। মূল পর্ব ও সাংস্কৃতিক পর্ব এই দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
,
মূল পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গ্রামীণফোন এর চট্টগ্রাম বিভাগের লিড ম্যানেজার ইঞ্জিঃ সুমন কান্তি দাস। এছাড়াও ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহযোগী অধ্যাপক ইঞ্জিঃ রাজু আহমেদ ও ক্লাব প্রেসিডেন্ট সহকারী অধ্যাপক ইঞ্জিঃ জসিম উদ্দিন।
'
অতিথিদের বক্তব্যের পরপর অনুষ্ঠিত হয় পুরষ্কার বিতরণ, যাতে ব্যাডমিন্টন ও ক্রিকেট টূর্নামেন্টে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়। একই বিদায়ী ছাত্রদের হাতে তুলে দেওয়া হয় স্মারক ক্রেস্ট।
,
দুপুরের খাবার ও নামাজের বিরতির পর শুরু হয় দ্বিতীয় পর্ব, যার পুরোটা জুড়েই ছিলো নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। ডিপার্টমেন্টের ছাত্ররা একে একে পরিবেশন করে একক ও দলীয় গান, রবীন্দ্র সংগীত, দেশের গান, কমেডি শো, একক ও দলীয় নাটিকা,মঞ্চ নাটক, মুকাভিনয়সহ ভিন্নধর্মী নানা আয়োজন। সাংস্কৃতিক পরিবেশনাসমূহ উপস্থিতি সকলকেই মুগ্ধ করে।
,
উল্লেখ্য, ইটিইর প্রত্যেক বিদায়ী অনুষ্ঠানেই ডিপার্টমেন্টের ছাত্ররা সাংস্কৃতিক বিভিন্ন পরিবেশনা উপস্থাপন করে থাকে, যা অনুষ্ঠানে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। সবশেষে ডিপার্টমেন্ট প্রধান ও অনুষ্ঠানের সভাপতি ইঞ্জিঃ আব্দুল গফুরের বক্তব্যের মাধ্যমে বিদায়ী সংবর্ধনার সমাপ্তি ঘটে।

0 comments:

Thank you

প্রকাশিত হল "আল মাস‘উদ-আবদুল্লাহ আল মাসুদ" স্মারক

প্রকাশিত হল "আল মাস‘উদ-আবদুল্লাহ আল মাসুদ" স্মারক

আবদুল্লাহ আল মাসুদ স্যার ছিলেন CCE (বর্তমান ETE ) ডিপার্টমেন্ট এর মেধাবি ছাত্র। CCE থেকে কৃতিত্বের সাথে Bsc. ডিগ্রি অর্জন করে থাইল্যান্ড থেকে Msc. ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এরপর CCE,IIUC তে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। স্কলারশিপ নিয়ে পিএইচডি করার জন্য অস্ট্রেলিয়া অবস্থানরত অবস্থায় ২০১১ সালের ২৮মে তারিখে দেশ ত্যাগের  মাত্র ২০দিনের মাথায় ফজরের সালাতে সিজদারত অবস্থায় পরকালে পাড়ি জমান । বয়স ত্রিশ পেরুবার পূর্বেই হজ্ব, বিয়ে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের  জনপ্রিয় শিক্ষক হয়ে তিনি মেধা-মনন,ধর্ম ও আদর্শের অনুপম দৃষ্টান্ত হয়ে স্টুডেন্টদের রোল মডেলে পরিণত হয়েছিলেন। উনার সাধনাময় ন্যায়নিষ্ঠ জীবনে রয়েছে সৃজনশীলদের চিন্তার  বিশাল খোরাক। তাই অভিজাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড পলিসি স্টাডিজ-CRPS আবদুল্লাহ আল মাসুদ স্যারের নাতিদীর্ঘ অথচ বর্ণাঢ্য জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলতে তার জীবনালেখ্যের উপর ভিত্তি করে এ স্মরণিকা প্রকাশের উদ্যোগ নেয় । ২৮মে মাসুদের ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মারকগ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন হতে পারে, ইনশাল্লাহ।

