আমাদের কথা

IIUC News আই আই ইউ সি ক্যাম্পাসের প্রথম ও সবচেয়ে বড় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। প্রতিদিন ৩ হাজারের ও বেশী ভিজিটর ভিজিট করছেন আই আই ইউ সিয়ানদের এ সাইট।

ব্রেকিং নিউজ

★যারা স্পেশাল পরীক্ষার জন্যে আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে নির্বাচিতদের পরীক্ষা আগামী 9 তারিখ বেলা 10 টায় হবে .★অটাম 2016 এর অরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম (ছাত্রী-ছাত্র) 20 এ অক্টোবর হবে।এবং আগামী 03 নভেম্বর তারিখ আবার ভর্তি পরীক্ষা হবে। ফরম নেওয়ার শেষ সময় 01.11.2016 তারিখ। }

বিশেষ বিজ্ঞপ্তি

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউ জি সি) এর নির্দেশনা মোতাবেক আই আই ইউ সি অথরিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একডেমিক কার্যক্রম সীতাকুন্ডের কুমিরায় আই আই ইউ সির নিজস্ব ক্যাম্পাসে শুরু করেছে। বাইরে আই আই ইউ সির আর কোন আউটার ক্যাম্পাস নাই। সরকারের এ সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে জানাচ্ছি কৃতজ্ঞতা ও মোবারকবাদ

ইকোনমিক্স এন্ড ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্টের ইউসুফ স্যারের বিদায়

তৌফিক মল্লিক, প্রতিনিধি,আইআইইউইউসি নিউজঃ কেউ আসে ক্যারিয়ার গড়তে আবার কেউ বা চলে যায় ক্যারিয়ার গড়তে। ঠিক তেমনি ক্যারিয়ার গড়তে ইবি ডিপার্টমেন্ট থেকে চলে গেলেন মোঃইউসুফ স্যার।

১৩ মাস আগে চবি থেকে মাস্টার্স পরিক্ষা দিয়েই ইবিতে জয়েন্ট করেন এই তরুণ শিক্ষক।
ইবি ফ্যামিলিতে যুক্ত হতে না হতেই স্যার সুপরিচিত এবং প্রিয় হয়ে উঠে সকল ছাত্র-ছাত্রী,শিক্ষক- শিক্ষিকার নিকট।

ইতিমধ্যে স্যারের মাস্টার্স  পরিক্ষার রেজাল্ট পাবলিশ্ড হলে জানা যায় স্যার চবির অর্থনীতি বিভাগের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশী রেজাল্টধারী হিসেবে খাতায় নাম লেখায়। স্যারের অন্তর্ভুক্তি যেমন সবাইকে আনন্দ দিয়েছে যাবার মুহুর্তে তেমনি বেদনা দিয়েছে।

বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলোজি তে স্যার আগামীকাল থেকে স্যার ক্লাস নিবে।  স্যারের বিদায় কে স্মরণীয় করে রাখতে ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে গতকাল দুপুর ২:০০ টায় সেন্ট্রাল অডিটোরিয়ামে  আয়োজন করা হয় এক বিদায় অনুষ্ঠানের।

স্যারের ব্যাপারে অনুভুতি ব্যাক্ত করতে গিয়ে ফিমেল সেকসনের কোর্ডিনেটর "শামিমা ননাসরিন ইমু "ম্যাম  বলেন আমরা এমন এক  ছোট ভাইকে হারিয়েছি যার সাথে আমরা সবসময় দুষ্টমি করে থাকতাম এবং সসব শেয়ার করতাম আজ থেকে এসব মিস করবো।

ছাত্রদের পক্ষ থেকে  অনুভুতি ব্যাক্ত করতে গিয়ে ছাত্ররা বলেন আমরা স্যারকে পেয়েছি একাধারে ভালো ছাত্র হিসেবে ভালো বন্ধু হিসেবে ভালো বড় ভাই হিসেবে ভালো শিক্ষক হিসেবে।

সর্বশেষ ইউসুফ স্যার নিজের কথা বলতে এসে আবেগ আপ্লুত হয়ে যায়, নিরব হয়ে যায় পুরো হল রুম। স্যার বলেন ভার্সিটির বড় ভাই ও বোন দের এখানে নিজের কলিগ হিসেবে পেয়ে মনে হয়েছে আমি চবিতেই এসেছি।।

সর্বপরি সবাই স্যারের উজ্জল ভবিষ্যৎ এবং ভালো একটি ক্যারিয়ার গঠন যেনো করতে পারে সেই দোয়া করে রিফ্রেশমেন্ট মেন্টের মাধ্যমে  অনুষ্ঠান শেষ করে।

0 comments:

Thank you

আই আই ইউ সি ক্যাম্পাসের প্রশংসা করলেন কনফারেন্স স্পীকারবৃন্দ

অনন্ত আকাশ, এডিটর, আই আই ইউ সি নিউজঃ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে আয়োজিত ২ দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্স ICISET 16 শেষ হল আছ। কনফারেন্সে দেশী বিদেশী প্রায় ১৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও রিসার্চারগণ উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন সেশনে প্রবন্ধ উপস্থাপনের ফাঁকে তাঁরা প্রশংসা করেন ভার্সিটির মনোরম সৌন্দর্য্যের।
.
কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী আইআইইউসি ক্যাম্পাস সম্পর্কে বলেন, আমি এই প্রথমবার আইআইইউসি ক্যাম্পাসে এসে মুগ্ধ হয়েছি। শহরের কোলাহল থেকে দূরে প্রকৃতির নির্জনতায় গড়ে ওঠা এমন সুপরিকল্পিত ক্যাম্পাস, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর খুব কমই আছে। এই মনোরম পরিবেশে গড়ে ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়টি আগামীতে শিক্ষা ও নতুন জ্ঞানের আধার হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
.
আজ কনফারেন্সের ২য় দিন ২য় প্লেনারি সেশনে মানারাত ইন্টারনেশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক ভিসি ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান তাঁর বক্তব্যের শেষে বলেন আই আই ইউ সি ক্যাম্পাস তাঁর দেখা দেশের সবচেয়ে বড় প্রাইভেট ভার্সিটি ক্যাম্পাস। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশে আর যে সব ভার্সিটি প্রাকৃতিক ভাবে দৃষ্টিনন্দন, তার মধ্যে আই আই ইউ সি একটি। তিনি ভার্সিটি অথরিটিকে আউটার ক্যাম্পাসগুলোকে মূল ক্যাম্পাসে নিয়ে আসায় ধন্যবাদ দেন এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করতে অনুরোধ করেন।
.
একই দিন বিকেলে ৩য় প্লেনারি সেশনে কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগনির ইলেকট্রিকাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর সহকারী প্রধান ড. আনিস হক তাঁর বক্তব্য শেষে আই আই ইউ সির সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরী, ছাত্রাবাস, মসজিদ সহ অন্যান্য অবকাঠামোর প্রশংসা করেন।

1 comments:

Thank you

ICISET কনফারেন্সের প্রথম দিনে ৩৫ টি পেপার উপস্থাপিত

অনন্ত আকাশ, এডিটর, আই ইউ সি নিউজঃ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ক্যাম্পাসে সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি কতৃক আয়োজিত ২দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের ১ম দিনে মোট ৩৫ টি রিসার্স পেপার উপস্থাপিত হয়েছে। মোট ৭ টি ট্যাকনিকেল সেশনে প্রতিটিতে ৫ টি করে মোট ৩৫ টি রিসার্স পেপার উপস্থাপন করেন দেশ বিদেশ থেকে আগত গবেষকবৃন্দ।  এছাড়া একটি প্লেনারি সেশন ও ২ জন কী নোট স্পীকারের প্রেজেন্টেশন নিয়ে আরো ৩ টি সেশন হয়।
.
দিনশেষে সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭.৩০ টা পর্যন্ত সেন্ট্রাল অডিটোরিয়ামে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের কনফারেন্স শেষ হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি সামাজিক মাধ্যমে লাইভ প্রচার করে iuc news. 
.
এছাড়া IEEE কতৃক আজ প্রজেক্ট প্রদর্শনী ও প্রোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়।আই আই ইউ সি ছাড়াও বুয়েট, চুয়েটের সহ বাইরের বিভিন্ন ভার্সিটি থেকে প্রতিযোগীরা এতে অংশ নেয়। আগামীকাল ফলাফল ঘোষনা করা হবে। 
.
উল্লেখ্য রেজিস্ট্রেশন ছাড়াও যে কেউ চাইলে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন।

