বিশ্ববিদ্যালয় নয় যেন ফুলে ফুলে বেষ্টিত বাগানবাড়ি
আদনান তারেক,রিপোর্টার, আই আই ইউ সি নিউজঃ গেইট দিয়ে ভিতরে ঢুকার পর মফস্বলের পরিবেশে দোকানপাট দেখে কিছুটা হতাশা আসলেও ভিতরে ঢুকলে প্রোফাইল পিকচার তুলার প্রতিযোগীতায় নামতে হবে আপনাকে।হয়ত ভাবছেন এ কেমন কথা। তাহলে চলুন ,একটু দেখে আসি।
.
রেললাইন পেরিয়েই উঁচু পাহাড়ের গর্ভাশয় ভেদ করে দাঁড়িয়ে আছে সবুজ সাইনবোর্ড সম্বলিত সাদা রংমাখা লেখা "হে প্রভু আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দাও"।
.
এবার চোখগুলোকে দুই হাতের তালু দিয়ে আরেকটু নাড়াচাড়া করে নিজেকে স্বাভাবিক করেই আশপাশ ভাল করে দেখে নিন।
.
রেললাইনের দু'ধারঘেঁষে সবুজ আর সবুজ।সবুজের চির ধরে হারিয়ে যায় একটু পর পর আসা ট্রেনগুলো।এক পাশে বাংলাদেশ রেলওয়ে কলোনীর জায়গাগুলোতে বাস্তুহারামানু্ষের ছোট ছোট ঘর বুনে বসবাস অন্য পাশে অনিন্দ্য সুন্দর বিল্ডিং নিয়ে গড়ে উঠা বিশাল বিদ্যাপীঠ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম।
.
রেললাইন থেকে কয়েক কদম ভিতরে ঢুকলেই ডান পাশে তিন তিনটি হোষ্টেল নিয়ে গড়ে উঠেছে হোষ্টেল জোন(সাউথ ক্যাম্পাস)।যার প্রবেশ পথের বাম পাশে উঁচু পাহাড় আর ডান পাশ ঘেঁষে চলে গেছে রেললাইন। চলার পথে হঠাৎ 'পওওওও' ডাক শুনে কিছুটা ভীত হলেও পরক্ষণে ট্রেনের ঝকঝক শব্দে প্রাণ ফিরে পাবেন।
.
তিনটি হোষ্টেলের মধ্যে আলী(রা:)হলটি তো পুরোটাই পাহাড়ের উপর।আবু বকর (রা:)হল এবং ৫ নং হলতো অনেকটাই পাহাড়ের বুক চিরে তৈরী করা হয়েছে।
.
হোষ্টেল জোন থেকে বের হয়ে সামনে হাঁটলেই চোখে পড়বে ফুলে ফুলে বেষ্টিত বাগান। যার মাঝে সবুজে লেখা আই আই ইউ সি।সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এখানেই আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে আলোচিত স্থান "হতাশা চত্ত্বর"(বকুল তলা)।
.
এবার আপনি যাচ্ছেন মনোমুগ্ধকর অপরূপ সৌন্দর্যের ভান্ডার বিশ্ববিদ্যালয় মূল ক্যাম্পাসের দিকে। কিছুটা হতচকিয়েই যাবেন।কারণ একদিকে উপমহাদেশের অনন্য সুন্দর মসজিদ অন্যদিকে কারুকার্য খচিত লাইব্রেরি। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, এত বড় লাইব্রেরী এর আগে ভাবেনওনি হয়ত। এখানে এসেছেন আর মসজিদকে প্রোফাইল পিকচার দেননি এমন দর্শনার্থী খুব কমই
আছেন।
.