বইটি সম্পাদনা করেন সু-সাহিত্যিক ও লেখক রায়হান আজাদ। তিনি শিক্ষকতা পেশার (Islami Bank Institute of Technology, CTG ) সাথেও আন্তরিকভাবে জড়িত আছেন। "আল মাস‘উদ-আবদুল্লাহ আল মাসুদ" লিখকের সম্পাদিত ২৮তম গ্রন্থ। আল্লাহ স্মারক প্রকাশনার সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উত্তম মর্যাদা দান করুন এবং উক্ত স্মারককে আমাদের পথ চলার পাথেয় করে দিন। আমিন...।

আপনার কপি সংগ্রহের জন্য যোগাযোগ করুন-
এবিসি পাবলিকেশন্স, ২য় তলা,
আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ মার্কেট,
আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম।
ফোন:০১৮২৬-১২৭৮৩৫

0 comments:

Thank you

আইআইইউসি'য়ানদের বাসের প্যাড়া!

গোদের উপর বিষফোড়াঁ, আইআইইউসি'য়ানদের বাসের প্যাড়া!
.
বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে এমনি করেই চলছে প্রতিদিন দুপুর তিনটার বাসের কান্ডকীর্তন। দুপুরে ক্লাস শেষে অনেক ছাত্রই শহরে চলে যান নিজ গন্তব্যে। অথচ ছাত্র অনুপাতে বাসের সংখ্যা বড়ই অপ্রতুল। এমনকী দুপুর তিনটায় কোন বাস যাবে তাও নির্ধারণ হয় নির্দিষ্ট সময় ঠিক যখন ছুঁইছুঁই। এভাবেই চলছে নিত্য হয়রানি। 
ছাত্রদের বারবার অভিযোগ থাকা স্বত্বেও এ নিয়ে এখন পর্যন্ত হয়নি কোন সুরাহা, চলছে নিত্য বাহানা। নিয়মিত যথাযথ ট্রান্সপোর্ট ফি দেয়া স্বত্বেও বাদুড় ঝোলা ঝুলে ঝুলে ক্যাম্পাস থেকে ফিরতে হয় ছাত্রদের। শ্রান্ত মনে, ক্লান্ত দেহে, অলস দুপুরে এমনিই চলছে নিত্য টানাহ্যাঁচড়া।

প্রশ্ন রইল কর্তৃপক্ষ! কবে হবে সুরাহা? সমাধান করুন সমস্যার, বন্ধ করুন টানাহ্যাঁচড়া। আর চাইনা বাহানা!

0 comments:

Thank you

আই আই ইউ সি ছাত্র কফিল উদ্দিন হত্যার রায়ঃ মৃত্যুদন্ড পেল সহপাঠী জাহেদ

আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ছাত্র কফিল উদ্দিনকে হত্যার দায়ে তার সহপাঠী জাহেদ মাহমুদকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শাহে নূর বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন। মৃতুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন আদালত।
.
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানান, একটি ল্যাপটপ নিয়ে বিরোধের জের ধরে নগরীর দামপাড়া জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের পাশে পাহাড়ি জঙ্গলে নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কফিল উদ্দিনকে (২৬) হত্যা করে তার বন্ধু জাহেদ মাহমুদকে (২৭)।
.
২০১১ সালের ৮ ডিসেম্বর নগরীর কোতয়ালি থানার জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ এলাকার একটি পাহাড়ে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কফিল উদ্দিনের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জাহেদ মাহমুদকে আসামি করে মামলা করার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশি তদন্তে জানা যায়, একটি ল্যাপটপ ও কিছু টাকার জন্য সহপাঠী কফিল উদ্দিনকে খুন করেন জাহেদ মাহমুদ। নিহত কফিল হাটহাজারীর বাসিন্দা। নগরীর ব্যাটারি গলিতে তার বাসা। জাহেদ মাহমুদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে পুলিশ ২০১২ সালের ৩ মে অভিযোগপত্র দেয়। ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামির উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন বিচারক।

0 comments:

Thank you

ইটিইর টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ফিফথ সেমিস্টার

"ইটিইর টূর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ফিফথ সেমিস্টার "