0 comments:

Thank you

উদ্বোধনী প্রোগ্রামের মধ্য দিয়ে শুরু হল ICISET কনফারেন্স

তৈমুর লং,সিনিয়র রিপোর্টারঃ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে শুরু হলো দুইদিন ব্যপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্স ICISET ( international conference on innovations in science, Engineering and Technology )। 

আজ শুক্রবার সকাল ১০ টায় সেন্ট্রাল অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ২দিন ব্যাপী এ কনফারেন্স। অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক এর ভাইস চ্যান্সেলর ও বুয়েটের সাবেক ভিসি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা  প্রফেসর ডঃ জামিলুর রেজী চৌধুরী। আই আই ইউ সি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডঃ এ কে এম আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ডঃ কামরুজ্জামান সেমান ( ইউনির্ভার্সিটি অব সেইন্স ইসলাম,
মালয়েশিয়া ), প্রফেসর ডঃ কায়কোবাদ ( বিভাগীয় প্রধান, সিএসই
ডিপার্টমেন্ট , বুয়েট ),  ভিডিও কনফারেন্সের  অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ডঃ শাইখ আনওয়ারুল ফাত্তাহ( ইইউ ডিপার্টমেন্ট, বুয়েট এবং Chair of IEEE Bangladesh ), প্রফেসর মুনিরুল ইসলাম, ডীন, সায়েন্স ফ্যাকাল্টি সহ অন্যান্য রা। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আই আই ইউ সি প্রো ভিসি ড. দেলোয়ার হোসেন।
,
IIUC এবং ইউনিভার্সিটি অব সেইন ইসলাম
মালয়েশিয় এবং IEEE কর্তৃক আয়োজিত এ
কনফারেন্সে সর্বমোট ৭৮ টি পেপার গ্রহন করা হয় ৷ দুই দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠান শেষ হবে
আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যায় ৷

0 comments:

Thank you

দেশী বিদেশী গবেষকদের অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত আই আই ইউ সি

ইবনে বতুতা, স্টাফ রিপোর্টার,আই ইউ সি নিউজঃ রাত পোহালেই আগামীকাল সকালে দেশের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন ও স্বনামধন্য শিক্ষা নিকেতন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ক্যাম্পাসে শুরু হচ্ছে ২ দিন ব্যাপী ১০ম আন্তর্জাতিক কনফারেন্স  ICISET 2016। 
.
কনফারেন্স উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাজ সাজ রব, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি"
আগামিকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া "ইনোভেশন, সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলোজি " শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্সকে ঘিরে উৎসবমূখর পরিবেশ বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে করা হয়েছে ব্যাপক আলোকসজ্জা, যা রাতের
ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে
দিয়েছে।এছাড়াও উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন
সেশনের ভেন্যুসমূহে শেষ মূহূর্তের সাজসজ্জার
প্রস্তুতি চলছে।
.
আয়োজকদের সাথে কথা বলে জানা যায়,
কনফারেন্সের সকল প্রকার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন
হয়েছে। রাত পোহালেই দেশ-বিদেশের অসংখ্য অতিথি,গবেষক ও প্রফেসরদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত আইআইইউসি।
.
এই প্রোগ্রামকে সফল করতে নিরলসভাবে কাজ
করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের
কর্মকর্তা,কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও
ভলান্টিয়াররা।
.
উল্লেখ্য দেশের ও দেশের বাইরের প্রায় ১৮ টি দেশের ৭৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক প্রফেসর গণ উপস্থিত থাকবেন আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া এ কনফারেন্সে।

0 comments:

Thank you

২ দিন ব্যাপী আই আই ইউ সির ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স শুরু হচ্ছে ২৮ তারিখ

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের
(আইআইইউসি) আয়োজনে ১০ম ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স আগামী ২৮ অক্টোবর শুরু হচ্ছে। এতে অংশগ্রহণ করছেন ৭০টি বিশ্ববিদ্যালয় ও ১৮টি দেশের গবেষক।
শুক্রবার সকাল ৯টায় অনুষ্ঠেয় ‘ইনোভেশন্স ইন
সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি’
শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এ কনফারেন্সের উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, এশিয়া প্যাসিফিক
ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.
জামিলুর রেজা চোধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব
করবেন আইআইইউসি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে এম আজহারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন আইআইইউসি’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আ ন ম শামুসল ইসলাম, ইউনিভার্সিটি সেইন্স মালয়েশিয়ার
ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বিল্ট এনভাইরনমেন্ট
অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. কামারুজ্জামান সিমন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রফেসর ড. এম
কায়কোবাদ, কাশেম নূর ফাউন্ডেশনের
চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ চৌধুরী এবং আই
ট্রিপল ই বাংলাদেশ সেকশনের সভাপতি
প্রফেসর ড. শেখ আনোয়ারুল ফাত্তাহ।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখবেন আইআইইউসি’র ভারপ্রাপ্ত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং কমিটি কনভেনার প্রফেসর ড. দেলাওয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মনিরুল ইসলাম ও কমিটির সদস্য সচিব তানভীর আহসান।
.
উল্লেখ্য, ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সটিতে দেশের প্রায় সবকটি সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৮টি দেশের প্রসিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষক- প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করবেন। কনফারেন্সে প্রাপ্ত ২৭৯টি প্রবন্ধের মধ্যে ৭৮টি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। এ ছাড়া ৬টি মূল প্রবন্ধ এবং ৪টি আমন্ত্রিত প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। কনফারেন্সটির কো-স্পন্সর আই ট্রিপল ই টেকনিক্যাল সেকশন।
.

0 comments:

Thank you

জার্মানিতে আইআইইউসি শিক্ষার্থীর কৃতিত্ব

জার্মানির ইউনিভার্সিটি ফর সাসটেইনেবল
ডেভেলপমেন্ট এবারসভাল্ড এ অধ্যায়ণরত
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ছাত্র মনিরুজ্জামান রবিন সাম্প্রতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক কর্মকাণ্ডে অসামান্য অবদানের জন্য সম্মাননা পুরষ্কার পেয়েছেন।
.
জার্মান একাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিস(DAAD) ও
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই পুরষ্কার প্রদান
করা হয়। পুরষ্কার হিসাবে তিনি পেয়েছেন এককালীন এক হাজার ইউরো(৮৫০০০ টাকা) ও সনদপত্র।
.
বিশ্ববিদ্যালয় ও DAAD পক্ষ থেকে এক আয়োজনের মাধ্যমে পুরষ্কারটি তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ডঃ ভারসন, প্রফেসর স্পাথেলফ ও হেড অফ ইন্টারন্যাশনাল অফিস ইভন্নে ব্লত্নির।
মনিরুজ্জামান রবিন বর্তমানে গ্লোবাল
চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট বিষয় নিয়ে মাস্টার্সে
অধ্যায়ণরত। তিনি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ব্যবসা প্রশাসনের শিক্ষার্থী ছিলেন।

0 comments:

Thank you

আইন পেশা শুধু দেশে নয় সারা বিশ্বে মর্যাদাপূর্ণ পেশা

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ.কে.এম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, আইন পেশা শুধু দেশে নয় সারা বিশ্বে একটা মর্যাদাপূর্ণ পেশা। বিশ্বমানের আইন শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠানের সুবাদে আইন শিক্ষা গতিশীল ও বহুমাত্রিক পেশাগত দিগন্ত উন্মোচন করেছে। আইন শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে যারা বিচারক হবেন তারা বিচারকার্যে নৈতিক হবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শনিবার সকালে লর্ডস ইন মিলনায়তনে আইআইইউসি‘র আইন বিভাগ আয়োজিত বসন্তকালীন সেমিস্টার-২০১৬-এর ১৭ তম ব্যাচের নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইআইইউসি‘র ভাইস চ্যান্সেলর এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
আইন অনুষদের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর মোরশেদ মাহমুদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, আইআইইউসি‘র ফাইনান্স কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর আহসান উল্লাহ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আইন বিভাগের প্রধান সাইদুল ইসলাম, এডভোকেট ড. শফিকুল ইসলাম, প্রফেসর বদিউর রহমান। স্বাগতঃ বক্তব্য রাখেন আইন মাস্টার্স প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর আকতারুল আলম চৌধুরী ও আঞ্জুমান আরা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে মাহমুদ উল্লাহ, মাহমুদা আকতার রীমা ও রায়হান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইন বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইআইইউসি’র ভিসি প্রফেসর ড. এ.কে.এম আজহারুল ইসলাম বলেন, আইনজীবীদের চাকরীর অসীম সুবিধা রয়েছে। তার বিভিন্ন আন্তর্জতিক সংস্থায়ও কাজ করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, একজন আইনজ্ঞকে অবশ্যই যোগাযোগ ও উপস্থাপন দক্ষতা অর্জন করতে হয়, কারণ তাকে সাক্ষী জেরা করে আদালতে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। পেশাগত সাফল্যের জন্য এই দক্ষতা সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইআইইউসি’র ফাইনান্স কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর আহসান উল্লাহ বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আগে আইন মানা জরুরী। যে আইন দিয়ে সমাজে শান্তি আসবে, সুখ আসবে সেই প্রতিষ্ঠিত করার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
বৈশিষ্ট্যগত কারণে আইআইইউসি একটি ব্যতিক্রমধর্মী বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রীধারীরা সততা ও ন্যায়পরায়ণতার মডেল হবে।
তিনি আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যায় থেকে ৭০০ ছাত্র ডিগ্রী নিয়ে আইনজীবী হয়েছে। একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মণের জন্য যোগ্য নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে আইআইইউসি গড়ে তোলা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে আইআইইউসি‘র আইন অনুষদের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর মোরশেদ মাহমুদ খান বলেন, আইনের শিক্ষা মানবকল্যাণে নিবেদিত হওয়া উচিত। পারিশ্রমিক না নিয়ে একজন গরীবকে ন্যায়বিচার নিয়ে দিতে পারলে সমাজ অনেক সুন্দর হবে।

0 comments:

Thank you

শিক্ষকদের মধ্যে যারা ভাগ্যবান




আবদুল্লাহ কাউসার,প্রতিনিধি,আই ইউ সি নিউজঃ চলতি সপ্তাহে হয়ে গেল অাইঅাইইউসিতে তিন দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন ও ডেভেলাপমেন্ট প্রোগ্রাম অনুষ্ঠান।উক্ত প্রোগ্রামে ছিল বিভিন্ন প্রতিযোগিতা। এসব প্রতিযোগিতায় যারা ভাগ্যবান কারা ছিলেন? চলুন একটু জেনে নিই।
.
শিক্ষকদের মধ্যে কুইজ প্রতিযোগীতায় প্রথম
স্থান অধিকার করেন অাজম ইমরান (ইটিই),
দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন অা. ফ. ম.
নুরুজ্জামান (দাওয়াহ) ও তৃতীয় স্থান অধিকার
করেন যোবায়ের অাহমদ (ইবি)।
.
শিক্ষিকাদের মধ্যে কুইজে প্রথম স্থান অধিকার
করেন সহকারী প্রফেসর সায়মা হক (বিবিএ),দ্বিতীয় ড. রাশেদা হক নাওমী (সেনার্ক) ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন ফাহমীদা তাসনীম (এলঅাইডি)।
.
স্টাফদের মধ্যে কুইজে প্রথম স্থান অধিকার
করেন মাহফুজুর রহমান,দ্বিতীয় স্থান অধিকার
করেন মোঃ বেলাল ও তৃতীয় স্থান অধিকার
করেন নজরুল ইসলাম।
.
এক্সটেম্পর স্পিচে শিক্ষকদের মধ্যে প্রথম স্থান
অধিকার করেন মুমিনুর রহমান (অ্যাসিস্ট্যান্ট
প্রফেসর,ফার্মাসী), দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন
যোবায়ের অাহমেদ (লেকচারার,ইবি) ও তৃতীয়
স্থান অধিকার করেন মোস্তফা মুনির (অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর,বিবিএ)।
.
শিক্ষিকাদের মধ্যে এক্সটেম্পর স্পিচে প্রথম স্থান অধিকার করেন জাকিয়া বিনতে অালম (হাদীস),দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন তাহমিনা
মরিয়ম (ইএলএল) ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন ফায়জুন্নেসা তারু (আইন)।
.
স্টাফদের মধ্যে এক্সেটেম্পর স্পিচে প্রথম স্থান
অধিকার করেন মাহফুজুল ইসলাম,দ্বিতীয় স্থান
অধিকার করেন ইজাবুল খালেদ ও তৃতীয় স্থান
অধিকার করেন অামান উল্লাহ।

0 comments:

Thank you

আইআইইউসি’র শরৎকালীন সেমিস্টার-২০১৬ এর ওরিয়েণ্টেশন অনুষ্ঠান সম্পন্ন

আইআইইউসি’র ওরিয়েণ্টেশন অনুষ্ঠানেআন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ.কে.এম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা নৈতিকতার বিপর্যয় ঘটাচ্ছে। নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষাই রাষ্ট্রের বিপর্যয় ডেকে আনছে। শরীর-মন-আত্মার সমন্বিত বিকাশই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য, আর এই শিক্ষার মাধ্যমেই আদর্শ মানুষ হওয়া যায়। একজন আদর্শ মানুষ পরিবার, সমাজ এবং জাতির কল্যাণে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে। তিনি বলেন, মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে সম্পর্কের নৈতিক বন্ধনগুলো নষ্ট হচ্ছে।


আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুমিরাস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে আইআইইউসি‘র স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স ডিভিশন (স্ট্যাড) আয়োজিত শরৎকালীন সেমিস্টার-২০১৬-এর নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইআইইউসি‘র ভাইস চ্যান্সেলর এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

আইআইইউসি‘র ভারপ্রাপ্ত প্রোভিসি প্রফেসর ড. মোঃ দেলাওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, আইআইইউসি‘র ফাইনান্স কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর আহসান উল্লাহ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, শরী‘য়াহ অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. নাজমুল হক নাদভী, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. আবদুল হামিদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মনিরুল ইসলাম, ইকনোমিক্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম এবং সেন্টার ফর ইউনিভার্সিটি রিকোয়ারমেন্ট কোর্সেস এর পরিচালক প্রফেসর ড. এ কে এম শাহেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের (স্ট্যাড) পরিচালক আ. জ. ম. ওবায়েদল্লাহ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্ট্যাড এর অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ ও চৌধুরী গোলাম মাওলা।


0 comments:

Thank you

সামাজিক অবক্ষয় ও নৈতিক বিপর্যয় রোধে আত্ম উন্নয়নে ওরিয়েন্টেশনের বিকল্প নেই

আইআইইউসি’র ওরিয়েণ্টেশন ও ডেভলাপমেন্ট প্রোগ্রামে ড. এ.কে.এম আজহারুল ইসলাম
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ.কে.এম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, সামাজিক অবক্ষয় ও নৈতিক বিপর্যয় রোধে আত্ম উন্নয়নে ওরিয়েন্টশনের বিকল্প নেই। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বজনীন ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রাম সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ এবং পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তি রচনা ও মজবুত করে।


গত সোমবার সকালে কুমিরাস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে আইআইইউসি আয়োজিত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিনদিন ব্যাপী ওরিয়েন্টেশন ও ডেভলাপমেন্ট প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইআইইউসি‘র ভাইস চ্যান্সেলর এ অভিমত ব্যক্ত করেন। আইআইইউসি‘র ভারপ্রাপ্ত প্রোভিসি প্রফেসর ড. মোঃ দেলাওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, আইআইইউসি’র প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সদস্য অধ্যক্ষ
মুহাম্মদ তাহের এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. আবুল হাশেম। মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শরী‘য়াহ অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. নাজমুল হক নাদভী, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. আবদুল হামিদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মনিরুল ইসলাম এবং আইআইইউসি‘র রেজিস্ট্রার স্কোয়াড্রন লীডার (অবঃ) মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের পরিচালক আ. জ. ম. ওবায়েদুল্লাহ।
(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

0 comments:

Thank you

আই আই ইউ সির বাসে হামলা

অনন্ত আকাশ, আই ইউ সি নিউজঃ  আজ সাড়ে নয়টায় শহর থেকে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ক্যাম্পাসগামী ছাত্রদের বাসে খুলশী চট্টগ্রাম মহিলা কলেজ এলাকায় কিছু দূর্বিত্ত হামলা চালিয়েছে। বাসে থাকা আমাদের প্রতিনিধির ভাষ্যমতে জানা গেছে ওমেন কলেজ মোড়ে আসলে কয়েকজন বহিরাগত উঠতে চাইলে তাদের উঠতে দেয়া হয়নি। ফলশ্রুতিতে বাস সামান্য এগিয়ে যেতেই পিছন থেকে ঢিল ছুঁড়তে থাকে। পরবর্তীতে ছাত্ররা তাদের কয়েকজনকে ধরে বাসে তুলে আনলে মিনিট খানেকের মধ্যে প্রায় ৩০জন জড়ো হয়ে রাস্তা ব্লক করে আটককৃতদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঐসময় তারা গাড়িতে ভাংচুর এবং ছাত্রদের কয়েকজনকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। এতে মারাত্মক আহত একজন যে আইআইইউসিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এসেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে পরিকল্পিত হামলা। কয়েকজনকে উঠতে না দেওয়া,হামলাকারীদের দুইজনকে আটক করার মুহূর্তেই ত্রিশের অধিক জড়ো হওয়া মোটেও স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে না।
(বিস্তারিত আসছে)

0 comments:

Thank you

বোধকে নাড়া দিয়ে যায় যে শিক্ষা -রিমি রুম্মান,নিউইয়র্ক,যুক্তরাষ্ট্র

খালেদ আফনান, নিজস্ব সংবাদদাতা,আই আই ইউ সি নিউজঃ
অনেক বছর আগের কথা।আমার এক বন্ধু নিউইয়র্ক শহরে নতুন ট্যাক্সি চালানো পেশায় নেমেছে। এক আমেরিকান যাত্রী উঠেছে তাঁর গাড়িতে। বিশ মিনিট দূরত্বে যার গন্তব্য। আমার বন্ধুটি সোজা রাস্তা এড়িয়ে দূরের রাস্তা দিয়ে ঘুরে যাত্রীকে তাঁর গন্তব্যে নামিয়ে দেন মিটারে বেশি ভাড়া উঠবে, সে আশায়। মধ্যবয়সী যাত্রী স্মিত হেসে ভাড়া মিটিয়ে নেমে যাবার আগে বললেন, ” ইয়ং ম্যান, তুমি যে বিশ মিনিটের রাস্তা হাইওয়ে ধরে ত্রিশ মিনিট ড্রাইভ করে আমাকে এখানে নিয়ে এসেছো, তা আমি বেশ বুঝতে পেরেছি।”যাত্রীর মুখের কোনে ঝুলে থাকা এক চিল্‌তে হাসি বিদ্রুপের কিংবা তাচ্ছিল্যের ছিল কিনা কে জানে ! তবে আমার বন্ধুটি ভীষণভাবে লজ্জিত হয়েছিলো সেদিন। এরপর আর কখনোই সে বাড়তি কিছু অর্থ উপার্জনের জন্যে এমন অসৎ পন্থা অবলম্বন করেনি।
এক কাজিনের কথা বলি। অল্প বয়স, সবে স্কুল শেষ করে কলেজে ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিনকার চেনা পথ দিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া এক বালিকাকে তাঁর ভাল লেগে যায়। বালিকার পিছু পিছু স্কুল পর্যন্ত সেও হেঁটে যায় প্রায়ই। প্রেম নিবেদন করার সাহস হয়নি তখনো, বিধায় কখনো কখনো স্কুলগেটে দাঁড়িয়ে থাকে মেয়েটিকে একনজর দেখবে বলে। মেয়েটিকে রোজ সকালে স্কুলে পৌঁছে দেন তাঁর বাবা। সম্ভবত সব বাবারাই অজানা আশংকায় চারিদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখেন কন্যাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে। তিনি বিষয়টি লক্ষ্য করেন।
একদিন আমার কাজিনকে ডেকে কাছে টেনে নেন পরম মমতায়। বলেন, ” বাবা, আমার কন্যাটি প্রতিদিন এ পথে স্কুলে আসে, দেখে রেখো তোমার এই ছোটবোনটিকে।” সেইদিন আমার কাজিন “পৃথিবী দু’ভাগ হও, প্রেম চাই না, মাফ চাই” টাইপের লজ্জা পেয়ে আর কোনদিন ওপথ মাড়ায়নি। নিজের পড়াশুনায় মনোযোগী হয়েছে।
এবার নিজের কথা বলি। শপিং মলের পার্কিং লটে গাড়িতে বসে আছি। প্রচণ্ড তৃষ্ণার্ত। পানি পান করে খালি বোতলটি হেঁয়ালি করেই বাইরে ফেলে দেই। কিছুক্ষন পরেই একজন ভিনদেশী বৃদ্ধ জানালার কাঁচে টোকা দিয়ে কিছু বলতে চাইলেন। কাঁচ নামালে খুব বিনয়ের সাথে বললেন, “এক্সকিউজ মি ম্যাম, সম্ভবত এটি তোমার হাত থেকে অসাবধানতাবশত পড়ে গিয়েছে।” সামনে বাড়িয়ে দিলেন ফেলে দেয়া সেই বোতলটি। আমি ওহ্‌, সরি, থ্যাংকস টাইপের কিছু শব্দ উচ্চারণ করি বিড়বিড় করে। সেদিন আমি এক সমুদ্র সমান লজ্জায় ডুবে গিয়েছিলাম যেন।
এরপর আজ এতগুলো বছরের প্রবাস জীবনে আর এমন ভুল হয়নি ভুলেও। সেই থেকে আজ অবধি হাতে থাকা চিপস্ এর খালি প্যাকেট কিংবা কোকের ক্যান বাড়িতে নিয়ে এসে ময়লার ঝুড়িতে ফেলি। জীবন আমাদের কতভাবে কত কি-ই না শিখিয়ে দিয়ে যায়। প্রতিদিন আমরা শিখছি। প্রতিদিন আমরা বদলাচ্ছি একটু একটু করে। তবে, কিছু শিক্ষা আমাদের বোধকে কি গভীরভাবেই না নাড়া দিয়ে যায়, তাই না ?