মসজিদ লাইব্রেরী আর অন্যান্য ভবনগুলোকে ঘিরে গড়ে তুলা হয়েছে নানা রং এর ফুলের বাগান।যা এই সৌন্দর্য্যকে আরো পূর্ণতা দিয়েছে বহুগুণ। ক্যাম্পাসের ভূভাগে একটি হলসহ আছে অনেকগুলো ডিপার্টমেন্ট বিল্ডিং, ডাইনিং।আর এক পাশে সবুজ পাহাড় আর ফুলের বাগান বেষ্টিত ১৪০০ ছাত্র-ছাত্রী বসার উপযোগী বিশাল অডিটোরিয়াম। যার কারুকাজ বর্ণনাতীত।
.
এবার আরেকটু ভিতরে যেতে হবে আপনাকে কারণ যা দেখেছেন তা অপূর্ণ থেকে যাবে ভিতরে না গেলে।
.
ভিতরে আছে গ্রাম্য নিরিবিলি পরিবেশ,প্রকৃতির অনন্য রূপ,পাহাড়ি মানুষের আসাযাওয়া,মালিদের যাতায়াত,পাহাড়ের বুকে গড়ে উঠা ছোট ছোট বাড়ি আর আমাদের সাইন্স এবং বিজনেস ফ্যাকাল্টি।আছে তৃতীয় হোষ্টেল জোন।
.
পাঁচ তারা নামে খ্যাত বিশাল হল ভবন।হযরত ওসমান রা:হল। নির্মিত হচ্ছে আরো নতুন নতুন হল।
.
সকল ঋতুতেই ভ্রমণোপযোগী বিশ্ববিদ্যালয়টির
জন্ম ১৯৯৪ সালে।যা ১৭টি ডিপার্টমেন্ট নিয়ে প্রতিনিধিত্ব করে যাচ্ছে এদেশের সততা নির্ভর
জনগোষ্ঠীর।প্রায় ১৭০০০ ছাত্র-ছাত্রীর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশি ছাড়াও আছেন বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের বিদেশি শিক্ষার্থীবৃন্দ।
.
Combined Quality with morality স্লোগান নিয়ে দিপ্তপদভরে সামনে এগিয়ে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দেখে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ই মনে হবে না মনে হবে যেন ভ্রমণপিয়াসুদের পিপাসা মিটানোর জন্য তৈরী করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন পার্ক।তাই সীতাকুন্ড ভ্রমণে আসলে অনেকেই ভ্রমণের অংশ হিসেবে ঘুরে যেতে ভুল করেন না আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ক্যাম্পাস।
.
রেললাইন পেরিয়েই উঁচু পাহাড়ের গর্ভাশয় ভেদ করে দাঁড়িয়ে আছে সবুজ সাইনবোর্ড সম্বলিত সাদা রংমাখা লেখা "হে প্রভু আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দাও"।
.
এবার চোখগুলোকে দুই হাতের তালু দিয়ে আরেকটু নাড়াচাড়া করে নিজেকে স্বাভাবিক করেই আশপাশ ভাল করে দেখে নিন।
.
রেললাইনের দু'ধারঘেঁষে সবুজ আর সবুজ।সবুজের চির ধরে হারিয়ে যায় একটু পর পর আসা ট্রেনগুলো।এক পাশে বাংলাদেশ রেলওয়ে কলোনীর জায়গাগুলোতে বাস্তুহারামানু্ষের ছোট ছোট ঘর বুনে বসবাস অন্য পাশে অনিন্দ্য সুন্দর বিল্ডিং নিয়ে গড়ে উঠা বিশাল বিদ্যাপীঠ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম।
.
রেললাইন থেকে কয়েক কদম ভিতরে ঢুকলেই ডান পাশে তিন তিনটি হোষ্টেল নিয়ে গড়ে উঠেছে হোষ্টেল জোন(সাউথ ক্যাম্পাস)।যার প্রবেশ পথের বাম পাশে উঁচু পাহাড় আর ডান পাশ ঘেঁষে চলে গেছে রেললাইন। চলার পথে হঠাৎ 'পওওওও' ডাক শুনে কিছুটা ভীত হলেও পরক্ষণে ট্রেনের ঝকঝক শব্দে প্রাণ ফিরে পাবেন।
.