মাত্র ১ রানের ব্যবধানে সেকেন্ড সেমিস্টারের স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে দিলো ফিফথ সেমিস্টার। গ্রুপ পর্বের ১ম ম্যাচে একই দলের কাছে ১ রানের পরাজয়ের প্রতিশোধই যেন নিল ফিফথ সেমিস্টার।
,
গতকাল ইটিই'র  আন্তঃসেমিস্টার নাইন-এ-সাইড ক্রিকেট টূর্নামেন্টের ফাইনালে ১ রানের নাটকীয় জয় পায় ফিফথ। ১০ ওভারে ৭৫ রান সংগ্রহ করে সেকেন্ডকে ৭৬ রানের টার্গেট দেয় ফিফথ।ব্যাট করতে নেমে ১০ম ওভারের ৫ম বলে শেষ উইকেটটি হারিয়ে ৭৪ রান সংগ্রহ করে ১ রানের পরাজয় মেনে নেয় টিম সেকেন্ড সেমিস্টার।
,
খেলা শেষেই চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। পুরষ্কার বিতরণ শেষে অনুষ্ঠিত হয় ছাত্র-শিক্ষক প্রীতি ম্যাচ।

গ্রুপ পর্বের ১২ টি ম্যাচ,সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে ১৩ দিন ব্যাপী এই ক্রিকেট টূর্ণামেন্টের।
,
প্রতি সেমিস্টারেই টেলিকম ক্লাবের পক্ষ থেকে এমন টূর্নামেন্ট আয়োজন করা হয় বলে জানান আয়োজকরা। এর পূর্বেও ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন সহ বেশ কিছু টূর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছিলো এবং সামনেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

0 comments:

Thank you

ইউনাইটেড গ্রুপ গবেষণা পুরস্কার লাভ করলেন আই আই ইউ সির ভাইস চ্যান্সেলর

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে এম আজহারুল ইসলাম ‘ইউনাইটেড গ্রুপ গবেষণা পুরস্কার ২০১৬’ লাভ করেছেন। পদার্থ বিজ্ঞানে উচ্চমানের (হায়ার ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর) গবেষণার জন্য তাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। আগামী ২২ এপ্রিল শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এক লাখ টাকাসহ তিনি এ পুরস্কার গ্রহণ করবেন।
.
ইতঃপূর্বে তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) উচ্চতর পাঠ্যগ্রন্থ লেখক হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদের কাছ থেকে ইউজিসি পুরস্কার গ্রহণ করেন। ' উল্লেখ্য, পদার্থবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এ কে এম আজহারুল ইসলাম ২০০১ সালে ‘অতিবাহিতা’ ও অন্যান্য বিষয়ে গবেষণার জন্য ইন্টারন্যাশনাল আইসেসকো সায়েন্স অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। তিনিই প্রথম বাংলাদেশী যিনি এই আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন। মৌলিক গবেষণামূলক কাজের জন্য তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন পুরস্কার-১৯৯৭ পান। গবেষণায় অনন্য অবদান রাখায় তিনি ২০০৮ সালে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড (২০০৬) লাভ করেন। পদার্থ বিজ্ঞানে উচ্চতর গবেষণা তত্ত্বাবধানের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী-পুরস্কার লাভ করেন। ২০১০ সালে অ্যাকাডেমিক উচ্চতর গবেষণামূলক জার্নালের সম্পাদক হিসেবে আমেরিকার আটলান্টায় ইন্টারন্যাশনাল সিএসই পুরস্কার লাভ করেন।
'
প্রফেসর ড. এ কে এম আজহারুল ইসলাম ১৯৪৬ সালের ২ নভেম্বর বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার হাটশেরপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি হাইস্কুল থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সেকেন্ডারি এডুকেশন বোর্ডের মেধাতালিকায় স্থান দখল করে ১৯৬১ সালে ম্যাট্রিকুলেশন, রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে মেধাতালিকায় স্থান অর্জন করে ১৯৬৩ সালে এইচএসসি (বিজ্ঞান), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে বিএসসি অনার্সে (পদার্থ বিজ্ঞান) প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান ও ১৯৬৭ সালে এমএসসিতে প্রথম
বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেন। ১৯৬৯ সালে লন্ডন ইম্পেরিয়াল কলেজ অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ডিআইসি ও ১৯৭২ সালে লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি অর্জন করেন।
'
প্রফেসর ড. এ কে এম আজহারুল ইসলাম ১৯৬৮ সালের জানুয়ারিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে লেকচারার পদে যোগদান করেন। ১৯৮৪ সালে প্রফেসর পদে উন্নীত হন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, সিনেট, সিন্ডিকেট, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উচ্চতর কমিটিতে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ৷
.
প্রফেসর ড. এ.কে.এম. আজহারুল ইসলাম ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রথম পূর্ণ মেয়াদে এবং চ্যান্সেলরের নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত দ্বিতীয় মেয়াদের ২০০৮ সালের ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম–এর ভাইস–চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১২সালে তিনি ৩য় বারের ভিসির দায়িত্ত গ্রহণ করেন।


1 comments:

Thank you

বাস নিয়ে অনিয়ম !! শেষ কোথায়????