0 comments:

Thank you

কুরআনিক সাইন্স এন্ড ইসলামিক স্ট্যাডিজ ডিপার্টমেন্টের শফিকুর রহমান স্যারের পি. এইচ.ডি ডিগ্রী অর্জন

খালেদ আফনান, নিজস্ব সংবাদদাতা,আই আই ইউ সি নিউজঃ

 আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের অন্যতম বিভাগ "কুরআনিক সাইন্স এন্ড ইসলামিক স্ট্যাডিজ ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক শফিকুর রহমান স্যার  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া থেকে  পি.এইচ.ডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তাঁর পি.এইচ.ডির বিষয় ছিল,"

سياسة النبي صلي الله عليه وسلم في ضوء القران الكريم.
কুরআনের আলোকে রাসূল( সাঃ) এর রাজনীতি৷"।

.
ইবির থিওলজী অনুষদের দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. গোলাম মাওলা স্যারের অধীনে “কুরআনের আলোকে রাসূল( সাঃ) এর রাজনীতি“ শিরোনামে অভিসন্দর্ভটি সম্পন্ন করা হয়। গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত ইবির সিন্ডিকেট সভায় পিএইচডি ডিগ্রী অনুমোদিত হয়।
.
উল্লেখ্য স্যার মিশর আল আযহার ইউনিভার্সিটি থেকে কৃতিত্বের সাথে অনার্স এবং মালয়েশিয়া ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে মাষ্টার্স সম্পন্ন করেন৷
.
লাল চুল বিশিষ্ট মিষ্ট ভাষী স্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের অতি প্রিয় মুখ৷আমরা ড.শফিকুর রহমান স্যারের  সু-স্বাস্হ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনা করছি৷

0 comments:

Thank you

দাওয়াহ ডিপার্টমেন্টের আমিনুল হক স্যারের পি.এইচ.ডি ডিগ্রী অর্জন

রাসেল হোসেন নিজস্ব সংবাদদাতা,আই আই ইউ সি নিউজঃ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের অন্যতম বিভাগ "দাও'য়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট" এর সহযোগী অধ্যাপক আমিনুল হক স্যার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া থেকে  পি.এইচ.ডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তাঁর পি.এইচ.ডির বিষয় ছিল,"কোর'আনিক সংলাপঃইসলামী দাওয়াহর ক্ষেত্রে এর প্রভাব"।
.
ইবির থিওলজী অনুষদের দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. অলী উল্যাহ র অধীনে “কুরআনিক সংলাপ: ইসলামী দাওয়াহর ক্ষেত্রে এর প্রভাব“ শিরোনামে অভিসন্দর্ভটি সম্পন্ন করা হয়। গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত ইবির সিন্ডিকেট সভায় পিএইচডি ডিগ্রী অনুমোদিত হয়। তাঁর পি এইচ ডি সুপারভাইজার ছিলেন প্রফেসর ড. অলী উল্যাহ।
.
উল্লেখ্য, কিং আব্দুল আজীজ ইউনিভার্সিটি জেদ্দায় তাঁর আরেকটি পিএইচডি কর্ম চলমান আছে। বাংলাদেশের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর এ গবেষণা কর্মও যেন সফলতার সাথে শেষ করতে পারেন সে জন্য তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। নিজের এ সাফল্যের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করতে গিয়ে নিজের আত্মীয় স্বজন,শিক্ষক ও বাবা মার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার পাশাপাশি প্রফেসর আমিনুল বলেন "আমার কর্মস্থল আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ আমাকে বাংলাদেশের ডিগ্রীর পাশাপাশি বিদেশের ডিগ্রী অর্জনের পথ সুগম করে দিয়েছে। ৤ আল্লাহ সবাইকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।"
.
স্যারের এ সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন   তাঁর নিজ ডিপার্টমেন্ট  সহ বিভিন্ন ক্লাবের শিক্ষার্থীরা। আই আই ইউ সি দাওয়া ক্লাবের সদস্য মুন্নাজ্জির আহমেদ জানান, স্যারের এ সাফল্যে আমরা গর্বিত ও অনুপ্রানিত।

1 comments:

Thank you

সত্য, শুভ ও সুন্দরের প্রত্যাশায়

খালেদ আফনান,রিপোর্টার, আই আই ইউ সি নিউজঃ
কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের যাঁরা উদ্ভাবক, তাঁরা যদি জানতেন এ জিনিস বাংলার মাটিতে যাবে, তাহলে কস্মিনকালেও তাঁরা তা আবিষ্কার করতেন না। যুগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যকীয় জিনিসটির এমন অপব্যবহার তাঁদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভবপর হতো না। এবং এখন তাঁদের আত্মা মহাজগতের যেখানেই থাকুক না কেন, সে আত্মা অনুশোচনায় হাহাকার করছে, আর বলছে: হায়, একটি জনগোষ্ঠীর কী সর্বনাশটাই না আমরা ঘটিয়েছি।
বিদেহী মানবাত্মার বিরুদ্ধে যদি ফৌজদারি মামলা করার ব্যবস্থা থাকত, তাহলে মোবাইল আবিষ্কারকদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার হাকিমদের আদালতে ৩০২ ধারায় এত দিনে বহু মামলা রুজু হয়ে যেত। রেললাইন দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মোবাইলে তুমুল গল্প জুড়ে দিয়ে অথবা ব্যস্ততম রাস্তা পারাপারের সময় দিগ্বিদিক না তাকিয়ে মোবাইলে কথা বলতে বলতে যারা ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে বা গাড়ি চাপায় মারা যাচ্ছে, তাদের খুনের দায় রেলগাড়ি বা বাস-ট্রাকের চালকের ওপর চাপানো যাবে না। তাদের অপমৃত্যুর দায় মোবাইল ফোনের আবিষ্কারকদেরই নিতে হবে। এই বস্তুটি যদি দুনিয়ায় না থাকত, তাহলে তা বাংলাদেশেও আসত না, ওই লোকগুলোও মারা যেত না।
কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট প্রভৃতির উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু সেই মোবাইল ফোন ভেঙে দিয়েছে কত নর-নারীর সংসার, কত মেয়ের জীবন গেছে নষ্ট হয়ে, কত কিশোরীর শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে গেছে শুরু করার সময়ই। আর কম্পিউটার ইন্টারনেট? মানবজাতির ইতিহাসে যা এক বিস্ময়কর প্রযুক্তি। যা হওয়ার কথা এ যুগের মানুষের জন্য আশীর্বাদ, তা-ই আজ বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্মের কাছে অভিশাপের মতো আবির্ভূত হয়েছে। এবং তা হয়েছে এই যন্ত্রগুলোর দোষে নয়, এই প্রযুক্তির গুণের কারণে এবং যে মানুষগুলো এসব ব্যবহার করছে, তাদের স্বভাবের কারণে। আগুন জীবনের জন্য অতি প্রয়োজনীয়, বস্তুত আগুন ছাড়া মানুষের জীবন অকল্পনীয়। কিন্তু সেই আগুনের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার সবকিছু ছারখার করে দিতে পারে।

