আই ইউ সি নিউজ ক্যাম্পাস স্মৃতি প্রতিযোগিতা_২০১৬
#IIUC_ক্যাম্পাস_স্মৃতি_২০১৬
#লেখা_০১
.
আমি HSC দেওয়ার পর প্রথমে CU-তে এক্সাম দেই। ভালো কোন সাবজেক্ট আসেনি, আসছে চারুকলা। আমার ব্যাকগ্রাউন্ড ছিলো কমার্স তাই আর চারুকলা নিয়ে পড়া হয়নি।
.
একটা ছাত্র যখন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দিবে তখত তার সব অজানা থাকে, কোথায় পড়বে কোন ভার্সিটি বেটার হবে এসব। আর ঠিক তখনই কিছু কিছু মানুষ আছে যারা যেমন খুশি তেমন পরামর্শ দেয়। যে যেখানে পড়ে ও ওটার সুনাম করে। আর আমার বেলায় হলো আমি প্রথমে এক ভাইয়ের কথা ধরে প্রিমিয়ার থেকে ফর্ম নিই Law এবং BBA এর জন্য। ওখানে দুইটাতে এক্সাম দিয়ে দুইটাতে আসি, কিন্তু মনে সায় দেয়না, প্রিমিয়ার কি আদৌ ভালো ভার্সিটি নাকি সিটি কর্পোরেশন কলেজ গুলার মতো এসব ভাবনা আসে। এরপর করি কি USTC থেকে ফর্ম আনতে যাই দেখি ফর্ম নেওয়ার সময় শেষ, সবশেষে না পারতে IIUC থেকে একটা ফর্ম নিই এবং আমরা ৭ জন ফ্রেন্ড একসাথে এক্সাম দিই।
এক্সাম দিতে গিয়ে আমিতো স্তম্ভিত! কি এসব, এত বড় ক্যাম্পাস, এত সুন্দর, চমত্কার যাতায়াত সুবিধা, এত স্টুডেন্ট, পরিক্ষা এত কঠিন, পাবলিকেও এত কিছু আসেনা। এখানে ইসলামী ইতিহাস, একাউন্টিং, ম্যাথ, ইংলিশ, বাংলা, সবকিছু আন্সার করতে হয়। এসব দেখে আমি মরিয়া হয়ে লাগছি যে, যে কোন ভাবেই হোক আমি IIUC-তে পড়বো।
.
এরপর আমি বাসায় চলে আসলাম কিন্তু আমার বন্ধুরা রেজাল্ট জেনে আসার জন্য ক্যাম্পাসেই থেকে গেলো। বিকেলে ওদের ফোন করে জানলাম ওদের কারোই আসেনি। ওরা আমার উপর চরম রেগে যেহেতু আমার আসছে, এ কারণে তারা আমাকে বলেনি। পরে অনেক জিজ্ঞেস করার পর বলছে যে, "তুই ফার্স্ট মেরিট লিস্টে"! শুনেই ভোঁ-দোড়। তখন সিএনজি চলতো, সিএনজি করে চলে গেলাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্বচক্ষে দেখলাম আমি IIUC'র একটা অংশ হয়ে গেলুম, এরপর ভাইবা দিলাম, ভাইবাতেও সফলভাবে উত্তীর্ণ হলাম।
.
( আর আমার জীবনে আমি সবচেয়ে বিস্মিত ও আবেগি হয়েছি যখন শুনছি ভার্সিটি তে মেয়ে নাই, প্রায় কেঁদে ফেলেছিলাম। তখন ভর্তি হয়ে গেছি তাই আর কোন উপায় ছিলোনা! )
.
লিখেছেনঃ
মোঃ রাইসুল ইসলাম রিজভী
বিবিএ, থার্ড সেমিস্টার।
ডিপার্টমেন্টঃ DBA, IIUC.
#লেখা_০১
.
আমি HSC দেওয়ার পর প্রথমে CU-তে এক্সাম দেই। ভালো কোন সাবজেক্ট আসেনি, আসছে চারুকলা। আমার ব্যাকগ্রাউন্ড ছিলো কমার্স তাই আর চারুকলা নিয়ে পড়া হয়নি।
.
একটা ছাত্র যখন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দিবে তখত তার সব অজানা থাকে, কোথায় পড়বে কোন ভার্সিটি বেটার হবে এসব। আর ঠিক তখনই কিছু কিছু মানুষ আছে যারা যেমন খুশি তেমন পরামর্শ দেয়। যে যেখানে পড়ে ও ওটার সুনাম করে। আর আমার বেলায় হলো আমি প্রথমে এক ভাইয়ের কথা ধরে প্রিমিয়ার থেকে ফর্ম নিই Law এবং BBA এর জন্য। ওখানে দুইটাতে এক্সাম দিয়ে দুইটাতে আসি, কিন্তু মনে সায় দেয়না, প্রিমিয়ার কি আদৌ ভালো ভার্সিটি নাকি সিটি কর্পোরেশন কলেজ গুলার মতো এসব ভাবনা আসে। এরপর করি কি USTC থেকে ফর্ম আনতে যাই দেখি ফর্ম নেওয়ার সময় শেষ, সবশেষে না পারতে IIUC থেকে একটা ফর্ম নিই এবং আমরা ৭ জন ফ্রেন্ড একসাথে এক্সাম দিই।
এক্সাম দিতে গিয়ে আমিতো স্তম্ভিত! কি এসব, এত বড় ক্যাম্পাস, এত সুন্দর, চমত্কার যাতায়াত সুবিধা, এত স্টুডেন্ট, পরিক্ষা এত কঠিন, পাবলিকেও এত কিছু আসেনা। এখানে ইসলামী ইতিহাস, একাউন্টিং, ম্যাথ, ইংলিশ, বাংলা, সবকিছু আন্সার করতে হয়। এসব দেখে আমি মরিয়া হয়ে লাগছি যে, যে কোন ভাবেই হোক আমি IIUC-তে পড়বো।
.
এরপর আমি বাসায় চলে আসলাম কিন্তু আমার বন্ধুরা রেজাল্ট জেনে আসার জন্য ক্যাম্পাসেই থেকে গেলো। বিকেলে ওদের ফোন করে জানলাম ওদের কারোই আসেনি। ওরা আমার উপর চরম রেগে যেহেতু আমার আসছে, এ কারণে তারা আমাকে বলেনি। পরে অনেক জিজ্ঞেস করার পর বলছে যে, "তুই ফার্স্ট মেরিট লিস্টে"! শুনেই ভোঁ-দোড়। তখন সিএনজি চলতো, সিএনজি করে চলে গেলাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্বচক্ষে দেখলাম আমি IIUC'র একটা অংশ হয়ে গেলুম, এরপর ভাইবা দিলাম, ভাইবাতেও সফলভাবে উত্তীর্ণ হলাম।
.
( আর আমার জীবনে আমি সবচেয়ে বিস্মিত ও আবেগি হয়েছি যখন শুনছি ভার্সিটি তে মেয়ে নাই, প্রায় কেঁদে ফেলেছিলাম। তখন ভর্তি হয়ে গেছি তাই আর কোন উপায় ছিলোনা! )
.
লিখেছেনঃ
মোঃ রাইসুল ইসলাম রিজভী
বিবিএ, থার্ড সেমিস্টার।
ডিপার্টমেন্টঃ DBA, IIUC.
0 comments:
Thank you