আই আই ইউ সি নিউজ ডেস্ক,চট্টগ্রামঃ বাস নিয়ে সমস্যা,আই আই ইউ সির শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন কিছু নয়।  বছরের পর বছর ক্যান্সারের মত এ সমস্যা টি আই আই ইউ সিয়ান ছাত্রদের ভুগান্তি দিচ্ছে। কিন্তু কতৃপক্ষ কি নির্বাক??? নাকি সীমাবদ্ধতা, নাকি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্তে গাফেলতি??
.
অনুসন্ধান করা দেখলে রাঘববোয়ালদের বের করতে খুব বেশী কষ্ট করতে হবে না। কিন্তু বের করেই বা কি লাভ। প্রতিনিয়ত আশার বাণী শুনিয়ে বছরের পর বছর ছাত্রদের সামনে মূলা ঝুলিয়ে রেখেছে অথরিটি। প্রতি সেমিস্টারে ছাত্র ভর্তি হচ্ছে,পাশ করে বের হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু সমস্যার কোন কুল কিনারা নেই। অথচ ভার্সিটির শিক্ষার্থী প্রতি সেমিস্টারে বাড়ছে,নতুন করে সিটি ক্যাম্পাস মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হচ্ছে, ক্যাম্পাসের আয়তন বাড়ছে, কিন্তু বাস বাড়েনা কেন??????