তিনটি হোষ্টেলের মধ্যে আলী(রা:)হলটি তো পুরোটাই পাহাড়ের উপর।আবু বকর (রা:)হল এবং ৫ নং হলতো অনেকটাই পাহাড়ের বুক চিরে তৈরী করা হয়েছে।
.
হোষ্টেল জোন থেকে বের হয়ে সামনে হাঁটলেই চোখে পড়বে ফুলে ফুলে বেষ্টিত বাগান। যার মাঝে সবুজে লেখা আই আই ইউ সি।সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এখানেই আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে আলোচিত স্থান "হতাশা চত্ত্বর"(বকুল তলা)।
.
এবার আপনি যাচ্ছেন মনোমুগ্ধকর অপরূপ সৌন্দর্যের ভান্ডার বিশ্ববিদ্যালয় মূল ক্যাম্পাসের দিকে। কিছুটা হতচকিয়েই যাবেন।কারণ একদিকে উপমহাদেশের অনন্য সুন্দর মসজিদ অন্যদিকে কারুকার্য খচিত লাইব্রেরি। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, এত বড় লাইব্রেরী এর আগে ভাবেনওনি হয়ত। এখানে এসেছেন আর মসজিদকে প্রোফাইল পিকচার দেননি এমন দর্শনার্থী খুব কমই
আছেন।
.
মসজিদ লাইব্রেরী আর অন্যান্য ভবনগুলোকে ঘিরে গড়ে তুলা হয়েছে নানা রং এর ফুলের বাগান।যা এই সৌন্দর্য্যকে আরো পূর্ণতা দিয়েছে বহুগুণ। ক্যাম্পাসের ভূভাগে একটি হলসহ আছে অনেকগুলো ডিপার্টমেন্ট বিল্ডিং, ডাইনিং।আর এক পাশে সবুজ পাহাড় আর ফুলের বাগান বেষ্টিত ১৪০০ ছাত্র-ছাত্রী বসার উপযোগী বিশাল অডিটোরিয়াম। যার কারুকাজ বর্ণনাতীত।
.
এবার আরেকটু ভিতরে যেতে হবে আপনাকে কারণ যা দেখেছেন তা অপূর্ণ থেকে যাবে ভিতরে না গেলে।
.
ভিতরে আছে গ্রাম্য নিরিবিলি পরিবেশ,প্রকৃতির অনন্য রূপ,পাহাড়ি মানুষের আসাযাওয়া,মালিদের যাতায়াত,পাহাড়ের বুকে গড়ে উঠা ছোট ছোট বাড়ি আর আমাদের সাইন্স এবং বিজনেস ফ্যাকাল্টি।আছে তৃতীয় হোষ্টেল জোন।
.
পাঁচ তারা নামে খ্যাত বিশাল হল ভবন।হযরত ওসমান রা:হল। নির্মিত হচ্ছে আরো নতুন নতুন হল।
.
সকল ঋতুতেই ভ্রমণোপযোগী বিশ্ববিদ্যালয়টির
জন্ম ১৯৯৪ সালে।যা ১৭টি ডিপার্টমেন্ট নিয়ে প্রতিনিধিত্ব করে যাচ্ছে এদেশের সততা নির্ভর
জনগোষ্ঠীর।প্রায় ১৭০০০ ছাত্র-ছাত্রীর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশি ছাড়াও আছেন বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের বিদেশি শিক্ষার্থীবৃন্দ।
.
Combined Quality with morality স্লোগান নিয়ে দিপ্তপদভরে সামনে এগিয়ে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দেখে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ই মনে হবে না মনে হবে যেন ভ্রমণপিয়াসুদের পিপাসা মিটানোর জন্য তৈরী করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন পার্ক।তাই সীতাকুন্ড ভ্রমণে আসলে অনেকেই ভ্রমণের অংশ হিসেবে ঘুরে যেতে ভুল করেন না আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ক্যাম্পাস।
0 comments:
Thank you