গত সপ্তায় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ‘স্কুলগামী শিশুদের প্রায় ৭৭ শতাংশ পর্নোগ্রাফি দেখে। বাণিজ্যিকভাবে তৈরি পর্নোগ্রাফির চেয়ে ব্যক্তিগত সম্পর্ককে ঘিরে তৈরি পর্নো ভিডিও মানুষ বেশি দেখছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেশে তৈরি এই পর্নোগ্রাফিগুলোতে যাদের ভিডিও দেখানো হচ্ছে, তাদের বয়স ১৮-এর কম। শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের সচেতনতার অভাবেই পর্নোগ্রাফির ঝুঁকি বাড়ছে।...ঢাকার ৫০০ স্কুলগামী শিক্ষার্থীর ওপর পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, ৭৭ শতাংশ শিশু নিয়মিত পর্নোগ্রাফি দেখছে। তারা সুস্থ যৌনশিক্ষার বিপরীতে বিকৃত যৌনশিক্ষার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠছে।’ [সমকাল, ২ অক্টোবর]
সমীক্ষাটি করেছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন নামক একটি বেসরকারি সংস্থা। কোনো জরিপ বা সমীক্ষাই শতভাগ নির্ভুল নয়। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে তা ভুল। এই সংস্থার সমীক্ষাটি বলেছে, ৭৭ শতাংশ শিশু পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। আর একটি সমীক্ষা করলে দেখা যাবে ৭৫ বা ৭৮ শতাংশ কিংবা এ রকমই কোনো একটি সংখ্যা। স্কুলগামী শিশুদের মধ্যে পর্নোগ্রাফি এভাবে ছড়িয়ে পড়া যে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার চেয়ে কম ভয়াবহ নয়, তা আমাদের সমাজপতি ও রাষ্ট্রনেতাদের বিবেচনায় আসেনি।
উল্লেখিত গবেষণা সমীক্ষায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘চারটি পদ্ধতিতে অশ্লীল ভিডিও তৈরি হচ্ছে। তাতে ১৮ বছরের কম বয়সী স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের দেখা যাচ্ছে। ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, ব্যক্তিগত সম্পর্ককে ঘিরে তরুণ-তরুণীরা বিভিন্ন ধরনের পর্নো ভিডিও তৈরি করছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তরুণ-তরুণী কেউই জানে না, তৃতীয় কোনো ব্যক্তি লুকিয়ে ভিডিও করছে। মোবাইল ফোনের সঙ্গে ভিডিও রেকর্ডিং-সুবিধা থাকায় এ ধরনের পর্নো ভিডিও তৈরি হচ্ছে এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে তা দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে, তাদের হাতে মোবাইল ফোন গেল কীভাবে? জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া সিম নিবন্ধন করা নিষিদ্ধ। ১৮ বছরের কম যাদের বয়স, তারা যদি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে চায়, তাহলে তাদের অভিভাবকদের নামে নিবন্ধন করা সিম ব্যবহার করতে হবে। ওই সমীক্ষা নিয়ে রিপোর্ট হওয়ার পর আমি ধানমন্ডি এলাকার কয়েকটি স্কুলের কাছে ছুটির সময় গিয়ে দাঁড়াই। দেখতে পাই ১০-১২ বছরের কম বয়সী ছয়-সাতটি শিশু স্কুলের গেট দিয়ে বেরিয়ে ফোনে কথা বলছে। কেউ দৌড়ে তার মা বা বাবার কাছে যাচ্ছে, কিন্তু কানে ফোন। যার বাবা-মার টাকা আছে, সে দামি মোবাইল ফোন, ট্যাব ও সেগুলোর ইন্টারনেট সংযোগ পাবে, তা তাদের ফান্ডামেন্টাল রাইট। তাতে আপত্তি করার আমরা কেউ নই।
গত ১০০ বছরে বাঙালি জাতি দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজন্মকে পেয়েছিল। সেই দুই প্রজন্মের অর্জন অপরিমেয়। একটি প্রজন্ম ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করে ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটায় ১৯৪৭-এ। আ​েরকটি প্রজন্ম, যেটা আমাদের প্রজন্ম, পাকিস্তানি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন করে। দুই যুগের মানুষের প্রচুর অর্থবিত্ত ছিল না, উন্নত প্রযুক্তি ছিল না, কম্পিউটার-মোবাইল ছিল না। ইন্টারনেট কী তা তারা জানত না। তারা বেড়ে উঠেছিল শুধু বই পড়ে।
ইংরেজ আমলের বিপ্লবী ও রাজনৈতিক সমাজকর্মীরা জীবন গড়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন বই পড়ে। তখন প্রতিটি পাড়ায় এমনকি বহু বাড়িতে পাঠাগার ছিল। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকেও ঢাকাতেই বহু গণপাঠাগার ছিল। শুধু আজিমপুর-লালবাগেই ছিল কয়েকটি গণগ্রন্থাগার। পুরানা পল্টন, শান্তিনগর, ফরাশগঞ্জ ও গেন্ডারিয়ার পাঠাগারগুলোতে আমিও পড়তে গিয়েছি।
পঞ্চাশের দশকে এমনকি মধ্য ষাটেও ঢাকা নগরী ছিল খোলামেলা। এক পাড়ার সব মানুষ সবাইকে চিনত। যেসব পুরোনো বাড়িতে আমরা বাস করতাম তাতে ছিল উঠান। সেখানে বাচ্চারা খেলত। তা ছাড়া ছিল প্রতিটি পাড়ায় খেলার মাঠ বা ফাঁকা জায়গা, তাতে খেলাধুলা করা যেত। বহু বড় পুকুর ছিল, তাতে সাঁতার কাটা যেত। তখন বহুতল উঁচু ভবন খুব কম ছিল। গত ২০-২৫ বছরে পুরোনো দিনের একতলা-দোতলা বাড়ি ভেঙে বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট বানানো হয়েছে। তার একেকটি ফ্ল্যাটে খুব কম হলে কুড়িটি পরিবার, কোনোটিতে ৬০-৭০ থেকে ১০০টি পরিবার বাস করে। খেলার মাঠ নেই। ছেলেমেয়েরা যাবে কোথায়? তারা কেউ কম্পিউটারে ভিডিও গেম খেলে, ফেসবুক ঘাঁটে, কেউ দেখে পর্নো ছবি।
আমি আমার সহযোগীদের নিয়ে ধানমন্ডি, লালমাটিয়া, কলাবাগান, বনানী ও গুলশানের প্রায় ৪৫টির মতো অ্যাপার্টমেন্টে খোঁজ নিয়ে দেখেছি, সবগুলোতেই নিরাপত্তাকর্মী ও ড্রাইভারদের বিশ্রামকক্ষ ও নামাজের ঘর আছে। কোনো কোনোটিতে কমিউনিটি হল ও অতিথিদের বসার ঘরও আছে। কিন্তু একটিতেও কোনো পাঠাগার নেই।
বহুতল অ্যাপার্টমেন্টে শ দেড়েক থেকে হাজারখানেক মানুষ বাস করে। তার এক-তৃতীয়াংশ শিশু-কিশোর। প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টে যদি ছোট একটি পাঠাগার থাকে, তাহলে ফ্ল্যাটগুলোর বাসিন্দারা, বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে যাঁরা কর্মজীবী নন, তাঁরা অবসরে পাঠাগারে গিয়ে বই পড়তে পারেন। ছোট ছেলেমেয়েরা হবে অত্যন্ত উপকৃত। তা ছাড়া ড্রাইভার ও নিরাপত্তাকর্মীরাও বই পড়ার সুযোগ পাবেন। প্রতিটি বহুতল ভবনে যদি পাঠাগার থাকে, একটি জ্ঞান-আলোকিত সমাজ গঠনে তা খুব বড় ভূমিকা রাখতে পারবে। বিষয়টি অ্যাপার্টমেন্টগুলোর মালিকদের ভেবে দেখতে সবিনয় অনুরোধ করছি।
কয়েক মাস যাবৎ প্রথম আলোতে দেশের বিভিন্ন গণগ্রন্থাগার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। তাতে দেখা যায়, অনেক গ্রন্থাগারে বই আছে যথেষ্ট, পাঠক নেই। আগ্রহ ও সময়ের অভাব থাকতে পারে, তবে যানজটের ফলে এখন কোথাও যাতায়াতও কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ। যুগের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনধারাও বদলে যায়। অ্যাপার্টমেন্টবাসীর যদি হাতের কাছে বই থাকে, তাহলে নতুন প্রজন্মের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে উঠবে। তারা পর্নোগ্রাফির মতো অনিষ্টকর প্রবণতা থেকে দূরে থাকবে। সত্য ও সুন্দরের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়বে। মানবজীবন সম্বন্ধে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি হবে উদার। তারা সংকীর্ণতা, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদকে নিজের থেকেই ঘৃণা করতে শিখবে।
কম্পিউটার-ইন্টারনেটের উপকারিতাও সীমাহীন। সেটাও জ্ঞান অর্জনের অফুরন্ত উৎস। এগুলোর ক্ষতিকর দিক অতি সামান্য। বই পড়া ও কম্পিউটার যদি একই সঙ্গে ব্যবহার করা হয়, তাহলে সোনায় সোহাগা। নির্ভর করে সদ্ব্যবহারের ওপর। প্রতিটি যুগেরই নিজস্ব কিছু সমস্যা থাকে, যা পূর্ববর্তী আর কোনো যুগের ছিল না। সেই সমস্যা সমাধানের উপায় যুগের মানুষকেই খুঁজে বের করতে হয়। যদি সেই যুগের মানুষ সমস্যাগুলো শনাক্ত করে তা সমাধানে অপারগ হয়, তাহলে তারা ব্যর্থ মানুষ। শুধু বর্তমান সময়ের সমস্যা নয়, আগামী দিনের সম্ভাব্য সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি থাকা চাই। অতীতের চেয়ে যেহেতু এই যুগ সমৃদ্ধ, তাই এই যুগ ও পরবর্তী যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রয়োজন উন্নত চরিত্রবিশিষ্ট মেধাবী মানুষের। যেসব মানুষ জঘন্য অপরাধ করে, তাদেরও সেটার ঘাটতি নেই।
মেধাকে তারা সৃষ্টিশীল ও মানবকল্যাণে ব্যবহার না করে জিঘাংসা ও ক্ষতিকর কাজে লাগাচ্ছে। সমাজের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের দায়িত্ব, তারা যাতে সেই পথে যেতে না পারে সেই উদ্যোগ গ্রহণ করা। এ দায়িত্ব সরকার ও নাগরিক সমাজ দুদিকেরই।
সৈয়দ আবুল মকসুদ: লেখক ও গবেষক।