প্রতিদিন সকালে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে তীর্তের কাকের মত দাঁড়িয়ে থাকে শিক্ষার্থীরা, বাসে  একটা সিটের আশায়, একটা সিট নিয়ে শান্তিতে লং জার্নি আর রাস্তার যানজট পাড়ি দিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে উপস্থিত হবে। কিন্তু এসব এখন দিবা স্বপ্ন যুগ যুগ ধরে অবহেলা আর শোষণের শিকার আই আই ইউ সিয়ানদের জন্য। প্রতিনিয়ত সকাল আর বিকেলে বাস ছাড়ার সময় হলেই বাস নিয়ে শুরু হয় অথরিটি আর ছাত্রদের মধ্যে নতুন সিনেমা। অথরিটি থাকে ভিলেনের ভূমিকায়, ছাত্ররা থাকে প্রতিবাদী জনতার পার্টে, আর বাস ড্রাইভার ও তাদের স্টাপরা থাকে দর্শকের ভূমিকায়। প্রতি দিন এসব ক্যাচালে নষ্ট হয় মূল্যবান সময়,ক্লাস। আর বাড়ছে ভুগান্তি।  অথচ সেমিস্টার ফি ১ টাকা বাকী থাকলে রেজিঃ ঝুলাই রাখেন তারা। নিয়মের কথা বলে,কিন্তু নিজেরাই নিয়ম মানেন না। সীমাবদ্ধতার দোহাই আর কত?? প্রতি সেমিস্টারে একটি করে নতুন বাস সং্যোজন আর ভাড়া বাসের সং্খ্যা বৃদ্ধি করলেই এ সমস্যা সমাধান হতে এত দিন লাগার কথা না।
.
দেখা গেছে বাস নিয়ে সমস্যায়  গত শনিবার ৫ টার বাস ছাড়ে সন্ধ্যা ৭ টায়, আজকে শনিবার ছাড়লো ৬ টায়!! প্রতিবাদ করে  বাস আটকায় দিলে স্যারদের পাঠিয়ে অথরিটি ছাত্রদের ভরসা দেন ওনারা নাকি বিষয়টা নিয়ে বসবেন!! কিন্তু উনাদের এ বসাটা মুখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কাজের মধ্যে না। ভরসা ভরসার জায়গায় থাকে কাজের কাজ আর হয়না। পর্যাপ্ত বাস থাকার পরেও ১৯ টা বাসের জায়গায় ১৮ টা দিয়ে কাজ চালায় ফেলার জন্য প্রেসার দেয়া হয় উপর থেকে। অথচ বাস ভাড়া ২০০০ এর বদলে ১৯৯০টাকা দিলেও ছাত্ররা পরীক্ষার এডমিট পায় না।
.
এক ভুক্তভোগী ছাত্র জানান, "সকাল ৯.২০ থেকে বিকাল ৪.৩০ পর্যন্ত ক্লাস করার পর এইসব কাহিনী দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে গেছি। আমি বলি এইবার ক্ষ্যামা দেন...নামে ইসলামি শব্দ দিয়ে ঐটারে অপমান কইরেননা আর।" 
.
শনিবার বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এ গেস্ট টিচার রা ক্লাস নেন বলে এ দিন বিকেলে ছাত্র থাকে বেশি। ফলে শনিবার শিক্ষার্থীদের চাপ থাকে বেশি।  গত শনিবার সমস্যাটি প্রকট আকার ধারন করলে ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে অথরিটি সমস্যা সমাধানের কথা দেন। কিন্তু তার ৩ দিন পর মঙ্গলবার বাস নিয়ে সিটির ২নম্বর গেইটে বহদ্দারহাট থেকে আগত বাস পর্যাপ্ত পরিমান না থাকায় সকালে বাস আটকে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। সেদিন ছাত্ররা ক্লাস মিস করে কারন ১১টায় বাস ক্যাম্পাসে পোঁছে।  সেদিন ট্রান্সপোর্ট কর্মকর্তা কে অফিসে অবরোধ করে রাখলে তিনি বহদ্দারহাট লাইনে ১২টি বাস দেয়ার কথা ভিডিও স্টেটমেন্ট দেন। কিন্তু কিসের কি???? বহদ্দারহাট গামী বাস থাকে ৬টা মাত্র যা মাঝে মধ্যে ৪ এ নেমে আসে। আজ শনিবার সে শনিবারের ঘটনা আবারও। ট্রান্সপোর্ট কর্মকর্তারা ছাত্রদের তোপের মুখে নিজেকে বাঁচাতে একে অন্যকে দোষারোপ শুরু করেন। ট্রান্সপোর্ট অফিসার তার উপরের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জানান  তিনি ১৯টা বাসের কথা বললেও উনার উপরের কর্মকর্তা ১৮টা বাস দিয়ে চালিয়ে দিতে বলেন। আবার পাল্টা অভিযোগে উক্ত কর্ম কর্তা সঠিক ছাত্র সং্খ্যা র তথ্য দিতে না পারার অভিযোগ করেন অন্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। যেখানে কর্মকর্তা দের কাজেরই কোন সমন্বয় নেই,সেখানে কিভাবে ট্রান্সপোর্ট এর মত একটা গুরুত্তপূর্ণ  সেক্টর ভাল সেবা দেবে ছাত্রদের??? 
.
সুতরাং সব দিক বিবেচনা করে ভার্সিটি প্রশাসন শীঘ্রই একটি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক,এটাই সবার কামনা। প্রত্যাশা কিংবা আশার বানী দিয়ে ছাত্র আন্দোলন কখনো দমিয়ে রাখা সম্ভব হয় নি,হবেও না।  একটি শক্তি শালী টিম রাখা হোক ট্রান্সপোর্ট অফিসে। বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এ প্রতিদিন যোগাযোগ করে তারা ছাত্র সং্খ্যা জেনে নেবে, একস্ট্রা বাস ভার্সিটিতে পার্কিং এ রাখা হোক, অফিসে একটি অভিযোগ বক্স রাখা হোক। ভাড়া বাসদের ড্রাইভার দের উপর যেন কড়া নির্দেশ থাকে ছাত্ররা সিগনাল দিলে যেন অবশ্যই বাস থামায়। এসব ব্যাপারগুলো সমন্বয় করা সম্ভব হলে বাস নিয়ে এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন ছাত্ররা।

0 comments:

Thank you

বাংলাদেশের সবগুলো ব্যাংকের ওয়েবসাইট লিঙ্ক।

বাংলাদেশের সবগুলো ব্যাংকের ওয়েবসাইট লিঙ্ক। অনেকের কাজে লাগতে পারে...
AB Bank Limited

0 comments:

Thank you

মুক্তি পেল রিদমের ক্ষুদ্র নাটিকা "তোর জন্য"

নিজস্ব সংবাদদাতা,আই আই ইউ সি নিউজঃ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক চর্চা মূলক সংগঠন 'রিদম' এর শিল্পীদের অভিনয়ে প্রথম ক্ষুদ্র নাটিকা প্রকাশ পেয়েছে। নাটিকার নাম ' তোর জন্য'। ৯মিনিটের এ নাটকের গল্পে উঠে এসেছে আই আই ইউ সিতে পড়ুয়া সাধারণ একজন ছাত্র রাফির মায়ের দুরারোগ্য অসুখ থেকে মাকে সুস্থ করতে তার সহপাঠীদের এগিয়ে আসার চিত্র। সহপাঠী বন্ধুদের সহায়তায় মাকে বাঁচানোর জন্য চিকিৎসা করাতে সিঙ্গাপুর পাড়ি দেয় রাফি।
.
নাটকের দৃশ্যে শুরুতে আই আই ইউ সির খেলার মাঠের পূর্ব পাশের পাহাড় দিয়ে শুরু,আর শেষ দৃশ্য ছিল ক্যাম্পাসের কাছেই থাকা একটি কুঁড়ে ঘরের দৃশ্য। মাঝে খানে খেলার মাঠ,গোল চত্বর,রেল লাইন,সাউথ ক্যাম্পাস,হল, আই আই ইউ সির বাসে দৃশ্য গুলো নিয়ে এসে ফুটিয়ে তোলা হয় আমাদের আই আই ইউ সিয়ানদের দৈনিক জীবন যাপনের দৃশ্য। সর্বশেষ নাটিকার শেষ শিক্ষা হিসেবে মুসলিম শরীফের হাদিস "Allah helps the servant of Him who helps his(Muslim) brother." দিয়ে এক বাক্যে এ নাটকের সারাংশ তুলে ধরা হয়।
.
রিদম টিভি নামের ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে নাটক টি। সুস্থ, সুন্দর আর নির্মল বিনোদন আর সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য রিদম আই আই ইউ সিতে বেশ সুনাম অর্জন করেছে। ভার্সিটির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা দিয়ে নির্মল বিনোদনের খোরাক জোগিয়ে যাচ্ছে এ সংগঠনটি। আই আই ইউ সির যে কোন সাংস্কৃতিক প্রতিভার অধিকারী শিক্ষার্থী চাইলে এ সংগঠনে কাজ করতে পারে। 'তোর জন্য' নাটকের সহকারী পরিচালক মোনাজ্জির আহমদ জানান এটি তাদের প্রথম শর্ট ফ্লিম। দর্শকদের সাড়া পেলে রিদম ভবিষ্যতে আরো ভাল কাজ দেখানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

নাটিকাটি দেখতে এখানে ক্লিক করুনঃ

0 comments:

Thank you

আইআইইউসি ফিমেইলে চলছে পানির আকাল!!!!

নিজস্ব প্রতিবেদক,আই আই ইউ সি নিউজঃ পানির অপর নাম জীবন৷ বেঁচে থাকার জন্য দরকার পানি৷ আর এ পানির ঘাটতির ফলে তৈরি হয় বিড়ম্বনা। আন্তর্জাতিক ইসলামী   বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ফিমেইল একাডেমিক বিল্ডিং এ চলছে পানির আকাল। ক্লাস শেষে অন্য স্যার আসার আগে ছাত্রীরাদৌড়ে যায় এক ঢোক পানি খাবে বলে। কিন্তু পানির কলের সামনে গিয়ে তাদের বলতে হয়- "আল্লাহ মেঘ দে, পানি দে"বতারপরে একফোঁটা ল করে বোতলে জমা হয় একঢোক পানি। আর বাথরুমের পানি না থাকলে কি অবস্থা তা বর্ণনাতীত...!!!
.
চৈত্রের এদিনে বৃষ্টি হলেও গরমের প্রকোপে পানির তৃষ্ণা বেড়ে যায়। ছাত্রীরা ব্যাগে বোতল করে পানি আনলেও তা পর্যাপ্ত পরিমাণ হয়না। একজন ছাত্রীর সাথে কথা বললে তিনি জানান ক্যাম্পাসের সামনের দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যায়, চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষে পানি নিষ্কাশন এলাকা। ওখানের ওই পানি দেখার ফলে আমাদের তৃষ্ণা আরো বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ওগুলো হল আমাদের জন্য মরীচিকা।
.
এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমান পানির ফিল্টার না থাকায় সামান্য পানির জন্য ছাত্রীদের ওয়াসার পানি নেয়ার মত লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয়। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থী কতৃপক্ষের তদারকি ও অবহেলাকে দায়ী করছেন।  এ ব্যাপারে ছাত্রী প্রতিনিধিরা কতৃপক্ষকে ইতিমধ্যে অবহিত করছেন। শীঘ্রই পানির সমস্যা সমাধান না হলে তারা আন্দোলন করবে বলেও জানা গেছে।