0 comments:

Thank you

সাহিত্যে নোবেল পেলেন ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশে’র বব ডিলান


১৯৭১ সালের ১ আগস্ট বিকেলবেলা নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে কনসার্ট ফর বাংলাদেশের মঞ্চে গটগট করে উঠে আসছিলেন গিটার আর হারমোনিকা হাতে ৩০ বছরের যে যুবক, তিনি আসলে খুব নার্ভাস বোধ করছিলেন। এত লোকের সামনে এর আগে কখনোই তিনি গান করেননি। তাঁকে দেখে কনসার্টের প্রধান আয়োজক জর্জ হ্যারিসন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিলেন। হ্যারিসন ধরেই নিয়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত হয়তো ওই যুবকের টিকিটি দেখা যাবে না। আগের দিন রিহার্সেলের সময় তাঁর অস্বস্তি দেখে তেমনই মনে হয়েছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত নার্ভাস যুবক এসেছিলেন। ৪০ হাজার দর্শকের সামনে একে একে বেশ কয়েকটি গান তিনি গেয়েছিলেন, যার 
মধ্যে নয় বছর আগে লেখা তাঁর বিখ্যাত ‘ব্লোইন ইন দ্য উইন্ড’গানটিও ছিল।

বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মমুহূর্তের ওই সাড়া জাগানো সংগীত আসর অনেক দিক থেকেই ছিল ব্যতিক্রমী। আর কনসার্টের ওই মুখচোরা যুবক, যাঁর নাম বব ডিলান, ৪৫ বছর পর নিজেই এক ব্যতিক্রমী ঘটনার জন্ম দিলেন। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন তিনি। এটা ব্যতিক্রমী এবং অবশ্যই বিস্ময়কর ঘটনা; কেননা, কোনো গান রচয়িতাকে এযাবৎ দেওয়া হয়নি নোবেল পুরস্কার। এত দিন তা কবি আর ঔপন্যাসিকদেরই একচ্ছত্র দখলে ছিল। এমনকি একবার এক দার্শনিকের কপালেও জুটেছিল এ পুরস্কার (বার্ট্রান্ড রাসেল, ১৯৫০)।
পুরস্কারের প্রশংসাপত্রে নোবেল কমিটি বলেছে, ডিলানকে এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে ‘আমেরিকার মহান সংগীত-ঐতিহ্যে নতুন কাব্যিক অভিব্যক্তি সৃষ্টির জন্য।’
যে লোককে গোটা বিশ্ব জনপ্রিয় গায়ক হিসেবে চেনে, তাঁর হাতে সাহিত্যে নোবেল তুলে দিলে অনেকেরই যে ভ্রু কুঁচকে যাবে, সেটা পুরস্কারের আয়োজকেরা আগাম অনুমান করেছেন। সে জন্য গতকাল স্টকহোমে পুরস্কার ঘোষণার সময় সুইডিশ একাডেমির স্থায়ী সচিব সারা ড্যানিয়ুস বলেন, তিনি আশা করছেন, এই সিদ্ধান্তের জন্য একাডেমিকে সমালোচনা করা হবে না। ড্যানিয়ুস আরও বলেন, ডিলানকে বেছে নেওয়া বিস্ময়কর মনে হতে পারে বটে, তবে ‘পেছন ফিরে তাকালে আপনারা (গ্রিক কবি) হোমার ও সাপফোকে দেখতে পাবেন। তাঁরা কাব্যিক লেখা লিখেছেন, যেগুলো লেখা হয়েছে কেবল শোনার জন্য, পরিবেশন করার জন্য, মাঝে মাঝে যন্ত্রানুষঙ্গে। বব ডিলানের ক্ষেত্রে একই কথা খাটে। তাঁকে পড়াও যায় এবং পড়াই উচিত। ইংলিশ ঐতিহ্যমাফিক তিনি এক মহান কবি।’
পুরস্কারের প্রবর্তক আলফ্রেড নোবেলের উইলে বলা আছে, সাহিত্যে নোবেল পাবেন সেই লোক, যিনি ‘সাহিত্যের ক্ষেত্রে একটি আদর্শ অভিমুখে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছেন’। ডিলান যে এই শর্ত পূরণ করেন, সেটা বোঝানোর জন্য গতকাল ১৮ সদস্যের বাছাই কমিটিকে এই তথ্যটুকুও যোগ করতে হয়েছে যে, ডিলানের গানের লিরিকস বই আকারে বের হয় এবং সেগুলোর একাধিক সংস্করণ প্রকাশ করতে হয়। তা ছাড়া ডিলান টারানটুলা নামে একটি গদ্যকবিতার বইসহ নানা রকম নিরীক্ষাধর্মী সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি করেছেন। এর বাইরে তিনি যে একজন সক্রিয় পেইন্টার, নোবেল ঘোষণায় সে কথাও বলা হয়েছে।