0 comments:

Thank you

নিজেকে বদলে দেখান, বদলে যাবে সমাজ

একটা জরিপ করে দেখলাম মানুষের স্বভাবের ২০ ভাগ আসে জন্মগতভাবে। অর্থাৎ, সম্পূর্ণ তার নিজস্ব ভঙ্গিতে। আর ১০ ভাগ পরিচালিত হয় তার বিবেকের দ্বারা। বাকী ৭০ ভাগই পায় পরিবেশের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে। (সার্ভে টা একুরেট নাও হতে পারে। যেহেতু জরিপ টা আমি ইন্টারনেট বেইসড ইনফো নিয়ে করেছি। তবে খুব বেশি উনিশ-বিশ হওয়ার কথা নয়।)
.
যায় হোক, আশেপাশের পরিবেশের দ্বারা প্রভাবিত হওয়া স্বভাবগুলোই মানুষের মধ্যে সবথেকে বেশী রুপ পায়। যেমন ধরুন, আপনার জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে কিংবা সহজ ভাষায় আমেরিকায়। তাহলে আপনি ১৭ বছর বয়সেও ভার্জিন থাকাটা একেবারেই অস্বাভাবিক কিছু বলে বিবেচিত হবে। কিন্ত যদি আপনি বাংলাদেশী হন, তাহলে পাবলিক প্লেসে আপনার বিবাহিতা স্ত্রীর হাত ধরতে পারা মানে বুঝতে হবে আপনার বুকের পাটা আছে মশাই। তেমনি সৌদি আরবে একটা গরিব ঘরে জন্ম নেয়া বালক চুরি করার কথা খুব সহজে ভাববে না, যদি না সে ভিন্নদেশীয় শিক্ষা বা পরিবেশ পায়। কিন্ত আফ্রিকার যুবকের কাছে তা অপরাধ বলেই গণ্য হবে না।
.
আমার সার্ভের রেজাল্ট টা আরেকবার খেয়াল করুন। ২০ ভাগ নিজস্ব স্বভাব বাদ দিলে, ৭০ ভাগ পারিপার্শ্বিক থেকে আর ১০ ভাগ বিবেকের দ্বারা। সুতরাং আপনার পারিপার্শ্বিকতা আপনাকে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই প্রভাবিত করলেও কিছু কিছু মানুষ ক্ষেত্র বিশেষে নিজের বিবেকের কথা মেনে চলায়, তারা আলাদা হয়। এই যেমন আমরা বাঙালীরা আরামপ্রিয়, কিন্ত চাহিদা/অভাবের তাড়নায় আমরা নিজেদের সাধ্যানুযায়ী পরিশ্রম করতে বাধ্য হই।
(এটাকে শুধু আর্থিক দিক থেকে চিন্তা করবেন না, আপনার সামগ্রিক কাজের সাথে মেলান।) কিন্ত কিছু বাঙালীকে দেখবেন পরিশ্রম করাকে বড্ড ভালোবাসে। স্বভাবসুলভ পরিশ্রমী জাতি হিসেবে পরিচিত চীনা/ জাপানীদদের চেয়েও তিনি অধিক পরিশ্রমপ্রেমী। আমাদের দেশে দুর্নীতি আহামরি কোনো ব্যাপার হয়। খোদ দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) ও দুর্নীতিতে সয়লাব। কিন্ত এ দূর্নীতিটা আসে কিভাবে? প্রথমে আসা যাক আমাদের মেরুদণ্ড থেকে। অর্থাৎ শিক্ষা, যেখানে আমরা নীতিজ্ঞান, জীবনে চলার দিক নির্দেশনা সহ সকল কিছুর হাতেখড়ি পায়। সেই শিক্ষা দেয়ার কারিগর, নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি হতে আপনাকে চরম লেভেলের মেধার পরিচয় দিতে হবে। একটু হেরফের হয়েছে তো, চান্স নেই। কিন্ত আপনার বাবার বন্ধু যখন মাননীয় মন্ত্রীমহোদয় কিংবা আপনার বাবার টাকায় ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের পকেট ভর্তি করার মুরোদ আছে, তখন আপনার মেধার পরিচয় না দিলেও চলবে। ভালো ডিগ্রী নেওয়ার পর প্রথম কাজ প্রতিষ্ঠিত হওয়া, আর তার জন্য প্রথম পদক্ষেপ চাকরী। নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্ট্যান্ড করেও ইন্টার্ভিউ দিতে দিতে স্বভাবতই আপনার চপ্পল ছিড়বে, কিন্ত ফলাফল শুণ্য। কিন্ত আপনার মামা-চাচা (ক্ষমতা) থাকলে আর অতো
ঝক্কি পোহাতে। তাহলে এই মামা-চাচার ভিড়ে আপনি সাধারণ ব্যাক্তি কি করবেন? ঠিকই ধরেছেন। ঘুষ দিবেন। এভাবে ধাপে ধাপে উপরে যেতে হলেও দুর্নীতি বেটা আপনাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরবে। কিন্ত আপনি যে আপনার মধ্যবিত্ত বাবার কষ্টের জায়গা জমি বিক্রি এতোগুলো দুর্নীতির বিল চুকিয়েছেন তার কি হবে? একটাই উপায়, আপনিও শুরু করুন। তুলতে হবে তো বাবার কষ্টার্জিত টাকার শোধ।
.
ঠিক এভাবেই পরিবেশগত ভালো দিকগুলোর পাশাপাশি খারাপ দিকগুলো ছোঁয়াচে রোগের মতো ছড়িয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে ইউটিউবার 'শামীম হাসান সরকার' ভাইয়ের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে 'পরিবর্তন চাই' গ্রুপের সাথে মিলে একটি 'পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ' ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেছিলাম এক বন্ধুসহ। দিনভর অনেক ময়লা পরিষ্কার করেছি দলবল নিয়ে, গণসচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছি। কিন্ত পরদিন আমার সেই বন্ধু
আইসক্রিম খেয়ে মলাট টা ফেললো ফুটপাতে। ঠিক এইভাবেই আমরা আমাদের পরিবেশগত স্বভাবের দ্বারা বেশী প্রভাবিত হচ্ছি, কিন্ত তা কি ঠিক না ভুল তা আর বিবেক দিয়ে চিন্তা করছি না। ফলাফল একটু আশা জাগিয়ে যেই লাউ সেই কদুই থেকে গেছে।
.
আজ ব্যাংকে এক কিশোর লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। তার সামনে এক পিচ্চি। লাইন যখন নিকটে আসলো তখন ব্যাংকার সেই কিশোরের চেক চাইলো। কারণ একে তো পিচ্চিকে দেখা যাচ্ছে না, তারউপর পিচ্চি ছেলেই কিইবা বুঝবে। কিন্ত সেই কিশোরটা বললো আমার আগে এই ছেলে আছে।
আশেপাশের কিভাবে আগে যাওয়া যায় ভাবতে লোকগুলো অবাক হয়ে বা লজ্জা পেয়ে খুব সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে গেলো। লাইনের প্রতি সচেতন হয়ে গেলো। সেই কিশোর টা ছিলাম আমি। খুব বড় কাজ করিনি, সেই ক্ষমতা বা যোগ্যতাও আমার নেই। আমার পরিবারের একটা ছোট্ট
শিক্ষাকে বিবেক আর মস্তিষ্ক দিয়ে কাজে লাগিয়েছি। তবে এই একটা ছোট কাজ করে ৫/৬ জন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে পেরেছি।
.
সবকিছু রাতারাতি হয়না। ছোট ছোট সুচনাগুলোই বৃহৎকিছুতে রুপ নেয়। পরিবর্তন জাদুর পরশ নয় যে একদিনে হয়ে যাবে। আপনি শুধু নিজের মস্তিষ্ক আর বিবেককে অল্প অল্প ব্যাবহার করা শুরু করুন, দেখবেন বড় কিছু একদিন হবেই হবে।
.
.
-রায়হান আমিন চৌধুরী
২য় সেমিস্টার, শরীয়াহ বিভাগ।
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম।

0 comments:

Thank you

Copyright © Fri3nClay IIUC News