নোবেল কমিটির এই ঘোষণায় কিছুটা স্বীকারোক্তিমূলক সুর ধ্বনিত হলেও নোবেল পুরস্কারের জন্য ডিলানের নাম অন্তত ২০ বছর ধরে শোনা যাচ্ছিল। তাঁর গানের কথা যে উৎকৃষ্ট কবিতা, এটা এমনকি অনেক প্রথিতযশা কবিও স্বীকার করছিলেন। তাঁর গানে সুর ছাপিয়ে কথা অনেক বেশি করে ধ্বনিত হয়। নিজেও তিনি ছিলেন মার্কিন কবি ডিলান টমাসের ভক্ত। ডিলান নামটাও ওই কবির কাছ থেকে ধার করা।
‘ব্লোয়িন ইন দ্য উইন্ড’ আর ‘টাইমস দে আর-আ-চেঞ্জিং’ গান ষাটের দশকে আমেরিকায় সিভিল রাইটস আন্দোলনে জাতীয় সংগীতে পরিণত হয়েছিল। শুরুতে ফোক মিউজিকের ঘরানায় থাকলেও সেই ধারা ভেঙে বেরিয়ে আসেন ডিলান। এরপর কেবলই প্রথা ভেঙেছেন। ‘রোলিং স্টোন’ গানের গড়িয়ে পড়া পাথরখণ্ডের মতোই নিরন্তর এক বিদ্রোহী মেজাজে গড়িয়ে গেছেন, কোনো শেওলা জমতে দেননি গায়ে। ২০০৪ সালে বেরিয়েছে তাঁর তিন পর্বের আত্মজীবনীর প্রথম পর্ব ক্রনিকলস: ভলিউম ওয়ান,যার শেষ অধ্যায়ে তিনি বর্ণনা করেছেন, মার্কিন ব্লুজ গায়ক রবার্ট লেরয় জনসনের গান শুনে তিনি নিজে গান লেখার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। মার্কিন কবি এন্ড্রু মোশন তাঁর গানের কথাকে কবিতা হিসেবেই পড়তে বলেছেন।

0 comments:

Thank you

বিশ্ববিদ্যালয় নয় যেন ফুলে ফুলে বেষ্টিত বাগানবাড়ি

আদনান তারেক,রিপোর্টার, আই আই ইউ সি নিউজঃ গেইট দিয়ে ভিতরে ঢুকার পর মফস্বলের পরিবেশে দোকানপাট দেখে কিছুটা হতাশা আসলেও ভিতরে ঢুকলে প্রোফাইল পিকচার তুলার প্রতিযোগীতায় নামতে হবে আপনাকে।হয়ত ভাবছেন এ কেমন কথা। তাহলে চলুন ,একটু দেখে আসি।
.
রেললাইন পেরিয়েই উঁচু পাহাড়ের গর্ভাশয় ভেদ করে দাঁড়িয়ে আছে সবুজ সাইনবোর্ড সম্বলিত সাদা রংমাখা লেখা "হে প্রভু আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দাও"।
.
এবার চোখগুলোকে দুই হাতের তালু দিয়ে আরেকটু নাড়াচাড়া করে নিজেকে স্বাভাবিক করেই আশপাশ ভাল করে দেখে নিন।
.
রেললাইনের দু'ধারঘেঁষে সবুজ আর সবুজ।সবুজের চির ধরে হারিয়ে যায় একটু পর পর আসা ট্রেনগুলো।এক পাশে বাংলাদেশ রেলওয়ে কলোনীর জায়গাগুলোতে বাস্তুহারামানু্ষের ছোট ছোট ঘর বুনে বসবাস অন্য পাশে অনিন্দ্য সুন্দর বিল্ডিং নিয়ে গড়ে উঠা বিশাল বিদ্যাপীঠ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম।
.
রেললাইন থেকে কয়েক কদম ভিতরে ঢুকলেই ডান পাশে তিন তিনটি হোষ্টেল নিয়ে গড়ে উঠেছে হোষ্টেল জোন(সাউথ ক্যাম্পাস)।যার প্রবেশ পথের বাম পাশে উঁচু পাহাড় আর ডান পাশ ঘেঁষে চলে গেছে রেললাইন। চলার পথে হঠাৎ 'পওওওও' ডাক শুনে কিছুটা ভীত হলেও পরক্ষণে ট্রেনের ঝকঝক শব্দে প্রাণ ফিরে পাবেন।
.
তিনটি হোষ্টেলের মধ্যে আলী(রা:)হলটি তো পুরোটাই পাহাড়ের উপর।আবু বকর (রা:)হল এবং ৫ নং হলতো অনেকটাই পাহাড়ের বুক চিরে তৈরী করা হয়েছে।
.
হোষ্টেল জোন থেকে বের হয়ে সামনে হাঁটলেই চোখে পড়বে ফুলে ফুলে বেষ্টিত বাগান। যার মাঝে সবুজে লেখা আই আই ইউ সি।সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এখানেই আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে আলোচিত স্থান "হতাশা চত্ত্বর"(বকুল তলা)।
.
এবার আপনি যাচ্ছেন মনোমুগ্ধকর অপরূপ সৌন্দর্যের ভান্ডার বিশ্ববিদ্যালয় মূল ক্যাম্পাসের দিকে। কিছুটা হতচকিয়েই যাবেন।কারণ একদিকে উপমহাদেশের অনন্য সুন্দর মসজিদ অন্যদিকে কারুকার্য খচিত লাইব্রেরি। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, এত বড় লাইব্রেরী এর আগে ভাবেনওনি হয়ত। এখানে এসেছেন আর মসজিদকে প্রোফাইল পিকচার দেননি এমন দর্শনার্থী খুব কমই
আছেন।
.
মসজিদ লাইব্রেরী আর অন্যান্য ভবনগুলোকে ঘিরে গড়ে তুলা হয়েছে নানা রং এর ফুলের বাগান।যা এই সৌন্দর্য্যকে আরো পূর্ণতা দিয়েছে বহুগুণ। ক্যাম্পাসের ভূভাগে একটি হলসহ আছে অনেকগুলো ডিপার্টমেন্ট বিল্ডিং, ডাইনিং।আর এক পাশে সবুজ পাহাড় আর ফুলের বাগান বেষ্টিত ১৪০০ ছাত্র-ছাত্রী বসার উপযোগী বিশাল অডিটোরিয়াম। যার কারুকাজ বর্ণনাতীত।
.
এবার আরেকটু ভিতরে যেতে হবে আপনাকে কারণ যা দেখেছেন তা অপূর্ণ থেকে যাবে ভিতরে না গেলে।
.
ভিতরে আছে গ্রাম্য নিরিবিলি পরিবেশ,প্রকৃতির অনন্য রূপ,পাহাড়ি মানুষের আসাযাওয়া,মালিদের যাতায়াত,পাহাড়ের বুকে গড়ে উঠা ছোট ছোট বাড়ি আর আমাদের সাইন্স এবং বিজনেস ফ্যাকাল্টি।আছে তৃতীয় হোষ্টেল জোন।
.
পাঁচ তারা নামে খ্যাত বিশাল হল ভবন।হযরত ওসমান রা:হল। নির্মিত হচ্ছে আরো নতুন নতুন হল।
.
সকল ঋতুতেই ভ্রমণোপযোগী বিশ্ববিদ্যালয়টির
জন্ম ১৯৯৪ সালে।যা ১৭টি ডিপার্টমেন্ট নিয়ে প্রতিনিধিত্ব করে যাচ্ছে এদেশের সততা নির্ভর
জনগোষ্ঠীর।প্রায় ১৭০০০ ছাত্র-ছাত্রীর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশি ছাড়াও আছেন বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের বিদেশি শিক্ষার্থীবৃন্দ।
.
Combined Quality with morality স্লোগান নিয়ে দিপ্তপদভরে সামনে এগিয়ে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দেখে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ই মনে হবে না মনে হবে যেন ভ্রমণপিয়াসুদের পিপাসা মিটানোর জন্য তৈরী করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন পার্ক।তাই সীতাকুন্ড ভ্রমণে আসলে অনেকেই ভ্রমণের অংশ হিসেবে ঘুরে যেতে ভুল করেন না আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ক্যাম্পাস।

0 comments:

Thank you

Copyright © Fri3nClay IIUC News